প্রজাপতি!
প্রজাপতি! কোথায় পেলে ভাই এমন রঙীন পাখা! কিংবা প্রজাপতিটা! যখন-তখন উড়ে
উড়ে ঘুরে ঘুরে... রাঙা মেঘের মতন। প্রধান ফটক দিয়ে যাওয়ার সময় জহির
রায়হান মিলনায়তন থেকে অন্য সব দর্শনার্থীর মতো সেতু ও শিমুলের কানে এই
সুর বেজে ওঠে। ৫ ডিসেম্বর ধানমন্ডি ও সাভার থেকে এসেছেন এই দুই তরুণী।
প্রজাপতি মেলায় আসতে অনেক দিন তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা।
প্রথম প্রহরে অডিটরিয়ামের সামনে বসানো নেট দিয়ে তৈরি ঘরে নানা রঙের
প্রজাপতি দেখে নূর মোহাম্মদ রাইফেলস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী
নুসরাত রহমান ববির বাঁধভাঙা উল্লাস যেন থামছে না। ‘ফেসবুকেই প্রথম প্রজাপতি
মেলার আমন্ত্রণ পাই। মেলায় এসে সকালটা ভীষণ আনন্দে কেটেছে। এত্ত সুন্দর
প্রজাপতি আগে কখনো দেখিনি,’ নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী
সোনিয়া শারমিনের অনুভূতি ছিল এ রকম।
প্রজাপতি মেলার প্রথম আসর বসেছিল ২০১০ সালে। এবারের আয়োজনটি তাই পঞ্চম। ‘১৯৯৬ সাল থেকে এযাবৎ আমরা ২৫০ প্রজাতির প্রজাপতি আবিষ্কার করতে পেরেছি, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও গণসচেতনতা বৃদ্ধিই এ মেলার মূল লক্ষ্য,’ সার্বিক বিষয়ে বলছিলেন মেলার প্রধান উদ্যোক্তা প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন তুহিন।
আর তাই সংগতি রেখে মেলার থিম নির্ধারণ করা হয়, ‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি।’
মেলার মূল স্টল জহির রায়হান মিলনায়তনে গিয়ে দেখা হয় অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী অর্জিতা সিকদারের সঙ্গে। প্রজাপতি মেলা কেমন লাগছে? তাঁর উত্তর, ‘সবগুলো ইভেন্ট একবার দেখা শেষ। বোটানিক্যাল গার্ডেনের ভেতর প্রজাপতির হাট দেখে সবচেয়ে মজা পেয়েছি। বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে মজার মজার ছবিও তুলেছি।’
লাল ইটের দালান আর নয়নাভিরাম সবুজের চাদরে আবৃত আবাসিক ক্যাম্পাস জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিবৈচিত্র্যের জুড়ি নেই। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিখ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রী আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় সাতরাঙা প্রজাপতির ওড়াউড়ির মিছিল। চোখজুড়ানো এসব প্রজাপতি ক্যাম্পাসে সকাল-সন্ধ্যায় চরে বেড়ায়। ভোরের প্রথম কিরণে ও সাঁঝবেলায় প্রজাপতির এ-ফুল থেকে ও-ফুলে মধু অন্বেষণ ও ওড়াউড়ির মাঝে খুনসুটি সবার আনন্দের অনুষঙ্গ।
প্রতিবেশী দেশ ভারতে শুধু প্রজাপতি জাদুঘর থাকলেও সমগ্র এশিয়ায় প্রজাপতি মেলার প্রথম উদ্যেক্তা অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন। রং-বেরঙের এমন প্রায় ২৫০ প্রজাতির প্রজাপতির বসবাস এই ক্যাম্পাসে। ১৭ বছরের গবেষণার ফসল হিসেবে নতুন ৬২ প্রজাতিসহ ২৭৫টি প্রজাতি শনাক্তের কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন করেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব¡শাখার গবেষকেরা।
পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান পরিবেশরক্ষায় প্রজাপতি মেলার গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। মেলায় অংশ নেওয়া রাকিব, বাবু ও আশরাফুল আলম তুলে ধরলেন বিলুপ্ত প্রজাতির প্রজাপতি রক্ষা ও প্রজননে আরও গবেষণার প্রয়োজনীয়তা। দিনব্যাপী এ মেলায় নানা বয়সী হাজারো দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। প্রজাপতি সংরক্ষণে সরকারি-বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সহায়তার দাবি জানান প্রকৃতিপ্রেমীরা।
সকালে জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে প্রজাপতি অবমুক্ত করে মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ফারজানা ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন আবদুল জব্বার হাওলাদার, আইইউসিএনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শফিক হায়দার চৌধুরী। প্রজাপতি বিষয়ে সচেতনতা ও গবেষণার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. সোহরাব আলীকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়। প্রজাপতির ক্ষেত্রে বিশেষ আগ্রহ ও সচেতনতা তৈরির জন্য এবার মেলা থেকে ইয়ং বাটারফ্লাই অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তানভীর আহমেদ।
এ ছাড়া আয়োজকপক্ষের তত্ত্ববধানে এ মেলায় প্রজাপতি নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী, প্রজাপতিবিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়া প্রতিবারের মতো মেলায় ২২৫ প্রজাতির প্রজাপতির ছবি ও বিবরণসহ একটি বইয়ের স্টল দেওয়া হয়।
প্রজাপতি মেলার প্রথম আসর বসেছিল ২০১০ সালে। এবারের আয়োজনটি তাই পঞ্চম। ‘১৯৯৬ সাল থেকে এযাবৎ আমরা ২৫০ প্রজাতির প্রজাপতি আবিষ্কার করতে পেরেছি, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও গণসচেতনতা বৃদ্ধিই এ মেলার মূল লক্ষ্য,’ সার্বিক বিষয়ে বলছিলেন মেলার প্রধান উদ্যোক্তা প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন তুহিন।
আর তাই সংগতি রেখে মেলার থিম নির্ধারণ করা হয়, ‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি।’
মেলার মূল স্টল জহির রায়হান মিলনায়তনে গিয়ে দেখা হয় অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী অর্জিতা সিকদারের সঙ্গে। প্রজাপতি মেলা কেমন লাগছে? তাঁর উত্তর, ‘সবগুলো ইভেন্ট একবার দেখা শেষ। বোটানিক্যাল গার্ডেনের ভেতর প্রজাপতির হাট দেখে সবচেয়ে মজা পেয়েছি। বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে মজার মজার ছবিও তুলেছি।’
লাল ইটের দালান আর নয়নাভিরাম সবুজের চাদরে আবৃত আবাসিক ক্যাম্পাস জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিবৈচিত্র্যের জুড়ি নেই। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিখ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রী আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় সাতরাঙা প্রজাপতির ওড়াউড়ির মিছিল। চোখজুড়ানো এসব প্রজাপতি ক্যাম্পাসে সকাল-সন্ধ্যায় চরে বেড়ায়। ভোরের প্রথম কিরণে ও সাঁঝবেলায় প্রজাপতির এ-ফুল থেকে ও-ফুলে মধু অন্বেষণ ও ওড়াউড়ির মাঝে খুনসুটি সবার আনন্দের অনুষঙ্গ।
প্রতিবেশী দেশ ভারতে শুধু প্রজাপতি জাদুঘর থাকলেও সমগ্র এশিয়ায় প্রজাপতি মেলার প্রথম উদ্যেক্তা অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন। রং-বেরঙের এমন প্রায় ২৫০ প্রজাতির প্রজাপতির বসবাস এই ক্যাম্পাসে। ১৭ বছরের গবেষণার ফসল হিসেবে নতুন ৬২ প্রজাতিসহ ২৭৫টি প্রজাতি শনাক্তের কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন করেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব¡শাখার গবেষকেরা।
পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান পরিবেশরক্ষায় প্রজাপতি মেলার গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। মেলায় অংশ নেওয়া রাকিব, বাবু ও আশরাফুল আলম তুলে ধরলেন বিলুপ্ত প্রজাতির প্রজাপতি রক্ষা ও প্রজননে আরও গবেষণার প্রয়োজনীয়তা। দিনব্যাপী এ মেলায় নানা বয়সী হাজারো দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। প্রজাপতি সংরক্ষণে সরকারি-বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সহায়তার দাবি জানান প্রকৃতিপ্রেমীরা।
সকালে জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে প্রজাপতি অবমুক্ত করে মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ফারজানা ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন আবদুল জব্বার হাওলাদার, আইইউসিএনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শফিক হায়দার চৌধুরী। প্রজাপতি বিষয়ে সচেতনতা ও গবেষণার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. সোহরাব আলীকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়। প্রজাপতির ক্ষেত্রে বিশেষ আগ্রহ ও সচেতনতা তৈরির জন্য এবার মেলা থেকে ইয়ং বাটারফ্লাই অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তানভীর আহমেদ।
এ ছাড়া আয়োজকপক্ষের তত্ত্ববধানে এ মেলায় প্রজাপতি নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী, প্রজাপতিবিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়া প্রতিবারের মতো মেলায় ২২৫ প্রজাতির প্রজাপতির ছবি ও বিবরণসহ একটি বইয়ের স্টল দেওয়া হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন