উচ্চশিক্ষার্থে
কানাডাপ্রবাসী তূর্য অনেক দিন পর দেশে ফিরে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে চলে
এলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে। স্কুল-কলেজে পড়ার সময় বইয়ের পোকা এমন
বন্ধুরা এই কেন্দ্রে বসেই আড্ডা দিয়েছেন, বই পড়েছেন। তূর্যের বন্ধু
সায়েম বললেন, ‘এখন কাজের চাপ, সময়ের অভাব, তার ওপর রাস্তায় জ্যাম তো
আছেই, তাই কেন্দ্রে আসার সময় হয়ে ওঠে না।’ ফাহিমা যোগ করেন, ‘তাই বলে বই
পড়া তো থেমে থাকতে পারে না।’
আরও বেশি সংখ্যক পাঠককে বিনা মূল্যে এবং আরও সহজে বই পড়া কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এবার শুরু করেছে অনলাইনভিত্তিক বই পড়া কার্যক্রম ‘আলোর পাঠশালা’। তথ্যপ্রযুক্তির বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতেই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র গ্রামীণফোনের সার্বিক সহযোগিতায় নিজস্ব প্রকাশনার নির্বাচিত বই নিয়ে অনলাইনে এ কর্মসূচি শুরু করেছে। স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেট-সংযোগ ইত্যাদি এখন বেশ সহজলভ্য। তাই বই পড়ার সামাজিক আন্দোলনকে আরও একটু বেগ দিতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এই কর্মসূচিটি যেন যুগের চাহিদা ছিল।
আগ্রহী যে কেউ আলোর পাঠশালার ওয়েবসাইটে ঢুকে বিনা মূল্যে রেজিস্ট্রেশন করে সদস্য হতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন ফরম যথাযথভাবে পূরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঠকের মেইল ঠিকানায় সদস্য নিশ্চিতকরণ মেইল যাবে। এরপর বইগুলো ডাউনলোড করতে আপনাকে কোনো একটি সোশ্যাল সাইটের বাটনে ক্লিক করে শেয়ার বা লাইক দিতে হবে। মজার ব্যাপার হলো, ঘরে বসে বিনা মূল্যে বই তো পাওয়া যাবেই, সঙ্গে বোনাস হিসেবে প্রতিটি বই পড়া সাপেক্ষে থাকছে পুরস্কারেরও ব্যবস্থা।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ৭২টি বইয়ের ঝকঝকে ডিজিটাল ভার্সন দেওয়া আছে সাইটটিতে। পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হওয়ার জন্য আগের নিয়মকানুনে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রতিটি বই পড়ার পরে বইটি কী কী কারণে ভালো লাগল, তা ব্যাখ্যা করে বইটির ওপর ৪০০ শব্দের মধ্যে পঠিত বইয়ের ওপর বাংলায় একটি আলোচনা লিখে অনলাইনে নির্ধারিত ছকে দাখিল করতে হবে। প্রতিটি বই সম্পর্কে লেখার সময় এমনভাবে লিখতে হবে, যাতে তা থেকে স্পষ্ট হয় যে বইটি ভালোভাবে পড়া হয়েছে। শুধু পাঠকের নির্বাচিত লেখা গ্রহণ করা হবে। এ জন্য একদল নির্বাচক কাজ করবেন। একজন পাঠক প্রতি চারটি পঠিত বইয়ের জন্য একটি করে বই পুরস্কার হিসেবে পাবেন। নির্বাচনের ফলাফল পাঠককে ই-মেইলের মাধ্যমে বা সাইটে ফলাফল বিভাগে তালিকা দিয়ে অবহিত করা হবে। পুরস্কারের বই ডাকযোগে সদস্যের বর্তমান ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। প্রতি তিন মাস অন্তর এই পুরস্কার পাঠানো হবে। যেকোনো প্রবাসী পাঠকও এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন, তবে পুরস্কার পাওয়ার জন্য তাঁকে একটি বাংলাদেশি ঠিকানা ব্যবহার করতে হবে।
সাইটটি বর্তমানে পরিচালনা করেন কেন্দ্রের ডেপুটি টিম লিডার (প্রোগ্রাম) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, বর্তমানে আলোর পাঠশালার নিবন্ধিত সদস্যসংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ধীরে ধীরে একে একটি সমৃদ্ধ ই-লাইব্রেরি হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া এই সাইটে কেন্দ্রের প্রকাশিত বইয়ের তালিকা, বিভিন্ন তথ্য ও ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির অবস্থান জানা যাবে। আলোর পাঠশালার ওয়েব ঠিকানা হলো: alorpathshala.org
আরও বেশি সংখ্যক পাঠককে বিনা মূল্যে এবং আরও সহজে বই পড়া কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এবার শুরু করেছে অনলাইনভিত্তিক বই পড়া কার্যক্রম ‘আলোর পাঠশালা’। তথ্যপ্রযুক্তির বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতেই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র গ্রামীণফোনের সার্বিক সহযোগিতায় নিজস্ব প্রকাশনার নির্বাচিত বই নিয়ে অনলাইনে এ কর্মসূচি শুরু করেছে। স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেট-সংযোগ ইত্যাদি এখন বেশ সহজলভ্য। তাই বই পড়ার সামাজিক আন্দোলনকে আরও একটু বেগ দিতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এই কর্মসূচিটি যেন যুগের চাহিদা ছিল।
আগ্রহী যে কেউ আলোর পাঠশালার ওয়েবসাইটে ঢুকে বিনা মূল্যে রেজিস্ট্রেশন করে সদস্য হতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন ফরম যথাযথভাবে পূরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঠকের মেইল ঠিকানায় সদস্য নিশ্চিতকরণ মেইল যাবে। এরপর বইগুলো ডাউনলোড করতে আপনাকে কোনো একটি সোশ্যাল সাইটের বাটনে ক্লিক করে শেয়ার বা লাইক দিতে হবে। মজার ব্যাপার হলো, ঘরে বসে বিনা মূল্যে বই তো পাওয়া যাবেই, সঙ্গে বোনাস হিসেবে প্রতিটি বই পড়া সাপেক্ষে থাকছে পুরস্কারেরও ব্যবস্থা।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ৭২টি বইয়ের ঝকঝকে ডিজিটাল ভার্সন দেওয়া আছে সাইটটিতে। পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হওয়ার জন্য আগের নিয়মকানুনে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রতিটি বই পড়ার পরে বইটি কী কী কারণে ভালো লাগল, তা ব্যাখ্যা করে বইটির ওপর ৪০০ শব্দের মধ্যে পঠিত বইয়ের ওপর বাংলায় একটি আলোচনা লিখে অনলাইনে নির্ধারিত ছকে দাখিল করতে হবে। প্রতিটি বই সম্পর্কে লেখার সময় এমনভাবে লিখতে হবে, যাতে তা থেকে স্পষ্ট হয় যে বইটি ভালোভাবে পড়া হয়েছে। শুধু পাঠকের নির্বাচিত লেখা গ্রহণ করা হবে। এ জন্য একদল নির্বাচক কাজ করবেন। একজন পাঠক প্রতি চারটি পঠিত বইয়ের জন্য একটি করে বই পুরস্কার হিসেবে পাবেন। নির্বাচনের ফলাফল পাঠককে ই-মেইলের মাধ্যমে বা সাইটে ফলাফল বিভাগে তালিকা দিয়ে অবহিত করা হবে। পুরস্কারের বই ডাকযোগে সদস্যের বর্তমান ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। প্রতি তিন মাস অন্তর এই পুরস্কার পাঠানো হবে। যেকোনো প্রবাসী পাঠকও এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন, তবে পুরস্কার পাওয়ার জন্য তাঁকে একটি বাংলাদেশি ঠিকানা ব্যবহার করতে হবে।
সাইটটি বর্তমানে পরিচালনা করেন কেন্দ্রের ডেপুটি টিম লিডার (প্রোগ্রাম) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, বর্তমানে আলোর পাঠশালার নিবন্ধিত সদস্যসংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ধীরে ধীরে একে একটি সমৃদ্ধ ই-লাইব্রেরি হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া এই সাইটে কেন্দ্রের প্রকাশিত বইয়ের তালিকা, বিভিন্ন তথ্য ও ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির অবস্থান জানা যাবে। আলোর পাঠশালার ওয়েব ঠিকানা হলো: alorpathshala.org
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন