ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইউনিটের
ভর্তি পরীক্ষায় এবারে অংশ নিচ্ছেন তিন লাখের বেশি শিক্ষার্থী।
ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন গত বছরের ভর্তি
পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারীরা।
অঙ্কে জোর দাও
আল-জামিল
‘ক’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় (২০১৩) প্রথম
বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ক’ ইউনিট। ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষার জন্য হাতে সময় রয়েছে এক সপ্তাহের কম। এ সময়ে নতুন কিছু পড়ার চেয়ে জানা বিষয়গুলোই ঝালাই করে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
‘ক’ ইউনিটে চারটি বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। প্রতিটি বিষয়ে ৩০ করে মোট ১২০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞান উত্তর দেওয়া বাধ্যতামূলক। যারা চতুর্থ বিষয় হিসেবে গণিত অথবা জীববিজ্ঞান পড়েছ, তারা এর যেকোনো একটি বাদ দিয়ে ইংরেজি বা বাংলার উত্তর দিতে পারো। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে ০.২৫ নম্বর। তাই নিশ্চিত না হয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেওয়া উচিত নয়। ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪৮। এ বছরের পরীক্ষার্থীদের জন্য আমার পরামর্শ থাকবে, বিগত সালের প্রশ্নগুলো নিয়মিত চর্চা করো। এবার যেহেতু ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না, তাই মাথায় অঙ্ক করার কৌশল বেশি করে আয়ত্ত করতে হবে।
ইংরেজিতে বাড়তি যত্ন নাও
রিয়াজুল হক
‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় (২০১৩) প্রথম
মানবিকের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৯ সেপ্টেম্বর। ‘খ’ ইউনিটে প্রশ্ন আসে বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান থেকে।
ভর্তি পরীক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ইংরেজিতে ভালো করা গেলে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে যাওয়া যায়। ইংরেজিতে ভালো করার সহজ উপায় গ্রামারের ওপর পূর্ণাঙ্গ দখল। উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির ‘English For Today’ বই খুব ভালো করে পড়তে বলব। পাশাপাশি ইংরেজি পত্রিকা পড়লে তোমাদের শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হবে, যা প্যাসেজ ও ইলেকটিভ ইংলিশের উত্তর করার জন্য সহায়ক হতে পারে।
বাংলায় ভালো করতে হলে ‘উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সংকলন’ এবং নবম-দশম শ্রেণির ‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ’ খুবই কার্যকর। বাক্যসংকোচন, বাগধারা, প্রবাদ-প্রবচন, শুদ্ধিকরণ প্রভৃতি বিষয়ে অনেক প্রশ্ন আসে।
বাংলা ও ইংরেজির মতো সাধারণ জ্ঞানও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সমসাময়িক বিশ্বের খবরাখবর তোমাদের নখদর্পণে থাকতে হবে। এ জন্য দৈনিক পত্রিকা ও রেডিও-টেলিভিশনের খবর এ ব্যাপারে দারুণ সহায়ক।
চাই সাধারণ জ্ঞানে দখল
নুসরাত জাহান
‘ঘ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় (২০১৩) বিজ্ঞানে প্রথম
‘ঘ’ ইউনিট হচ্ছে বিভাগ পরিবর্তনের ইউনিট। বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও কলা—সবার জন্য একই ভর্তি পরীক্ষা হলেও মেধাতালিকা আলাদা হয়। ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৬ সেপ্টেম্বর। ‘ঘ’ ইউনিটের জন্য হাতে এখনো বেশ কিছুটা সময় আছে।
‘ঘ’ ইউনিটে ১০০টি প্রশ্নে ১২০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১.২। বাংলা ও ইংরেজি থেকে ২৫টি এবং সাধারণ জ্ঞান থেকে ৫০টি প্রশ্ন থাকে। সাধারণ জ্ঞান অংশটিতে আলাদা ২৫টি করে বাংলাদেশবিষয়ক ও আন্তর্জাতিক ঘটনার ওপর প্রশ্ন থাকে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৩০ করে নম্বর কাটা যাবে। বিগত বছরের প্রশ্নপত্র ভালোমতো পড়লে ‘ঘ’ ইউনিটে ভালো করা বেশ সহজ হয়।
নিয়মিত খবর দেখো। পত্রিকা পড়ো। খেলাধুলা, আবিষ্কার, রাজনীতি, স্থাপনা, পুরস্কার, সাম্প্রতিক আলোচিত ঘটনা ইত্যাদি সম্বন্ধে ভালো ধারণা রাখতে হবে। বিভিন্ন সাল-তারিখ মনে রাখতে হবে।
নিয়মিত চর্চার বিকল্প নেই
ইয়াসিন আরাফাত
‘ঘ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় (২০১৩) বাণিজ্যে প্রথম
যারা উচ্চমাধ্যমিকে বাণিজ্যে পড়েছ, তাদের জন্য ‘ঘ’ ইউনিটের আসনসংখ্যা কম বলে প্রতিযোগিতা থাকে বেশি। এখানে বাংলা ও ইংরেজির পাশাপাশি সাধারণ জ্ঞান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিগত কয়েক বছরের প্রশ্নগুলো বারবার অনুশীলন করো ভালোভাবে৷ বাংলা প্রথম পত্রে গল্প ও কবিতা থেকে প্রশ্ন হয়। আর ইংরেজিতে বিপরীত শব্দ, প্রতিশব্দ ইত্যাদি মনে রাখবে৷ বিগত বছরগুলোয় এ ধরনের প্রশ্ন এসেছে। সত্যি বলতে কী, ‘ঘ’ ইউনিটে সাধারণ জ্ঞান অংশটা ভালো করলে সুযোগ পাওয়াটা সহজ হয়। এ জন্য নিয়মিত সংবাদপত্র পড়া আর টিভির খবর দেখার বিকল্প নেই। পত্রিকা পড়তে গিয়ে নতুন কোনো তথ্য পেলে তা অবশ্যই নোট রাখবে। আর বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নগুলোও বারবার অনুশীলন করো।
পত্রিকা পড়া ছাড়াও বিসিএস গাইড বই থেকে সাধারণ জ্ঞানের অধ্যায়গুলো ভালো করে পড়তে পারো। সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে যেকোনো প্রশ্ন আসতে পারে। তাই তোমার তথ্যভান্ডার যত সমৃদ্ধ হবে, তোমার জন্য উত্তর করা তত সহজ হবে।
গ্রন্থনা: জাহিদ হোসাইন খান, সজীব মিয়া ও মনীষ দাশ
অঙ্কে জোর দাও
আল-জামিল
‘ক’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় (২০১৩) প্রথম
বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ক’ ইউনিট। ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষার জন্য হাতে সময় রয়েছে এক সপ্তাহের কম। এ সময়ে নতুন কিছু পড়ার চেয়ে জানা বিষয়গুলোই ঝালাই করে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
‘ক’ ইউনিটে চারটি বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। প্রতিটি বিষয়ে ৩০ করে মোট ১২০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞান উত্তর দেওয়া বাধ্যতামূলক। যারা চতুর্থ বিষয় হিসেবে গণিত অথবা জীববিজ্ঞান পড়েছ, তারা এর যেকোনো একটি বাদ দিয়ে ইংরেজি বা বাংলার উত্তর দিতে পারো। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে ০.২৫ নম্বর। তাই নিশ্চিত না হয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেওয়া উচিত নয়। ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪৮। এ বছরের পরীক্ষার্থীদের জন্য আমার পরামর্শ থাকবে, বিগত সালের প্রশ্নগুলো নিয়মিত চর্চা করো। এবার যেহেতু ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না, তাই মাথায় অঙ্ক করার কৌশল বেশি করে আয়ত্ত করতে হবে।
ইংরেজিতে বাড়তি যত্ন নাও
রিয়াজুল হক
‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় (২০১৩) প্রথম
মানবিকের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৯ সেপ্টেম্বর। ‘খ’ ইউনিটে প্রশ্ন আসে বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান থেকে।
ভর্তি পরীক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ইংরেজিতে ভালো করা গেলে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে যাওয়া যায়। ইংরেজিতে ভালো করার সহজ উপায় গ্রামারের ওপর পূর্ণাঙ্গ দখল। উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির ‘English For Today’ বই খুব ভালো করে পড়তে বলব। পাশাপাশি ইংরেজি পত্রিকা পড়লে তোমাদের শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হবে, যা প্যাসেজ ও ইলেকটিভ ইংলিশের উত্তর করার জন্য সহায়ক হতে পারে।
বাংলায় ভালো করতে হলে ‘উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সংকলন’ এবং নবম-দশম শ্রেণির ‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ’ খুবই কার্যকর। বাক্যসংকোচন, বাগধারা, প্রবাদ-প্রবচন, শুদ্ধিকরণ প্রভৃতি বিষয়ে অনেক প্রশ্ন আসে।
বাংলা ও ইংরেজির মতো সাধারণ জ্ঞানও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সমসাময়িক বিশ্বের খবরাখবর তোমাদের নখদর্পণে থাকতে হবে। এ জন্য দৈনিক পত্রিকা ও রেডিও-টেলিভিশনের খবর এ ব্যাপারে দারুণ সহায়ক।
চাই সাধারণ জ্ঞানে দখল
নুসরাত জাহান
‘ঘ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় (২০১৩) বিজ্ঞানে প্রথম
‘ঘ’ ইউনিট হচ্ছে বিভাগ পরিবর্তনের ইউনিট। বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও কলা—সবার জন্য একই ভর্তি পরীক্ষা হলেও মেধাতালিকা আলাদা হয়। ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৬ সেপ্টেম্বর। ‘ঘ’ ইউনিটের জন্য হাতে এখনো বেশ কিছুটা সময় আছে।
‘ঘ’ ইউনিটে ১০০টি প্রশ্নে ১২০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১.২। বাংলা ও ইংরেজি থেকে ২৫টি এবং সাধারণ জ্ঞান থেকে ৫০টি প্রশ্ন থাকে। সাধারণ জ্ঞান অংশটিতে আলাদা ২৫টি করে বাংলাদেশবিষয়ক ও আন্তর্জাতিক ঘটনার ওপর প্রশ্ন থাকে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৩০ করে নম্বর কাটা যাবে। বিগত বছরের প্রশ্নপত্র ভালোমতো পড়লে ‘ঘ’ ইউনিটে ভালো করা বেশ সহজ হয়।
নিয়মিত খবর দেখো। পত্রিকা পড়ো। খেলাধুলা, আবিষ্কার, রাজনীতি, স্থাপনা, পুরস্কার, সাম্প্রতিক আলোচিত ঘটনা ইত্যাদি সম্বন্ধে ভালো ধারণা রাখতে হবে। বিভিন্ন সাল-তারিখ মনে রাখতে হবে।
নিয়মিত চর্চার বিকল্প নেই
ইয়াসিন আরাফাত
‘ঘ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় (২০১৩) বাণিজ্যে প্রথম
যারা উচ্চমাধ্যমিকে বাণিজ্যে পড়েছ, তাদের জন্য ‘ঘ’ ইউনিটের আসনসংখ্যা কম বলে প্রতিযোগিতা থাকে বেশি। এখানে বাংলা ও ইংরেজির পাশাপাশি সাধারণ জ্ঞান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিগত কয়েক বছরের প্রশ্নগুলো বারবার অনুশীলন করো ভালোভাবে৷ বাংলা প্রথম পত্রে গল্প ও কবিতা থেকে প্রশ্ন হয়। আর ইংরেজিতে বিপরীত শব্দ, প্রতিশব্দ ইত্যাদি মনে রাখবে৷ বিগত বছরগুলোয় এ ধরনের প্রশ্ন এসেছে। সত্যি বলতে কী, ‘ঘ’ ইউনিটে সাধারণ জ্ঞান অংশটা ভালো করলে সুযোগ পাওয়াটা সহজ হয়। এ জন্য নিয়মিত সংবাদপত্র পড়া আর টিভির খবর দেখার বিকল্প নেই। পত্রিকা পড়তে গিয়ে নতুন কোনো তথ্য পেলে তা অবশ্যই নোট রাখবে। আর বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নগুলোও বারবার অনুশীলন করো।
পত্রিকা পড়া ছাড়াও বিসিএস গাইড বই থেকে সাধারণ জ্ঞানের অধ্যায়গুলো ভালো করে পড়তে পারো। সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে যেকোনো প্রশ্ন আসতে পারে। তাই তোমার তথ্যভান্ডার যত সমৃদ্ধ হবে, তোমার জন্য উত্তর করা তত সহজ হবে।
গ্রন্থনা: জাহিদ হোসাইন খান, সজীব মিয়া ও মনীষ দাশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন