“প্রোগ্রামিং করতে অনেক ক্রিয়েটিভ হতে হয়?”
“ঐটা শিখতে অনেক বুদ্ধি লাগে?”
“ঐ ভাইয়াটা অনেক বুদ্ধিমান?”
এগুলো সাধারণ কিছু প্রশ্ন যে গুলোর উত্তর দিতে হয়। এ ক্যাটেগরির এমন আরো অনেক প্রশ্ন আছে। সব গুলোর উত্তরই একটা।
ক্রিয়েটিভি বলতে আসলে কিছু নেই। আগ্রহ বলতে একটা শব্দ রয়েছে। বলা যায় একটা বিষয়ের প্রতি কারো আগ্রহ যত বেশি, ঐ বিষয়ে তার ক্রিয়েটিভিটি তত বেশি। আগ্রহের পরেই আরেকটা শব্দ হচ্ছে লেগে থাকা। লেগে থাকা, আগ্রহ এসবই হচ্ছে ক্রিয়েটিভিটি।
বুদ্ধি তো সবারই সমান। কারো মস্তিষ্কে কি নিউরন সংখ্যা কম? কম না। তবে চেষ্টা ভিন্ন। সফল, কম সফল এবং ফেলকারীদের মধ্যে বুদ্ধি দিয়ে একটুও পার্থক্য নেই। পার্থক্য হচ্ছে চেষ্টা দিয়ে। যে সফল, সে সবচেয়ে বেশি চেষ্টা করেছে। যে কম সফল সে একটু কম চেষ্টা করেছে। যে ফেল করেছে, সে চেষ্টা আরো কম করেছে বা চেষ্টাই করে নি। অথবা তার চেষ্টা থ্রিশোল্ড ভ্যালু অতিক্রম করে নি। থ্রিশোল্ড ভ্যালু হচ্ছে ঐ ভ্যালু, যেখানে সফলতা এবং ব্যার্থটা মিলিত হয়েছে। সফলতা ধরতে হলে, ফেল করতে না চাইলে ঐ থ্রিশোল্ড ভ্যালুটা অতিক্রম করতে হবে। একটা মিনিয়াম চেষ্টা করতে হবে।
ঐ ভাইয়াটা বুদ্ধিমান কারণ উনি উনার সকল বুদ্ধি এক জাগায় প্রয়োগ করেছে। সব দিকে মন না দিয়ে এক দিকে দিয়েছে। তাই আমাদের কাছে উনাকে বুদ্ধিমান মনে হচ্ছে। আতশ কাঁচ বা লেন্স দিয়ে ছোটবেলায় অনেকেই খেলা করার অভ্যাস আছে। লেন্স দিয়ে আমরা করতাম কি, সূর্যের আলোকে এক বিন্দুতে ফেলতাম। তখন কোন পাতার উপর বা কাগজের উপর ফেললে তাতে আগুন ধরত। মজা লাগত। সুন্দর একটা শিক্ষা সেখানে রয়েছে। সকল চেষ্টা এক জাগায় দিতে হবে। সব জাগায় নিজের বুদ্ধি কাজে লাগাতে গেলে বোকাই থেকে যেতে হবে। আর সফলদের দেখে বলতে হবে, উনি কত বুদ্ধিমান! অথচ সবার মস্তিষ্কই সমান।
সফল মানুষেরা যদি কোন কিছুতে ব্যর্থ হয়, তাহলে বলবে না আমার বুদ্ধি কম। বলবে আমি কম চেষ্টা করেছি।
ফেসবুকের কল্যানে আমরা মোটামুটি সবাই থমাস এডিসন, জে কে রাউলিং, স্টিভ জবস, বিল গেটস সহ অন্যান্য সফল ব্যক্তির ব্যর্থতার গল্প জানি। উনারা ব্যর্থ, আমিও ব্যর্থ। আমাদের মধ্যে কত মিল। আমিও সফল হব একদিন। উনাদের কারো মত হবো। এমন ভাবলে স্বপ্ন গুলো স্বপ্নই থেকে যাবে। বাস্তবতার ধারে কাছেও যাবে না। উনারা ব্যর্থ ঠিকই হয়েছেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে বসে থাকেন নি। চেষ্টা করে গিয়েছেন। এক বার নয়, বার বার। এবং নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। উনারাও ব্যর্থ হওয়ার পর বলতে পারতেন, আমার ক্রিয়েটিভিটি নেই, আমার বুদ্ধি কম এটা সেটা। অনেক গুলো অজু হাত। ঐ সব না করে চেষ্টা করে গিয়েছেন বলেই আজ আমাদের কাছে উনারা সফল। আজ হয়তো আপনি বা আমি ব্যর্থ, আমরা যদি আজ চেষ্টা করে যাই, ভালো কিছুর জন্য। আমাদের ভবিষৎ প্রজন্মের নিকট আমরাই হব সফল।
সবচেয়ে মজার ব্যপার হচ্ছে বর্তমান থেকে অতিতে যাওয়া যায়। উনারা সফল হওয়ার পরই আমরা উনাদের ব্যর্থতা গুলো জানতে পেরেছি। কিন্তু বর্তমানে থেকে ভবিষৎ এ যাওয়া যায় না। ভবিষৎটা এখনো তৈরি হয় নি। তাকে তৈরি করে নিতে হয়। ব্যর্থ হয়ে বসে থেকে, ক্রিয়েটিভিটি কম অজু হাত দেখিয়ে চেষ্টা না করলে তা সম্ভব হবে না। দরকার একটা বিষয়ে আগ্রহ, দরকার নিজের সব চেষ্টা একটা বিষয়ের উপর প্রয়োগ করা। শেষ দেখে ছাড়া। নিজের স্বপ্নের পেছনে সকল চেষ্টা প্রয়োগ করার পর যদি ব্যর্থ হয়, তা ব্যর্থতা না, তাও এক ধরনের সুখ, প্রশান্তি। তাও এক ধরনের গল্প। দরকার বসে না থেকে চেষ্টা করে যাওয়া। কারণ ক্রিয়েটিভিটি, বুদ্ধি এসব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আগ্রহ, প্রচেষ্টা, লেগে থাকা।
সবার জন্য শুভ কামনা
“ঐটা শিখতে অনেক বুদ্ধি লাগে?”
“ঐ ভাইয়াটা অনেক বুদ্ধিমান?”
এগুলো সাধারণ কিছু প্রশ্ন যে গুলোর উত্তর দিতে হয়। এ ক্যাটেগরির এমন আরো অনেক প্রশ্ন আছে। সব গুলোর উত্তরই একটা।
ক্রিয়েটিভি বলতে আসলে কিছু নেই। আগ্রহ বলতে একটা শব্দ রয়েছে। বলা যায় একটা বিষয়ের প্রতি কারো আগ্রহ যত বেশি, ঐ বিষয়ে তার ক্রিয়েটিভিটি তত বেশি। আগ্রহের পরেই আরেকটা শব্দ হচ্ছে লেগে থাকা। লেগে থাকা, আগ্রহ এসবই হচ্ছে ক্রিয়েটিভিটি।
বুদ্ধি তো সবারই সমান। কারো মস্তিষ্কে কি নিউরন সংখ্যা কম? কম না। তবে চেষ্টা ভিন্ন। সফল, কম সফল এবং ফেলকারীদের মধ্যে বুদ্ধি দিয়ে একটুও পার্থক্য নেই। পার্থক্য হচ্ছে চেষ্টা দিয়ে। যে সফল, সে সবচেয়ে বেশি চেষ্টা করেছে। যে কম সফল সে একটু কম চেষ্টা করেছে। যে ফেল করেছে, সে চেষ্টা আরো কম করেছে বা চেষ্টাই করে নি। অথবা তার চেষ্টা থ্রিশোল্ড ভ্যালু অতিক্রম করে নি। থ্রিশোল্ড ভ্যালু হচ্ছে ঐ ভ্যালু, যেখানে সফলতা এবং ব্যার্থটা মিলিত হয়েছে। সফলতা ধরতে হলে, ফেল করতে না চাইলে ঐ থ্রিশোল্ড ভ্যালুটা অতিক্রম করতে হবে। একটা মিনিয়াম চেষ্টা করতে হবে।
ঐ ভাইয়াটা বুদ্ধিমান কারণ উনি উনার সকল বুদ্ধি এক জাগায় প্রয়োগ করেছে। সব দিকে মন না দিয়ে এক দিকে দিয়েছে। তাই আমাদের কাছে উনাকে বুদ্ধিমান মনে হচ্ছে। আতশ কাঁচ বা লেন্স দিয়ে ছোটবেলায় অনেকেই খেলা করার অভ্যাস আছে। লেন্স দিয়ে আমরা করতাম কি, সূর্যের আলোকে এক বিন্দুতে ফেলতাম। তখন কোন পাতার উপর বা কাগজের উপর ফেললে তাতে আগুন ধরত। মজা লাগত। সুন্দর একটা শিক্ষা সেখানে রয়েছে। সকল চেষ্টা এক জাগায় দিতে হবে। সব জাগায় নিজের বুদ্ধি কাজে লাগাতে গেলে বোকাই থেকে যেতে হবে। আর সফলদের দেখে বলতে হবে, উনি কত বুদ্ধিমান! অথচ সবার মস্তিষ্কই সমান।
সফল মানুষেরা যদি কোন কিছুতে ব্যর্থ হয়, তাহলে বলবে না আমার বুদ্ধি কম। বলবে আমি কম চেষ্টা করেছি।
ফেসবুকের কল্যানে আমরা মোটামুটি সবাই থমাস এডিসন, জে কে রাউলিং, স্টিভ জবস, বিল গেটস সহ অন্যান্য সফল ব্যক্তির ব্যর্থতার গল্প জানি। উনারা ব্যর্থ, আমিও ব্যর্থ। আমাদের মধ্যে কত মিল। আমিও সফল হব একদিন। উনাদের কারো মত হবো। এমন ভাবলে স্বপ্ন গুলো স্বপ্নই থেকে যাবে। বাস্তবতার ধারে কাছেও যাবে না। উনারা ব্যর্থ ঠিকই হয়েছেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে বসে থাকেন নি। চেষ্টা করে গিয়েছেন। এক বার নয়, বার বার। এবং নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। উনারাও ব্যর্থ হওয়ার পর বলতে পারতেন, আমার ক্রিয়েটিভিটি নেই, আমার বুদ্ধি কম এটা সেটা। অনেক গুলো অজু হাত। ঐ সব না করে চেষ্টা করে গিয়েছেন বলেই আজ আমাদের কাছে উনারা সফল। আজ হয়তো আপনি বা আমি ব্যর্থ, আমরা যদি আজ চেষ্টা করে যাই, ভালো কিছুর জন্য। আমাদের ভবিষৎ প্রজন্মের নিকট আমরাই হব সফল।
সবচেয়ে মজার ব্যপার হচ্ছে বর্তমান থেকে অতিতে যাওয়া যায়। উনারা সফল হওয়ার পরই আমরা উনাদের ব্যর্থতা গুলো জানতে পেরেছি। কিন্তু বর্তমানে থেকে ভবিষৎ এ যাওয়া যায় না। ভবিষৎটা এখনো তৈরি হয় নি। তাকে তৈরি করে নিতে হয়। ব্যর্থ হয়ে বসে থেকে, ক্রিয়েটিভিটি কম অজু হাত দেখিয়ে চেষ্টা না করলে তা সম্ভব হবে না। দরকার একটা বিষয়ে আগ্রহ, দরকার নিজের সব চেষ্টা একটা বিষয়ের উপর প্রয়োগ করা। শেষ দেখে ছাড়া। নিজের স্বপ্নের পেছনে সকল চেষ্টা প্রয়োগ করার পর যদি ব্যর্থ হয়, তা ব্যর্থতা না, তাও এক ধরনের সুখ, প্রশান্তি। তাও এক ধরনের গল্প। দরকার বসে না থেকে চেষ্টা করে যাওয়া। কারণ ক্রিয়েটিভিটি, বুদ্ধি এসব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আগ্রহ, প্রচেষ্টা, লেগে থাকা।
সবার জন্য শুভ কামনা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন