জনস্বাস্থ্য
বা পাবলিক হেলথ বিষয়টি চিকিৎসা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় জড়িত বিভিন্ন
খাতের সমন্বিত কার্যক্রম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের
মতো দক্ষিণ এশীয় দেশের স্বাস্থ্যঝুঁকিগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার
লক্ষ্যেই ২০০৪ সাল থেকে বাংলাদেশে ‘জেমস পি গ্রান্ট (জেপিজি) স্কুল অব
পাবলিক হেলথ’ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের
অধীনে পরিচালিত জেপিজি স্কুল অব পাবলিক হেলথ শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে মূলত
তিনটি প্রতিষ্ঠান অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এরা হচ্ছে আইসিডিডিআরবি, ব্র্যাক
বিশ্ববিদ্যালয় ও উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক। তবে শতভাগ ক্লাস ও সব ধরনের
একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় আইসিডিডিআরবি ক্যাম্পাসে। এ বিষয়ে আমরা
একদিন হাজির হই আইসিডিডিআরবিতে। বর্তমান সেশনে মোট ৫৯ জন শিক্ষার্থী এখানে
জনস্বাস্থ্য বিষয়ে পড়ছেন।
শুধু দেশীয় শিক্ষার্থীই নয়, জেপিজি স্কুল অব পাবলিক হেলথ কার্যক্রমে প্রতি বছর বিদেশি শিক্ষার্থী ও গবেষকেরাও আসছেন। এ পর্যন্ত ২৪টি দেশের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী এখান থেকে এমপিএইচ ডিগ্রি নিয়েছেন। বর্তমান শিক্ষাবর্ষে রয়েছেন ১০টি দেশের শিক্ষার্থী।
চলুন শোনা যাক বাংলাদেশে পড়তে আসা কজন বিদেশি শিক্ষার্থীর কথা। তাঁরা কেন বেছে নিলেন বাংলাদেশকে? যুক্তরাষ্ট্রের কারলি এনাবেল বলেন, ‘আমি স্নাতক করেছি পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিহেভেরিয়াল হেলথ বিষয়ে। তারপর ‘গবেষণা সহকারী’ হিসেবে কাজ করেছি হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলে পপুলেশন মেডিসিন বিভাগে। এ ছাড়া কনসালট্যান্ট হিসেবে এইডস নিয়ে কাজ করেছি মরিশাসে। এখন এমপিএইচ করার জন্য বেছে নিয়েছি জেপিজি স্কুল অব পাবলিক হেলথকে।’
হ্যানক টেগেগনি এখানে পড়তে এসেছেন ইথিওপিয়ার হারামায়া ইউনিভার্সিটির ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ বিভাগ থেকে। তিনি আশা করেন, এটা ভবিষ্যতে বিশ্বখ্যাত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে পিএইচডি ডিগ্রি নিতে সাহায্য করবে।
পাপুয়া নিউ গিনি থেকে আসা আলইস পুকিনিই জানান, তিনি বুগানভিলেতে আঞ্চলিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডিরেক্টর অব পাবলিক হেলথ হিসেবে কাজ করছেন। এমপিএইচ করার জন্য বাংলাদেশকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে বলেন, ‘বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য খাতের উন্নতি উন্নয়নশীল দেশের জন্য উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত। আশা করি, এ দেশের অভিজ্ঞতা আমি আমার নিজ দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারব।’
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা হয় কয়েকজনের সঙ্গে। সেভ দ্য চিলড্রেনের সাবেক কর্মকর্তা মৌসুমী আমীন দীর্ঘদিন জনস্বাস্থ্য খাতে কাজ করছেন। তাঁর মতে, জেপিজি স্কুল অব পাবলিক হেলথের এমপিএইচ ডিগ্রি এই বিষয়ে কাজ করতে আগ্রহীদের জন্য পেশাজীবনে সহায়ক হবে।
সাবিনুল ইসলাম ও মুহাম্মাদ আওলাদ হুসাইন দুজনই চিকিৎসক। তাঁরা ভবিষ্যতে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে জনস্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশেই কাজ করতে চান।
অনিন্দ্য নিশাত ৩৩তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেছেন। নিশাত জানান, ‘বাংলাদেশ সরকারের টিকাদান কার্যক্রম ও যক্ষ্মার জন্য ডটস কার্যক্রম ইতিমধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছে। একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসাবে জনস্বাস্থ্যবিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান আমাকে ভবিষ্যতে নীতি নির্ধারণ পর্যায়ে কাজ করতে সাহায্য করবে।’
ভর্তির যোগ্যতা ও নিয়ম
মনে রাখা ভালো, এমপিএইচ শিক্ষা কার্যক্রম শুধুই এমবিবিএস ডিগ্রিধারীদের জন্য নয়। এমবিবিএস ছাড়াও আপনার যদি লাইফ সায়েন্স, মেডিসিন, নার্সিং, পাবলিক হেলথ, সমাজবিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকে, তবে আপনি সহজেই আবেদন করতে পারেন এখানে ভর্তির জন্য। শুধু প্রয়োজন হবে ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে দক্ষতা। সেখান থেকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে সীমিতসংখ্যক শিক্ষার্থীকে ভর্তির জন্য মনোনীত করা হয়। তবে স্বাস্থ্য বা অন্যান্য সামাজিক ক্ষেত্রে কমপক্ষে এক বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আবেদনকারীরা অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
জেপিজি স্কুল অব পাবলিক হেলথের ভারপ্রাপ্ত ডিন মালবিকা সরকার বলেন, ‘এক বছরের এই শিক্ষা কার্যক্রম প্রতিবছর জানুয়ারিতে শুরু হয়। সাধারণত অক্টোবরের শুরুতে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আসনসংখ্যা ৬০ জন। নারী-পুরুষ, চিকিৎসক ও অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের মধ্যে ৫০ শতাংশ হারে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যও নির্ধারিত আসন রয়েছে।’
বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট করা যেতে পারে sph.bracu.ac.bd এই ওয়েবসাইট।
শুধু দেশীয় শিক্ষার্থীই নয়, জেপিজি স্কুল অব পাবলিক হেলথ কার্যক্রমে প্রতি বছর বিদেশি শিক্ষার্থী ও গবেষকেরাও আসছেন। এ পর্যন্ত ২৪টি দেশের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী এখান থেকে এমপিএইচ ডিগ্রি নিয়েছেন। বর্তমান শিক্ষাবর্ষে রয়েছেন ১০টি দেশের শিক্ষার্থী।
চলুন শোনা যাক বাংলাদেশে পড়তে আসা কজন বিদেশি শিক্ষার্থীর কথা। তাঁরা কেন বেছে নিলেন বাংলাদেশকে? যুক্তরাষ্ট্রের কারলি এনাবেল বলেন, ‘আমি স্নাতক করেছি পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিহেভেরিয়াল হেলথ বিষয়ে। তারপর ‘গবেষণা সহকারী’ হিসেবে কাজ করেছি হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলে পপুলেশন মেডিসিন বিভাগে। এ ছাড়া কনসালট্যান্ট হিসেবে এইডস নিয়ে কাজ করেছি মরিশাসে। এখন এমপিএইচ করার জন্য বেছে নিয়েছি জেপিজি স্কুল অব পাবলিক হেলথকে।’
হ্যানক টেগেগনি এখানে পড়তে এসেছেন ইথিওপিয়ার হারামায়া ইউনিভার্সিটির ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ বিভাগ থেকে। তিনি আশা করেন, এটা ভবিষ্যতে বিশ্বখ্যাত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে পিএইচডি ডিগ্রি নিতে সাহায্য করবে।
পাপুয়া নিউ গিনি থেকে আসা আলইস পুকিনিই জানান, তিনি বুগানভিলেতে আঞ্চলিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডিরেক্টর অব পাবলিক হেলথ হিসেবে কাজ করছেন। এমপিএইচ করার জন্য বাংলাদেশকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে বলেন, ‘বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য খাতের উন্নতি উন্নয়নশীল দেশের জন্য উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত। আশা করি, এ দেশের অভিজ্ঞতা আমি আমার নিজ দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারব।’
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা হয় কয়েকজনের সঙ্গে। সেভ দ্য চিলড্রেনের সাবেক কর্মকর্তা মৌসুমী আমীন দীর্ঘদিন জনস্বাস্থ্য খাতে কাজ করছেন। তাঁর মতে, জেপিজি স্কুল অব পাবলিক হেলথের এমপিএইচ ডিগ্রি এই বিষয়ে কাজ করতে আগ্রহীদের জন্য পেশাজীবনে সহায়ক হবে।
সাবিনুল ইসলাম ও মুহাম্মাদ আওলাদ হুসাইন দুজনই চিকিৎসক। তাঁরা ভবিষ্যতে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে জনস্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশেই কাজ করতে চান।
অনিন্দ্য নিশাত ৩৩তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেছেন। নিশাত জানান, ‘বাংলাদেশ সরকারের টিকাদান কার্যক্রম ও যক্ষ্মার জন্য ডটস কার্যক্রম ইতিমধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছে। একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসাবে জনস্বাস্থ্যবিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান আমাকে ভবিষ্যতে নীতি নির্ধারণ পর্যায়ে কাজ করতে সাহায্য করবে।’
ভর্তির যোগ্যতা ও নিয়ম
মনে রাখা ভালো, এমপিএইচ শিক্ষা কার্যক্রম শুধুই এমবিবিএস ডিগ্রিধারীদের জন্য নয়। এমবিবিএস ছাড়াও আপনার যদি লাইফ সায়েন্স, মেডিসিন, নার্সিং, পাবলিক হেলথ, সমাজবিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকে, তবে আপনি সহজেই আবেদন করতে পারেন এখানে ভর্তির জন্য। শুধু প্রয়োজন হবে ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে দক্ষতা। সেখান থেকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে সীমিতসংখ্যক শিক্ষার্থীকে ভর্তির জন্য মনোনীত করা হয়। তবে স্বাস্থ্য বা অন্যান্য সামাজিক ক্ষেত্রে কমপক্ষে এক বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আবেদনকারীরা অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
জেপিজি স্কুল অব পাবলিক হেলথের ভারপ্রাপ্ত ডিন মালবিকা সরকার বলেন, ‘এক বছরের এই শিক্ষা কার্যক্রম প্রতিবছর জানুয়ারিতে শুরু হয়। সাধারণত অক্টোবরের শুরুতে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আসনসংখ্যা ৬০ জন। নারী-পুরুষ, চিকিৎসক ও অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের মধ্যে ৫০ শতাংশ হারে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যও নির্ধারিত আসন রয়েছে।’
বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট করা যেতে পারে sph.bracu.ac.bd এই ওয়েবসাইট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন