এখনকার
তরুণ প্রজন্মের অনেকেই উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী। আর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি সমাজ ও দেশকে বদলে
দেওয়ার দারুণ এক উপায় হতে পারে ব্যবসায় উদ্যোগ। যুগটাই এখন উদ্ভাবন আর
উন্নয়নের। এ দুটি বিষয়কে মিলিয়ে কেউ যদি নতুন কোনো উদ্যোগ নিতে পারেন,
তবে তিনি হয়ে ওঠেন সামাজিক উদ্যোক্তা।
সাভারের ব্র্যাক সিডিএমে গত ২৩ ও ২৪ মার্চ ব্র্যাক সোশ্যাল ইনোভেশন ল্যাব আয়োজন করে ‘ফ্রুগাল ইনোভেশন ফোরাম’ নামের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের, যার মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘সামাজিক উদ্যোগ’। এ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, উগান্ডা, তানজানিয়া, ভারত, হংকং, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ ১৭টি দেশের শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন। ২০১৩ সাল থেকে ব্র্যাক সোশ্যাল ইনোভেশন ল্যাব প্রতিবছর এই আয়োজন করে আসছে।
নতুন উদ্যোক্তা তৈরির পাশাপাশি কীভাবে নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে সমাজের সব শ্রেণির মানুষের কাছে উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দেওয়া যাবে, সে প্রসঙ্গ বারবার উঠে আসে বিভিন্ন সেমিনারে।
ফেসবুকের প্রতিনিধি ও ইন্টারনেট ডট অর্গ-এর স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ম্যানেজার দীপ্তি দোশি বলেন, ‘গত ১০ বছরে আমরা ১৩৫ কোটি মানুষকে ফেসবুকে সংযুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা এখন নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেক নতুন সুযোগের সৃষ্টি হয়। কিন্তু পৃথিবীর দুই-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ এখনো ইন্টারনেটের আওতার বাইরে। তাদের কাছে বিনা মূল্যে ইন্টারনেটের সুবিধা পৌঁছে দিতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট ডট অর্গ (http://internet.org) নামের একটি নতুন উদ্যোগ নিয়েছে।’
উদ্যোক্তা তৈরি, উদ্যোক্তাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, সাশ্রয়ী উদ্ভাবন, উদ্যোগের মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তনের সূচনা, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন ধরনের বিনিয়োগ-সুবিধা, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে প্রযুক্তির সুফল পৌঁছে দেওয়া এমন ভিন্ন ভিন্ন ১৭টি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বক্তারা তাঁদের ভাবনাগুলো তুলে ধরেন।
অ্যাকসেঞ্চার ইনস্টিটিউট অব হাই পারফরম্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাঘব নার্সলে উদ্যোক্তাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি নিয়ে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মূলধারার শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন কিছু করার চেয়ে প্রচলিত নিয়ম মেনে চলাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নেওয়া বা পরীক্ষামূলক কোনো কাজে নিজেকে যুক্ত করতে আগ্রহী হন না, যা উদ্যোক্তা হওয়ার পথে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা। এ ছাড়া পরিবারের দিক থেকেও অনেক সময় নিশ্চিত চাকরি ছেড়ে উদ্যোক্তা হওয়াকে নিরুৎসাহিত করা হয়। একই আলোচনায় তাঁর কথার সূত্র ধরে প্রথম আলোর যুব প্রকল্পের সমন্বয়কারী মুনির হাসান বাংলাদেশে তরুণ উদ্যোক্তাদের সমস্যা এবং এ থেকে উত্তরণের সম্ভাব্য উপায় তুলে ধরেন।
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রেক্ষাপটে আয়োজিত এ সম্মেলনে কীভাবে নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার টেকসই সমাধান করা যায় এবং আরও উদ্যোক্তা সৃষ্টি করার মাধ্যমে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারীসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার নেতাদের বক্তৃতায় উঠে আসে যে উন্নয়নশীল দেশগুলোয় বিদ্যমান সামাজিক সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন উদ্ভাবনের কোনো বিকল্প নেই।
সমাপনী বক্তব্যে ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদ বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বাংলাদেশের সবার কাছে মানসম্মত শিক্ষা পৌঁছে দেওয়া। এটি সম্ভব হলেই আগামী প্রজন্ম নতুন উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেবে। দেশের উন্নয়নের জন্য এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই নেই।’
সাভারের ব্র্যাক সিডিএমে গত ২৩ ও ২৪ মার্চ ব্র্যাক সোশ্যাল ইনোভেশন ল্যাব আয়োজন করে ‘ফ্রুগাল ইনোভেশন ফোরাম’ নামের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের, যার মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘সামাজিক উদ্যোগ’। এ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, উগান্ডা, তানজানিয়া, ভারত, হংকং, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ ১৭টি দেশের শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন। ২০১৩ সাল থেকে ব্র্যাক সোশ্যাল ইনোভেশন ল্যাব প্রতিবছর এই আয়োজন করে আসছে।
নতুন উদ্যোক্তা তৈরির পাশাপাশি কীভাবে নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে সমাজের সব শ্রেণির মানুষের কাছে উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দেওয়া যাবে, সে প্রসঙ্গ বারবার উঠে আসে বিভিন্ন সেমিনারে।
ফেসবুকের প্রতিনিধি ও ইন্টারনেট ডট অর্গ-এর স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ম্যানেজার দীপ্তি দোশি বলেন, ‘গত ১০ বছরে আমরা ১৩৫ কোটি মানুষকে ফেসবুকে সংযুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা এখন নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেক নতুন সুযোগের সৃষ্টি হয়। কিন্তু পৃথিবীর দুই-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ এখনো ইন্টারনেটের আওতার বাইরে। তাদের কাছে বিনা মূল্যে ইন্টারনেটের সুবিধা পৌঁছে দিতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট ডট অর্গ (http://internet.org) নামের একটি নতুন উদ্যোগ নিয়েছে।’
উদ্যোক্তা তৈরি, উদ্যোক্তাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, সাশ্রয়ী উদ্ভাবন, উদ্যোগের মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তনের সূচনা, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন ধরনের বিনিয়োগ-সুবিধা, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে প্রযুক্তির সুফল পৌঁছে দেওয়া এমন ভিন্ন ভিন্ন ১৭টি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বক্তারা তাঁদের ভাবনাগুলো তুলে ধরেন।
অ্যাকসেঞ্চার ইনস্টিটিউট অব হাই পারফরম্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাঘব নার্সলে উদ্যোক্তাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি নিয়ে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মূলধারার শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন কিছু করার চেয়ে প্রচলিত নিয়ম মেনে চলাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নেওয়া বা পরীক্ষামূলক কোনো কাজে নিজেকে যুক্ত করতে আগ্রহী হন না, যা উদ্যোক্তা হওয়ার পথে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা। এ ছাড়া পরিবারের দিক থেকেও অনেক সময় নিশ্চিত চাকরি ছেড়ে উদ্যোক্তা হওয়াকে নিরুৎসাহিত করা হয়। একই আলোচনায় তাঁর কথার সূত্র ধরে প্রথম আলোর যুব প্রকল্পের সমন্বয়কারী মুনির হাসান বাংলাদেশে তরুণ উদ্যোক্তাদের সমস্যা এবং এ থেকে উত্তরণের সম্ভাব্য উপায় তুলে ধরেন।
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রেক্ষাপটে আয়োজিত এ সম্মেলনে কীভাবে নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার টেকসই সমাধান করা যায় এবং আরও উদ্যোক্তা সৃষ্টি করার মাধ্যমে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারীসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার নেতাদের বক্তৃতায় উঠে আসে যে উন্নয়নশীল দেশগুলোয় বিদ্যমান সামাজিক সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন উদ্ভাবনের কোনো বিকল্প নেই।
সমাপনী বক্তব্যে ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদ বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বাংলাদেশের সবার কাছে মানসম্মত শিক্ষা পৌঁছে দেওয়া। এটি সম্ভব হলেই আগামী প্রজন্ম নতুন উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেবে। দেশের উন্নয়নের জন্য এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই নেই।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন