বিকেএসপি
কথাটা শুনলেই যেন মনে হয়, ওখানে শুধু খেলাধুলাই হয়৷ কিন্তু বিকেএসপি এমন
প্রতিষ্ঠান, যেখানে খেলাধুলা আর লেখাপড়া চলে যুগপৎভাবে৷ বিশ্বকাপ ফুটবলের
এই মৌসুমে জেনে নেওয়া যাক বিকেএসপির আদ্যোপান্ত
বিকেএসপির নাম না জানা তরুণ খুঁজে পাওয়া দায়৷ এই বিশ্বকাপ মৌসুমে বিকেএসপি যেন আরও বেশি করে উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রে৷ কারণ এই প্রতিষ্ঠান থেকেই তৈরি হয় একজন ফুটবলার এমিলি, জাহিদ, ক্রিকেটার দুর্জয়, সাকিব, মুশফিক, শু্যটার আসিফ কিংবা রত্না, শারমীন৷
কীভাবে এমন সব দক্ষ খেলোয়াড় তৈরি করা যায়? সেই মূলমন্ত্রই শোনাচ্ছিলেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এমাদুল হক, ‘খেলাধুলা, লেখাপড়া ও শৃঙ্খলা—এই তিন চলকের সমন্বয় হলেই কেবল একজন দক্ষ ক্রীড়াবিদ হওয়া যায়৷’
রাজধানীর অদূরে সাভারের জিরানীতে অবস্থিত বিকেএসপি৷ ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও দিনাজপুরে রয়েছে বিকেএপির আঞ্চলিক কেন্দ্র৷ ঢাকায় ১২টি বিভাগসহ মোট ১৭টি বিভাগ রয়েছে বিকেএসপিতে৷ ফুটবল, ক্রিকেট, শ্যুটিং, সাঁতার, আচ৴ারি, বাস্কেটবল, বক্সিং, জুডো, টেনিস, অ্যাথলেটিকস, জিমন্যাস্টিকস, হকি, তায়কোয়ান্দো, উশু—এই বিভাগগুলোয় প্রতিবছর আসন খালি থাকা সাপেক্ষে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়৷ চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির সুযোগ আছে এখানে৷ নতুন প্রত্যেক শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয় ঢাকা বিকেএসপি থেকে৷ বর্তমানে বিকেএসপির মোট ৭৩৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে আটটি বিভাগে রয়েছে ১২০ জন মেয়ে৷ সম্পূর্ণ আবাসিক এই প্রতিষ্ঠানে ছেলেদের চারটি ও মেয়েদের একটি হোস্টেল রয়েছে৷ প্রশিক্ষণ বিভাগের উপপরিচালক শামীমা সাত্তার জানান, বিকেএসপির একজন শিক্ষার্থী আবাসিক সুবিধায় আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক প্রশিক্ষণের সুযোগ পায়৷ এই প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর দেশের বিভিন্ন ক্লাব ছাড়াও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রয়েছে পদচারণ৷
আবেদন ও নির্বাচন-পদ্ধতি
প্রতিবছর পত্রিকায় ভর্তি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়৷ নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর ক্ষেত্রে প্রাথমিক ও চূড়ান্ত—এই দুই স্তরে চলে বাছাই-প্রক্রিয়া৷ প্রাথমিক বাছাই বলতে মূলত বয়স নির্ধারণ ও মেডিকেল টেস্ট বোঝানো হয়৷ এখানে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সুেযাগ পায় ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার৷
এরপর হলো চূড়ান্ত নির্বাচন৷ এ ক্ষেত্রে পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প আয়োজন করা হয়৷ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নেওয়া হয় নিজ নিজ ক্রীড়া বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষা৷ সর্বশেষ অধ্যয়নরত শ্রেণির সিলেবাস অনুযায়ী বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে৷ এরপর অবতীর্ণ হতে হয় ক্রীড়াবিজ্ঞান-সংক্রান্ত ব্যবহারিক পরীক্ষায়৷ শতকরা হিসাবে দেখা যায়, ৭০ ভাগ শারীরিক যোগ্যতা ও ক্রীড়া নৈপুণ্য, ১০ ভাগ ক্রীড়াবিজ্ঞান-সংক্রান্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা আর বাকি ২০ ভাগ লিখিত পরীক্ষা৷
শিক্ষাব্যয়
ভর্তি ফি, ফেরতযোগ্য জামানতসহ প্রায় নয় হাজার টাকা লাগে৷ এ ছাড়া মাসিক বেতন দিতে হয় অভিভাবকের মাসিক আয়ের ওপর ভিত্তি করে৷ বেতন নির্ধারণ করা হয় তিনটি শ্রেণি বিবেচনায়৷ অভিভাবকের আয় যদি মাসিক পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়, তবে বেতন হবে ৫০০ টাকা, যদি পাঁচ হাজার থেকে ১৫ হাজার হয়, তবে শতকরা ১০ ভাগ হবে বেতন৷ তবে ১৫ হাজার টাকার ওপর হলে বেতনের শতকরা ১০ ভাগ, কিন্তু মোট পাঁচ হাজার টাকার বেশি হবে না৷
প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম
ট্যালেন্ট হান্ট ও বিকেএসপি কাপ নামে দুটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করে বিকেএসপি৷ প্রতিটি জেলা শহরে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে খুঁজে আনা হয় সেই জেলার সেরা খেলোয়াড়কে৷ এরপর বিভিন্নমেয়াদি প্রশিক্ষণ শেষে তাদের বিকেএসপিতে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়৷
বিকেএসপির নিয়মিত শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালিত হয় উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত৷
স্নাতক ও ডিগ্রি কোর্স
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় বিকেএসপি দুটি কোর্স পরিচালনা করে থাকে৷ কোর্স দুটি হলো ডিগ্রি (পাস) কোর্স ও ডিপ্লোমা ইন স্পোর্টস সায়েন্স৷ এই দুই কোর্সে ক্রিড়াবীদদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়৷
কোর্স দুটির ক্ষেত্রে প্রতিবছর এপ্রিল মাস নাগদ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়৷
বিকেএসপি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য মিলবে প্রতিষ্ঠানটির www.bksp-bd.org ওয়েবসাইটে৷
বিকেএসপির নাম না জানা তরুণ খুঁজে পাওয়া দায়৷ এই বিশ্বকাপ মৌসুমে বিকেএসপি যেন আরও বেশি করে উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রে৷ কারণ এই প্রতিষ্ঠান থেকেই তৈরি হয় একজন ফুটবলার এমিলি, জাহিদ, ক্রিকেটার দুর্জয়, সাকিব, মুশফিক, শু্যটার আসিফ কিংবা রত্না, শারমীন৷
কীভাবে এমন সব দক্ষ খেলোয়াড় তৈরি করা যায়? সেই মূলমন্ত্রই শোনাচ্ছিলেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এমাদুল হক, ‘খেলাধুলা, লেখাপড়া ও শৃঙ্খলা—এই তিন চলকের সমন্বয় হলেই কেবল একজন দক্ষ ক্রীড়াবিদ হওয়া যায়৷’
রাজধানীর অদূরে সাভারের জিরানীতে অবস্থিত বিকেএসপি৷ ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও দিনাজপুরে রয়েছে বিকেএপির আঞ্চলিক কেন্দ্র৷ ঢাকায় ১২টি বিভাগসহ মোট ১৭টি বিভাগ রয়েছে বিকেএসপিতে৷ ফুটবল, ক্রিকেট, শ্যুটিং, সাঁতার, আচ৴ারি, বাস্কেটবল, বক্সিং, জুডো, টেনিস, অ্যাথলেটিকস, জিমন্যাস্টিকস, হকি, তায়কোয়ান্দো, উশু—এই বিভাগগুলোয় প্রতিবছর আসন খালি থাকা সাপেক্ষে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়৷ চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির সুযোগ আছে এখানে৷ নতুন প্রত্যেক শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয় ঢাকা বিকেএসপি থেকে৷ বর্তমানে বিকেএসপির মোট ৭৩৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে আটটি বিভাগে রয়েছে ১২০ জন মেয়ে৷ সম্পূর্ণ আবাসিক এই প্রতিষ্ঠানে ছেলেদের চারটি ও মেয়েদের একটি হোস্টেল রয়েছে৷ প্রশিক্ষণ বিভাগের উপপরিচালক শামীমা সাত্তার জানান, বিকেএসপির একজন শিক্ষার্থী আবাসিক সুবিধায় আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক প্রশিক্ষণের সুযোগ পায়৷ এই প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর দেশের বিভিন্ন ক্লাব ছাড়াও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রয়েছে পদচারণ৷
আবেদন ও নির্বাচন-পদ্ধতি
প্রতিবছর পত্রিকায় ভর্তি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়৷ নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর ক্ষেত্রে প্রাথমিক ও চূড়ান্ত—এই দুই স্তরে চলে বাছাই-প্রক্রিয়া৷ প্রাথমিক বাছাই বলতে মূলত বয়স নির্ধারণ ও মেডিকেল টেস্ট বোঝানো হয়৷ এখানে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সুেযাগ পায় ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার৷
এরপর হলো চূড়ান্ত নির্বাচন৷ এ ক্ষেত্রে পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প আয়োজন করা হয়৷ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নেওয়া হয় নিজ নিজ ক্রীড়া বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষা৷ সর্বশেষ অধ্যয়নরত শ্রেণির সিলেবাস অনুযায়ী বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে৷ এরপর অবতীর্ণ হতে হয় ক্রীড়াবিজ্ঞান-সংক্রান্ত ব্যবহারিক পরীক্ষায়৷ শতকরা হিসাবে দেখা যায়, ৭০ ভাগ শারীরিক যোগ্যতা ও ক্রীড়া নৈপুণ্য, ১০ ভাগ ক্রীড়াবিজ্ঞান-সংক্রান্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা আর বাকি ২০ ভাগ লিখিত পরীক্ষা৷
শিক্ষাব্যয়
ভর্তি ফি, ফেরতযোগ্য জামানতসহ প্রায় নয় হাজার টাকা লাগে৷ এ ছাড়া মাসিক বেতন দিতে হয় অভিভাবকের মাসিক আয়ের ওপর ভিত্তি করে৷ বেতন নির্ধারণ করা হয় তিনটি শ্রেণি বিবেচনায়৷ অভিভাবকের আয় যদি মাসিক পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়, তবে বেতন হবে ৫০০ টাকা, যদি পাঁচ হাজার থেকে ১৫ হাজার হয়, তবে শতকরা ১০ ভাগ হবে বেতন৷ তবে ১৫ হাজার টাকার ওপর হলে বেতনের শতকরা ১০ ভাগ, কিন্তু মোট পাঁচ হাজার টাকার বেশি হবে না৷
প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম
ট্যালেন্ট হান্ট ও বিকেএসপি কাপ নামে দুটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করে বিকেএসপি৷ প্রতিটি জেলা শহরে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে খুঁজে আনা হয় সেই জেলার সেরা খেলোয়াড়কে৷ এরপর বিভিন্নমেয়াদি প্রশিক্ষণ শেষে তাদের বিকেএসপিতে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়৷
বিকেএসপির নিয়মিত শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালিত হয় উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত৷
স্নাতক ও ডিগ্রি কোর্স
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় বিকেএসপি দুটি কোর্স পরিচালনা করে থাকে৷ কোর্স দুটি হলো ডিগ্রি (পাস) কোর্স ও ডিপ্লোমা ইন স্পোর্টস সায়েন্স৷ এই দুই কোর্সে ক্রিড়াবীদদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়৷
কোর্স দুটির ক্ষেত্রে প্রতিবছর এপ্রিল মাস নাগদ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়৷
বিকেএসপি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য মিলবে প্রতিষ্ঠানটির www.bksp-bd.org ওয়েবসাইটে৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন