স্টিফেন হকিং এর একটি শব্দ লিখতে অনেক
সময় লাগে। প্রথমে স্কিনে থাকা বর্ণ গুলো, যেমন A তে স্ক্রোল করে যায়। a তে
গেলে a দিয়ে সকল শব্দ গুলোর লিস্ট দেখায় স্কিনে। তার হুইল চেয়ারের সামনে
থাকা স্কিনে। এবং ঐ লিস্ট থেকে শব্দটা সিলেক্ট করে। এভাবে আরেকটা শব্দ,
এভাবে আরেকটা শব্দ। এভাবে পুরো একটা বাক্য।
আগে হাতের আগুল যখন নাড়াতে পারত, তখন হাতে একটা রিমোটের মত ছিল, যা দিয়ে সিলেক্ট এর কাজ করত। মাউসের মত আরকি। ঠিক মত ঐটা ধরতেও কষ্ট হত। এর পর হাত আর নাড়াতে পারে নি। এখন চশমার সাথে ছোট একটা ইনফারেড ডিভাইস রয়েছে, যা দিয়ে মুখের মাসল / চিক এর মাসল এর নড়া নড়ি ধরতে পারে। আর হকিং যখন চিক নড়া ছড়া করে, তখন ডিভাইসটি তা ধরতে পারে। এভাবেই এখন তার সামনে থাকা মনিটর থেকে একটা করে শব্দ সিলেক্ট করে।
এটা তো গেলো লেখার পাট। বলার জন্য এভাবে আগে লিখে একটা বাক্য, তারপর সে গুলো ভয়েসে কনভার্ট করে। লেকচার দেওয়ার জন্য আগে এভাবে লিখে লেকচার গুলো তৈরি করত।
যে সব বাক্য গুলো সব সময় বলতে হয়, যে সে গুলোর লিস্ট রয়েছে, সে গুলো সিলেক্ট করে সহজেই বলতে পারে।
আবার কোন বাক্যের পর কোন বাক্য বলবে, তার একটা সম্ভাব্য তালিকে দেখায়। কিছুটা বুদ্ধিমান সিস্টেম।
১৯৮৬ থেকে এভাবে যোগাযোগ করে আসছে।
এখনো একই ভাবেই যোগাযোগ করে, তবে আগের সফটওয়ারটা শুধু নতুন সিস্টেমে রিপ্লেস করেছে আরকি। কত কষ্ট করে যোগাযোগ করতে। এভাবেই লিখছে অনেক গুলো বই!
অবাক করে। আজও। প্রথম যখন জানলাম, কিভাবে হকিং যোগাযোগ করে, লেকচার দেয়। কথা বলে। সেই প্রথম দিনের মত।
তার এখন শুধু মাত্র একটা মস্তিক রয়েছে। বলতে গেলে আর সবই অচল। তারপর ও থেমে নেই ।। সংগ্রামের একটা জীবন্ত উদাহরণ। আরো বিজ্ঞানের জন্য সংগ্রাম।
আর আমাদের? সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সচল। সম্ভবত এক মাত্র মস্তিষ্ক ছাড়া। দরকার একটু চেষ্টার, ভালো ভাবে কোন কিছু করার।
এ দুটি লিঙ্ক দেখা যেতে পারেঃ
আগে হাতের আগুল যখন নাড়াতে পারত, তখন হাতে একটা রিমোটের মত ছিল, যা দিয়ে সিলেক্ট এর কাজ করত। মাউসের মত আরকি। ঠিক মত ঐটা ধরতেও কষ্ট হত। এর পর হাত আর নাড়াতে পারে নি। এখন চশমার সাথে ছোট একটা ইনফারেড ডিভাইস রয়েছে, যা দিয়ে মুখের মাসল / চিক এর মাসল এর নড়া নড়ি ধরতে পারে। আর হকিং যখন চিক নড়া ছড়া করে, তখন ডিভাইসটি তা ধরতে পারে। এভাবেই এখন তার সামনে থাকা মনিটর থেকে একটা করে শব্দ সিলেক্ট করে।
এটা তো গেলো লেখার পাট। বলার জন্য এভাবে আগে লিখে একটা বাক্য, তারপর সে গুলো ভয়েসে কনভার্ট করে। লেকচার দেওয়ার জন্য আগে এভাবে লিখে লেকচার গুলো তৈরি করত।
যে সব বাক্য গুলো সব সময় বলতে হয়, যে সে গুলোর লিস্ট রয়েছে, সে গুলো সিলেক্ট করে সহজেই বলতে পারে।
আবার কোন বাক্যের পর কোন বাক্য বলবে, তার একটা সম্ভাব্য তালিকে দেখায়। কিছুটা বুদ্ধিমান সিস্টেম।
১৯৮৬ থেকে এভাবে যোগাযোগ করে আসছে।
এখনো একই ভাবেই যোগাযোগ করে, তবে আগের সফটওয়ারটা শুধু নতুন সিস্টেমে রিপ্লেস করেছে আরকি। কত কষ্ট করে যোগাযোগ করতে। এভাবেই লিখছে অনেক গুলো বই!
অবাক করে। আজও। প্রথম যখন জানলাম, কিভাবে হকিং যোগাযোগ করে, লেকচার দেয়। কথা বলে। সেই প্রথম দিনের মত।
তার এখন শুধু মাত্র একটা মস্তিক রয়েছে। বলতে গেলে আর সবই অচল। তারপর ও থেমে নেই ।। সংগ্রামের একটা জীবন্ত উদাহরণ। আরো বিজ্ঞানের জন্য সংগ্রাম।
আর আমাদের? সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সচল। সম্ভবত এক মাত্র মস্তিষ্ক ছাড়া। দরকার একটু চেষ্টার, ভালো ভাবে কোন কিছু করার।
এ দুটি লিঙ্ক দেখা যেতে পারেঃ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন