ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মীর মেহেদী ফারুক ১৪ জুন–১৪ আগস্ট সার্ন–এ ইন্টারশিপ করে এলেন। তাঁর অভিজ্ঞতায় জানা যাক সার্নের গল্প।
সার্নে প্রতি মাসে আয়োজিত হয় হিগস সম্মেলন। সেই সম্মেলনে নিজের কাজের অগ্রগতি দেখতে গিয়ে আমি কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। সার্ন পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণার জন্য পৃথিবীর বৃহত্তম স্থান। পৃথিবীজুড়ে আলোড়ন তোলা কত গবেষণা চলছে এখানে, চারপাশে আছেন পৃথিবীর সেরা গবেষক ও বিজ্ঞানীরা। তাঁদের সামনে নিজের কথা বলব, ভাবতেই শরীর শিরশিরিয়ে উঠছিল। মঞ্চে উঠে নিজের পরিচয় দিলাম, আমি এসেছি সত্যেন্দ্রনাথ বসুর (এসএন বোস) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, যে বিশ্ববিদ্যালেয় তিনি ‘বোস–আইনস্টাইন’ তত্ত্ব আবিষ্কার করেছিলেন। সম্মেলনের সবাই আমাকে অভিবাদন জানালেন। এটি ছিল আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের একটি ব্যাপার।
আমি এখন পড়ছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে। এর আগে স্নাতক (সম্মান) সম্পন্ন করেছি ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে। প্রথম বর্ষের ক্লাসে একদিন মডার্ন ফিজিকসের অংশ হিসেবে কোয়ান্টাম মেকানিকসের ওপর আলোচনা হলো। এ বিষয়টি আমার মনোজগৎকে চুম্বকের মতো আকর্ষণ করল। লাইব্রেরিতে গিয়ে আমি এ বিষয়ের বই নিয়ে পড়তে শুরু করলাম। পড়তে পড়তে আমি বুঝতে পারলাম, তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানই আমার স্বপ্নের জগৎজুড়ে আছে। সিদ্ধান্ত নিলাম, এ বিষয়েই আমি পড়ালেখা করব। দ্বিতীয় বর্ষ থেকে আমি নিজ আগ্রহে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ক্লাস শুরু করলাম, সে বিভাগের অনুমতি নিয়ে, সেই সঙ্গে আমার নিজের বিভাগের লেখাপড়াও চলতে থাকল। শিক্ষকদের সহযোগিতায় ও বিভাগের বড় ভাইদের সঙ্গে কথা বলে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের নানা বিষয় আমি বুঝতে পারলাম, এতে করে বিষয়টির প্রতি আমার ভালোবাসা দিন দিন বাড়তেই থাকল।
পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে কাজ করেছি ভূঁইয়া স্যারের (ড. গোলাম মোহাম্মদ ভূঁইয়া) সঙ্গে। তৃতীয় বর্ষে পড়ার সময়ে আমার প্রথম গবেষণাপত্র ছাপা হয় ইউরোপের বিখ্যাত ‘এলসেভিওর ফিজিকা’ জার্নালে। এর পরের বছর আমার দ্বিতীয় গবেষণাপত্র ছাপা হয় ‘আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব ফিজিকসে’। দুটি গবেষণাপত্রই ছিল লিকুইড মেটাল বা তরল ধাতু বিষয়ে। ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক শেষ করে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই ‘তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান’ বিষয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ভর্তি হলাম। এর মাঝে আমি সার্নসহ বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্ন (শিক্ষানবিশ) হিসেবে কাজ করার জন্য আবেদন করতে থাকি। এ বছরের মার্চে সার্ন থেকে আমার ইন্টার্নশিপ নিশ্চিত করা হয়। আমি তো অবাক! আমার ধারণা, আমার গবেষণাপত্রগুলো তারা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছে। আমাকে শতভাগ স্কলারশিপ দেয় সার্ন। অর্থাৎ আমার বিমান ভাড়া-থাকা-খাওয়া—সবকিছুই ছিল তাদের দায়িত্বে। আমি কিন্তু শুরুতে দুশ্চিন্তায় ছিলাম নিজের পছন্দমতো প্রকল্প পাব কি না, সে ব্যাপারে। কারণ, সার্নে ইন্টার্নদের সাধারণত খুব বড় কোনো প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করার নজির নেই। সেদিক থেকে ভাবতে গেলে আমি ভাগ্যবান, কেননা আমি যে প্রকল্পে কাজ করেছি, সেটি অনেক বড় একটি প্রকল্প এবং বিষয়টিও ছিল আমার পছন্দের। সার্নে গবেষণাপদ্ধতি হলো অনেকগুলো দল আলাদাভাবে একই বিষয়ের ওপর গবেষণা করে, যাতে গবেষণার ফলাফল নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ না থাকে। তাই প্রতিটি দল তাদের গবেষণার পদ্ধতি ও ফল নিয়ে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখে। আমি সিএমএস (কম্প্যাক্ট মিউওনসলিনয়েড) দলের সঙ্গে কাজ করেছি হিগস-বোসন কণা নিয়ে। হিগস-বোসন প্রোডাকশন মেকানিজমের একটি পদ্ধতি হলো বটমকোয়ার্ক থেকে হিগস-বোসন তৈরি করা। আমার কাজ ছিল এমন একটি প্রক্রিয়া তৈরি করা, যাতে খুব সহজে বিবিএইচ স্টাডি করা যায়।
সার্নে কাজ করে, তাদের গবেষণাপদ্ধতি থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। একই সঙ্গে ইউরোপের পরিবেশ নিয়েও হয়েছে বিস্তর অভিজ্ঞতা। মজার ব্যাপার বলি, আমার হোস্টেল ছিল ফ্রান্সে আর আমার অফিস ছিল সুইজারল্যান্ডে। প্রতিদিন সাইকেল চালিয়ে আমি এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতাম আর কি! আমার ভারি অবাক লাগত, কারণ আমি রাতে ঘুমাতাম এক দেশে, আর দিনে কাজ করতাম অন্য দেশে।
অনেক বিজ্ঞানী ও গবেষকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে সার্নে। আমার সুপারভাইজার ছিলেন ইতালিয়ান গবেষক ড. আন্দ্রেয়া মাসারনি। কাজের ক্ষেত্রে ভীষণ কুশলী ও অমায়িক এই মানুষটি আমার কাজে অনেক সাহায্য করেছেন। কাজের নানা বিষয়ে আরও সাহায্য করেছেন ডক্টর জেনসরডার।
এখানে এসে বন্ধুও পেয়েছি প্রচুর। তাদের মধ্যে আছে সুইডেনের উইলিয়াম, জার্মানির স্ট্যান, স্পেনের নোরিয়া, আয়ারল্যান্ডের কিরন ও আরও অনেকে। এদের প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ দেশের সেরা শিক্ষার্থী। তাদের দক্ষতার প্রতি সম্মান রেখেও আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি, আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরাও এদের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। আমাদের দরকার একজন পথপ্রদর্শকের। দরকার সরকারি পর্যায়ে আন্তরাষ্ট্রীয় উদ্যোগ। সঠিক রাস্তাটি দেখিয়ে দিলে আমরাও সেরা হয়ে উঠতে পারি সারা বিশ্বে।
সার্ন কী
ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ (সার্ন) পৃথিবীর অন্যতম সেরা গবেষণাগার। ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত পদার্থবিষয়ক এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডের সীমানা ঘিরে। সার্নকে বলা হয় ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের (ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ) জন্মস্থান, মূলত এখান থেকেই ইন্টারনেটের বিকাশ শুরু হয়। সার্নে ‘ঈশ্বর-কণা’ নামে পরিচিত হিগস–বোসন কণার অস্তিত্ব প্রথম প্রমাণিত হয়, যার জন্য ২০১৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান ফ্রাঁসোয়া ইংলার্ত ও পিটার হিগস।
সামার স্টুডেন্টস প্রোগ্রামের মাধ্যমে সার্ন পদার্থবিজ্ঞান, কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের তিন মাসের গবেষণার সুযোগ দেয়। আগ্রহীরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন এই ওয়েব ঠিকানায়: home.web.cern.ch/students-educators/summer-student-programme
সার্ন–এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট: home.web.cern.ch
সার্নে প্রতি মাসে আয়োজিত হয় হিগস সম্মেলন। সেই সম্মেলনে নিজের কাজের অগ্রগতি দেখতে গিয়ে আমি কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। সার্ন পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণার জন্য পৃথিবীর বৃহত্তম স্থান। পৃথিবীজুড়ে আলোড়ন তোলা কত গবেষণা চলছে এখানে, চারপাশে আছেন পৃথিবীর সেরা গবেষক ও বিজ্ঞানীরা। তাঁদের সামনে নিজের কথা বলব, ভাবতেই শরীর শিরশিরিয়ে উঠছিল। মঞ্চে উঠে নিজের পরিচয় দিলাম, আমি এসেছি সত্যেন্দ্রনাথ বসুর (এসএন বোস) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, যে বিশ্ববিদ্যালেয় তিনি ‘বোস–আইনস্টাইন’ তত্ত্ব আবিষ্কার করেছিলেন। সম্মেলনের সবাই আমাকে অভিবাদন জানালেন। এটি ছিল আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের একটি ব্যাপার।
আমি এখন পড়ছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে। এর আগে স্নাতক (সম্মান) সম্পন্ন করেছি ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে। প্রথম বর্ষের ক্লাসে একদিন মডার্ন ফিজিকসের অংশ হিসেবে কোয়ান্টাম মেকানিকসের ওপর আলোচনা হলো। এ বিষয়টি আমার মনোজগৎকে চুম্বকের মতো আকর্ষণ করল। লাইব্রেরিতে গিয়ে আমি এ বিষয়ের বই নিয়ে পড়তে শুরু করলাম। পড়তে পড়তে আমি বুঝতে পারলাম, তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানই আমার স্বপ্নের জগৎজুড়ে আছে। সিদ্ধান্ত নিলাম, এ বিষয়েই আমি পড়ালেখা করব। দ্বিতীয় বর্ষ থেকে আমি নিজ আগ্রহে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ক্লাস শুরু করলাম, সে বিভাগের অনুমতি নিয়ে, সেই সঙ্গে আমার নিজের বিভাগের লেখাপড়াও চলতে থাকল। শিক্ষকদের সহযোগিতায় ও বিভাগের বড় ভাইদের সঙ্গে কথা বলে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের নানা বিষয় আমি বুঝতে পারলাম, এতে করে বিষয়টির প্রতি আমার ভালোবাসা দিন দিন বাড়তেই থাকল।
পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে কাজ করেছি ভূঁইয়া স্যারের (ড. গোলাম মোহাম্মদ ভূঁইয়া) সঙ্গে। তৃতীয় বর্ষে পড়ার সময়ে আমার প্রথম গবেষণাপত্র ছাপা হয় ইউরোপের বিখ্যাত ‘এলসেভিওর ফিজিকা’ জার্নালে। এর পরের বছর আমার দ্বিতীয় গবেষণাপত্র ছাপা হয় ‘আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব ফিজিকসে’। দুটি গবেষণাপত্রই ছিল লিকুইড মেটাল বা তরল ধাতু বিষয়ে। ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক শেষ করে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই ‘তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান’ বিষয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ভর্তি হলাম। এর মাঝে আমি সার্নসহ বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্ন (শিক্ষানবিশ) হিসেবে কাজ করার জন্য আবেদন করতে থাকি। এ বছরের মার্চে সার্ন থেকে আমার ইন্টার্নশিপ নিশ্চিত করা হয়। আমি তো অবাক! আমার ধারণা, আমার গবেষণাপত্রগুলো তারা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছে। আমাকে শতভাগ স্কলারশিপ দেয় সার্ন। অর্থাৎ আমার বিমান ভাড়া-থাকা-খাওয়া—সবকিছুই ছিল তাদের দায়িত্বে। আমি কিন্তু শুরুতে দুশ্চিন্তায় ছিলাম নিজের পছন্দমতো প্রকল্প পাব কি না, সে ব্যাপারে। কারণ, সার্নে ইন্টার্নদের সাধারণত খুব বড় কোনো প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করার নজির নেই। সেদিক থেকে ভাবতে গেলে আমি ভাগ্যবান, কেননা আমি যে প্রকল্পে কাজ করেছি, সেটি অনেক বড় একটি প্রকল্প এবং বিষয়টিও ছিল আমার পছন্দের। সার্নে গবেষণাপদ্ধতি হলো অনেকগুলো দল আলাদাভাবে একই বিষয়ের ওপর গবেষণা করে, যাতে গবেষণার ফলাফল নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ না থাকে। তাই প্রতিটি দল তাদের গবেষণার পদ্ধতি ও ফল নিয়ে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখে। আমি সিএমএস (কম্প্যাক্ট মিউওনসলিনয়েড) দলের সঙ্গে কাজ করেছি হিগস-বোসন কণা নিয়ে। হিগস-বোসন প্রোডাকশন মেকানিজমের একটি পদ্ধতি হলো বটমকোয়ার্ক থেকে হিগস-বোসন তৈরি করা। আমার কাজ ছিল এমন একটি প্রক্রিয়া তৈরি করা, যাতে খুব সহজে বিবিএইচ স্টাডি করা যায়।
সার্নে কাজ করে, তাদের গবেষণাপদ্ধতি থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। একই সঙ্গে ইউরোপের পরিবেশ নিয়েও হয়েছে বিস্তর অভিজ্ঞতা। মজার ব্যাপার বলি, আমার হোস্টেল ছিল ফ্রান্সে আর আমার অফিস ছিল সুইজারল্যান্ডে। প্রতিদিন সাইকেল চালিয়ে আমি এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতাম আর কি! আমার ভারি অবাক লাগত, কারণ আমি রাতে ঘুমাতাম এক দেশে, আর দিনে কাজ করতাম অন্য দেশে।
অনেক বিজ্ঞানী ও গবেষকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে সার্নে। আমার সুপারভাইজার ছিলেন ইতালিয়ান গবেষক ড. আন্দ্রেয়া মাসারনি। কাজের ক্ষেত্রে ভীষণ কুশলী ও অমায়িক এই মানুষটি আমার কাজে অনেক সাহায্য করেছেন। কাজের নানা বিষয়ে আরও সাহায্য করেছেন ডক্টর জেনসরডার।
এখানে এসে বন্ধুও পেয়েছি প্রচুর। তাদের মধ্যে আছে সুইডেনের উইলিয়াম, জার্মানির স্ট্যান, স্পেনের নোরিয়া, আয়ারল্যান্ডের কিরন ও আরও অনেকে। এদের প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ দেশের সেরা শিক্ষার্থী। তাদের দক্ষতার প্রতি সম্মান রেখেও আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি, আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরাও এদের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। আমাদের দরকার একজন পথপ্রদর্শকের। দরকার সরকারি পর্যায়ে আন্তরাষ্ট্রীয় উদ্যোগ। সঠিক রাস্তাটি দেখিয়ে দিলে আমরাও সেরা হয়ে উঠতে পারি সারা বিশ্বে।
সার্ন কী
ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ (সার্ন) পৃথিবীর অন্যতম সেরা গবেষণাগার। ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত পদার্থবিষয়ক এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডের সীমানা ঘিরে। সার্নকে বলা হয় ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের (ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ) জন্মস্থান, মূলত এখান থেকেই ইন্টারনেটের বিকাশ শুরু হয়। সার্নে ‘ঈশ্বর-কণা’ নামে পরিচিত হিগস–বোসন কণার অস্তিত্ব প্রথম প্রমাণিত হয়, যার জন্য ২০১৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান ফ্রাঁসোয়া ইংলার্ত ও পিটার হিগস।
সামার স্টুডেন্টস প্রোগ্রামের মাধ্যমে সার্ন পদার্থবিজ্ঞান, কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের তিন মাসের গবেষণার সুযোগ দেয়। আগ্রহীরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন এই ওয়েব ঠিকানায়: home.web.cern.ch/students-educators/summer-student-programme
সার্ন–এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট: home.web.cern.ch
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন