‘অনেকের
ধারণা, বিকেএসপিতে শুধু খেলাধুলার চর্চাই হয়। কিন্তু না, এখানে নিয়ম মেনে
পড়তে হয়, নিয়ম মেনে খেলতে হয়। আমাদের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলার পাশাপাশি খেলা
ও পড়ায় ভালো ফলাফল করে আসছে।’ জানাচ্ছিলেন বিকেএসপির প্রধান ক্রিকেট কোচ
মাসুদ হাসান।
পাকিস্তানকে ‘বাংলাওয়াশে’র পরদিন ২৩ এপ্রিল আমরা হাজির হই সাভারে অবস্থিত বিকেএসপিতে।
জনসংযোগ কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান জানান, বিকেএসপিতে প্রধানত সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ ছাড়া স্নাতক (পাস) এবং ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগে ডিপ্লোমা ডিগ্রি নেওয়ারও সুযোগ রয়েছে বিকেএসপিতে।
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) দেশের একমাত্র সরকারি ক্রীড়া শিক্ষাকেন্দ্র। ঢাকা মহানগরের অদূরে সাভারের প্রধান কেন্দ্র ছাড়াও চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও দিনাজপুরে রয়েছে বিকেএসপির আঞ্চলিক কেন্দ্র।
বিকেএসপিতে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় সপ্তম শ্রেণিতে। সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ রয়েছে ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, শ্যুটিং, আর্চারি, জুডো, উশু, তায়কোয়ানদো ও অ্যাথলেটিকসে। এ ছাড়া চতুর্থ ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয় সাঁতার, জিমন্যাস্টিকস, বক্সিং ও টেনিসে। শুধু বাস্কেটবল বিভাগে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয়। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারণত বছরের শুরুতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
নির্বাচনপদ্ধতিঅসংখ্য আবেদনকারীর মধ্য থেকে প্রাথমিক বাছাইয়ের পর সাত দিনের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। সবশেষে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। ৭০ শতাংশ শারীরিক যোগ্যতা ও ক্রীড়া নৈপুণ্য, ১০ শতাংশ ক্রীড়াবিজ্ঞান-সংক্রান্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা, আর বাকি ২০ শতাংশ লিখিত পরীক্ষা।
প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রমবিকেএসপিতে নিয়মিত পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বাইরে প্রতিভা অন্বেষণের লক্ষ্যে দেশজুড়ে ‘ট্যালেন্ট হান্ট’ কার্যক্রম পরিচালনা করে বিকেএসপি। এ কার্যক্রমের লক্ষ্য সারা দেশ থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় খুঁজে বের করা। এরপর বিভিন্ন মেয়াদি প্রশিক্ষণ শেষে তাদের বিকেএসপির মূল শিক্ষা কার্যক্রমে ভর্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
স্নাতক ও ডিপ্লোমা কোর্স
দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মূল কার্যক্রমের বাইরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় প্রতিবছর কমবেশি ৬০ জন শিক্ষার্থী স্নাতক (পাস) এবং ৩০-৪০ জন শিক্ষার্থী ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের বিভিন্ন বিষয়ে ১০ মাসের ডিপ্লোমা কোর্সে বিকেএসপিতে ভর্তি করানো হয়।
বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আলী মুরতজা খান বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ার গড়ার আদর্শ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বিকেএসপি। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও এখানে ভর্তি ও আবাসন সুবিধা রয়েছে। একজন দক্ষ খেলোয়াড় তৈরির যেসব সুযোগ-সুবিধা দরকার, তার সবই আমরা বিকেএসপিতে দিয়ে থাকি।’
বিস্তারিত তথ্য: ০১৭১২-০০৭০৩৮, ০২-৭৭৮৯২১৫ www.bksp-bd.org।
বিকেএসপির কৃতি ক্রিকেটার
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম বিকেএসপির কৃতি শিক্ষার্থী। এ ছাড়া বিকেএসপি থেকে বের হয়েছেন আবদুর রাজ্জাক, এনামুল হক বিজয়, নাসির হোসেন, মুমিনুল হক, সৌম্য সরকারসহ জাতীয় ক্রিকেট দলের অনেক খ্যাতিমান খেলোয়াড়। এমনকি প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমানও ছিলেন বিকেএসপি শিক্ষার্থী।
পাকিস্তানকে ‘বাংলাওয়াশে’র পরদিন ২৩ এপ্রিল আমরা হাজির হই সাভারে অবস্থিত বিকেএসপিতে।
জনসংযোগ কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান জানান, বিকেএসপিতে প্রধানত সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ ছাড়া স্নাতক (পাস) এবং ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগে ডিপ্লোমা ডিগ্রি নেওয়ারও সুযোগ রয়েছে বিকেএসপিতে।
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) দেশের একমাত্র সরকারি ক্রীড়া শিক্ষাকেন্দ্র। ঢাকা মহানগরের অদূরে সাভারের প্রধান কেন্দ্র ছাড়াও চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও দিনাজপুরে রয়েছে বিকেএসপির আঞ্চলিক কেন্দ্র।
বিকেএসপিতে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় সপ্তম শ্রেণিতে। সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ রয়েছে ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, শ্যুটিং, আর্চারি, জুডো, উশু, তায়কোয়ানদো ও অ্যাথলেটিকসে। এ ছাড়া চতুর্থ ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয় সাঁতার, জিমন্যাস্টিকস, বক্সিং ও টেনিসে। শুধু বাস্কেটবল বিভাগে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয়। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারণত বছরের শুরুতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
নির্বাচনপদ্ধতিঅসংখ্য আবেদনকারীর মধ্য থেকে প্রাথমিক বাছাইয়ের পর সাত দিনের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। সবশেষে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। ৭০ শতাংশ শারীরিক যোগ্যতা ও ক্রীড়া নৈপুণ্য, ১০ শতাংশ ক্রীড়াবিজ্ঞান-সংক্রান্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা, আর বাকি ২০ শতাংশ লিখিত পরীক্ষা।
প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রমবিকেএসপিতে নিয়মিত পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বাইরে প্রতিভা অন্বেষণের লক্ষ্যে দেশজুড়ে ‘ট্যালেন্ট হান্ট’ কার্যক্রম পরিচালনা করে বিকেএসপি। এ কার্যক্রমের লক্ষ্য সারা দেশ থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় খুঁজে বের করা। এরপর বিভিন্ন মেয়াদি প্রশিক্ষণ শেষে তাদের বিকেএসপির মূল শিক্ষা কার্যক্রমে ভর্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
স্নাতক ও ডিপ্লোমা কোর্স
দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মূল কার্যক্রমের বাইরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় প্রতিবছর কমবেশি ৬০ জন শিক্ষার্থী স্নাতক (পাস) এবং ৩০-৪০ জন শিক্ষার্থী ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের বিভিন্ন বিষয়ে ১০ মাসের ডিপ্লোমা কোর্সে বিকেএসপিতে ভর্তি করানো হয়।
বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আলী মুরতজা খান বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ার গড়ার আদর্শ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বিকেএসপি। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও এখানে ভর্তি ও আবাসন সুবিধা রয়েছে। একজন দক্ষ খেলোয়াড় তৈরির যেসব সুযোগ-সুবিধা দরকার, তার সবই আমরা বিকেএসপিতে দিয়ে থাকি।’
বিস্তারিত তথ্য: ০১৭১২-০০৭০৩৮, ০২-৭৭৮৯২১৫ www.bksp-bd.org।
বিকেএসপির কৃতি ক্রিকেটার
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম বিকেএসপির কৃতি শিক্ষার্থী। এ ছাড়া বিকেএসপি থেকে বের হয়েছেন আবদুর রাজ্জাক, এনামুল হক বিজয়, নাসির হোসেন, মুমিনুল হক, সৌম্য সরকারসহ জাতীয় ক্রিকেট দলের অনেক খ্যাতিমান খেলোয়াড়। এমনকি প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমানও ছিলেন বিকেএসপি শিক্ষার্থী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন