বাংলা ভাষায় প্রোগ্রামিং শিক্ষা

LATEST :
সাইটটির উন্নয়ন চলছে এবং শীঘ্রই উন্নয়ন করা হবে

সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৫

নাঈমার অগ্রযাত্রা

পদক, পুরস্কার আর নিজেকে যেন সমার্থক করে তুলেছেন জান্নাতুল নাঈমা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমসের এই কৃতী শিক্ষার্থী বিবিএতে সিজিপিএ ৪.০০-এর মধ্যে পেয়েছেন ৩.৯৪ এবং এমবিএতে পুরোপুরি ৪.০০। ভালো ফলাফলের জন্য নাঈমা পেয়েছেন ডিনস মেরিট অ্যাওয়ার্ড ও ডিনস অনার্স অ্যাওয়ার্ড। এ বছর ৪৯তম সমাবর্তনে পেয়েছেন আল-মারূফ খান স্বর্ণপদক। নতুন প্রবর্তিত হওয়া এ পদক পাওয়া প্রথম শিক্ষার্থী তিনি। ভালো ফলাফল ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে নিয়মিত অংশগ্রহণের জন্য নিজের আবাসিক হল থেকে নাঈমা পেয়েছেন ‘বেগম ফজিলাতুননেসা মুজিব স্মারক মেধা পদক’।
ছোটবেলা থেকেই মেধাবী নাঈমা। প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় তাঁর অর্জনের খাতায় ছিল মেধা তালিকায় বৃত্তি। প্রাথমিক শিক্ষাজীবন ঢাকায় থাকলেও মাধ্যমিক পড়াশোনা করেছেন চাঁদপুরে। মতলব উপজেলার মতলবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসিতে অর্জন করেন জিপিএ-৫। কলেজজীবন আবার ঢাকায়। ঢাকা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এইচএসসিতে আবারও একই বিভাগ থেকে পান জিপিএ-৫।
উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় নাঈমা পড়াশোনার গতি বদলের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে চলে আসেন বাণিজ্য অনুষদে। ভর্তি পরীক্ষার মেধা তালিকায় ৪৮তম স্থান অর্জন করে ভর্তি হন অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে। মানবিক থেকে বাণিজ্যে পড়তে আসায় কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি? এ প্রশ্নের উত্তরে নাঈমা জানান, কিছুটা হয়েছে। কিন্তু আমি পারব না, এমনটা কখনোই মনে হয়নি। আর আমার কাছে মনে হয়, ব্যবসায় শিক্ষা এমন একধরনের শিক্ষাধারা—যেখানে দুটি বিষয়ের ভিত্তি ভালো হওয়া দরকার, ইংরেজি ও গণিত। আমি সারাক্ষণ চেষ্টা করে গেছি ভালো করার।
পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমেও নাঈমার অর্জন অনেক। নাঈমা বলেন, স্কুল থেকেই অংশগ্রহণ করা হতো জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায়, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়। স্কুল পর্যায়ের এসব প্রতিযোগিতা থেকে পাওয়া তাঁর সনদ ও পুরস্কারের সংখ্যাও শতকের ঘর ছাড়ানো। শিক্ষাজীবনে স্কাউট আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। স্কাউটের অনন্য অর্জন প্রেসিডেন্টস স্কাউটস অ্যাওয়ার্ড পান ২০০৬ সালে।
নাঈমা সম্প্রতি নিজ বিভাগেই প্রভাষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন। নিজে পড়তে যেমন ভালোবাসেন, পড়ানোটাও তেমনি উপভোগ করেন। নাঈমা বলেন, ‘অদূর ভবিষ্যতে দেশের বাইরে উচ্চতর শিক্ষা নেওয়ার ইচ্ছা আছে। ব্যবসায়ের নৈতিক দিক ও পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে গবেষণা করতে চাই।’

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

স্বত্বাধিকারী © ২০১৫ প্রোগ্রামিং এর মহাজগৎ সব অধিকার সংরক্ষিত
^