টাইটানিক,
টার্মিনেটর আর অ্যাভাটার-এর মতো দুনিয়াজুড়ে আলোড়ন তোলা চলচ্চিত্রের পরিচালক
জেমস ক্যামেরন। পেয়েছেন অস্কার, গোল্ডেন গ্লোবসসহ অসংখ্য পুরস্কার। তাঁর
জন্ম ১৯৫৪ সালে কানাডার অন্টারিওর একটি গ্রামে। তিনি নাসা উপদেষ্টা পরিষদের
একজন সদস্য।
আমার ছোটবেলা কেটেছে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি পড়ে। হাইস্কুলে পড়ার সময় প্রতিদিন বাসে করে স্কুলে যেতে-আসতে আমার দুই ঘণ্টা লাগত। পুরো সময়টা আমি সায়েন্স ফিকশনের বিভিন্ন বইয়ের পাতায় মুখ গুঁজে কাটিয়ে দিতাম, এ যেন এক অন্য জগতে হারিয়ে যাওয়া। স্কুলের সময়ের বাইরে বাকি সবটুকু সময় আমার কাটত জঙ্গলে ঘুরে। ব্যাঙ, সাপ, পোকামাকড়, এমনকি পুকুরের পানি—সবকিছুর একটু করে নমুনা বাড়িতে নিয়ে এসে আমি অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে রেখে দেখার চেষ্টা করতাম। একদম খুদে বিজ্ঞানী বলতে যা বোঝায়, আমি ঠিক তাই ছিলাম। আমি পৃথিবীকে বুঝতে চাইতাম, দেখতে চাইতাম সম্ভাবনার সীমা কোথায়।
আমি ছবিও আঁকতাম। তখনকার দিনে তো ভিডিও গেমস ছিল না। চলচ্চিত্র দেখার সুযোগও ছিল সীমিত। তাই নিজের চিন্তায় যা খেলা করত তা নিজেই এঁকে ফেলতাম। দেখা যেত অঙ্ক ক্লাসে বসে বসে খাতার পেছনে ভিনগ্রহ, ভিনগ্রহের প্রাণী, রোবট, স্পেসশিপ—এসব আঁকিবুঁকি করছি। ১৫ বছর বয়সে আমি ঠিক করলাম সমুদ্রে স্কুবা ডাইভিং করব। কিন্তু আমি থাকতাম কাডার এক গ্রামে, সেখানে থেকে সাগর ৬০০ মাইল দূরে। কিন্তু আমি হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্র ছিলাম না। অবশেষে বাবা নিউইয়র্কে এক ডাইভিং শেখার ক্লাসের খোঁজ পেলেন, আর সেখানকার পুলে প্র্যাকটিস করতে করতেই আমি সার্টিফিকেটধারী স্কুবা ডাইভার হয়ে গেলাম! তারপর থেকে গত ৪০ বছরে আমি প্রায় তিন হাজার ঘণ্টা পানির নিচে কাটিয়েছি। গভীর সমুদ্রের তলদেশে জীবনের যে অবিশ্বাস্য বৈচিত্র্য আমি দেখেছি, তা আমার কল্পনাকেও হার মানায়। সমুদ্রের জলরাশির সঙ্গে সেই যে আমার ভালোবাসার শুরু, তা আজও ঠিক প্রথম দিনের মতোই অটুট।
ক্যারিয়ার হিসেবে যখন চলচ্চিত্র নির্মাণকে বেছে নিলাম, তখন ছোটবেলায় আঁকা ছবি আর বইয়ে পড়া গল্পগুলোকে এক সুতোয় বাঁধার দারুণ সুযোগ এল। স্বাভাবিকভাবেই ছবির গল্প হিসেবে আমার পছন্দ ছিল সায়েন্স ফিকশন, যেমন টার্মিনেটর, অ্যালিয়েনস আর অ্যাবিস। একদিন আমি স্টুডিওতে গিয়ে বললাম, আচ্ছা রোমিও জুলিয়েটের কাহিনি যদি জাহাজের প্রেক্ষাপটে বানাই তাহলে কেমন হয়? এক দারুণ রোমান্টিক ছবি, আবেগে ভরপুর। আসলে আমি মনে মনে চাইছিলাম, সাগরের তলদেশে ডুবে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ নিজের চোখে দেখতে। সত্যি বলতে কি, সাগরতলে ডুব দেওয়ার সেই আকাঙ্ক্ষা থেকেই টাইটানিক চলচ্চিত্রের জন্ম। স্টুডিও তো আর আমার মনের খবর জানে না! আমি তাদের বোঝালাম যে আমরা একদম কাছ থেকে ধ্বংসাবশেষের চিত্রগ্রহণ করব আর ছবির শুরুতেই তা দেখানো হবে। ছবির প্রচারণার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, দারুণ কাজে দেবে। অবশেষে তারা সাগরের তলদেশে অভিযানের ব্যয়ভার বহন করতে রাজি হলো। তার ঠিক ছয় মাস পর আমি নিজেকে আবিষ্কার করি উত্তর আটলান্টিকের আড়াই মাইল গভীরে, সত্যিকারের টাইটানিকের সামনে। ছবি নয়, কল্পনা নয়, বাস্তবের টাইটানিক! জানি শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। কিন্তু এভাবেই মানুষ কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দেয়, অসম্ভব বলতে কোনো কিছু নেই।
ছোটবেলায় আমি ছিলাম সায়েন্স ফিকশনের ভক্ত আর এখন আমি যা করি তা সত্যিকারের বিজ্ঞান চর্চা। কল্পনার পৃথিবী থেকে বাস্তবের পৃথিবীকে জানার এই যে যাত্রা, এ যাত্রায় আমি অনেক কিছু শিখেছি। বিজ্ঞান তো শিখতে হয়েছেই, সঙ্গে সঙ্গে শিখতে হয়েছে কীভাবে নেতৃত্ব দিতে হয়। অনেকে হয়তো মনে করবে, এ আর এমন কী। একজন পরিচালককে তো নেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেই হবে। কিন্তু ব্যাপারটি এত সহজ নয়। চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে আমি নেতৃত্ব দিতে শিখিনি, শিখেছি প্রামাণ্যচিত্র বানাতে গিয়ে। সেগুলোর দর্শক খুবই সীমিত। আহামরি খ্যাতি, গৌরব, পরিচিতি কিছুই নেই। আর্থিকভাবেও লাভজনক হওয়া তো দূরের কথা, খরচ তুলে আনতেই কষ্ট হয়। এমন অবস্থায় নিজেকে নিজে প্রশ্ন করলাম, ‘এসব কী করছি? কেন করছি? কী পাওয়ার জন্য করছি?’ আসলে কাজগুলো ছিল চ্যালেঞ্জিং, সফলভাবে সেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়াটাই আমাকে অনুপ্রাণিত করত।
যখন অ্যাভাটার নির্মাণে হাত দিলাম, সেখানে নেতৃত্বের কিছু নীতি কাজে লাগানোর চেষ্টা করলাম। যেমন তুমি যদি তোমার দলের সদস্যদের শ্রদ্ধা করো, তবেই তারা তোমাকে শ্রদ্ধা করবে। এর ফলাফল ছিল অবিশ্বাস্য। প্রামাণ্যচিত্রের মতো এখানেও আমাদের দলটা ছিল খুব ছোট, আর আমরা যা করতে চাইছিলাম তার জন্য দরকারি প্রযুক্তিও হাতের কাছে ছিল না। নিজেদের তাগিদেই আমাদের প্রযুক্তি তৈরি করে নিতে হয়েছিল। দারুণ রোমাঞ্চকর, দারুণ চ্যালেঞ্জিং একটা কাজ। আর সাড়ে চার বছর ধরে একসঙ্গে সেসব করতে গিয়ে আমরা একটি পরিবারে পরিণত হয়েছিলাম।
দলের সদস্যদের কাছ থেকে পাওয়া শ্রদ্ধা ও সম্মান পৃথিবীর সব পুরস্কারকে হার মানায়। আমার কাছে অনেক তরুণ নির্মাতা উপদেশ চাইতে আসেন। আমি তাঁদের বলি, ‘নিজের সামর্থ্যের ওপর আস্থা রাখো। ঝুঁকি নিতে দ্বিধা কোরো না।’
নাসায় একটি কথা প্রচলিত আছে যে এখানে ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই। তবে শিল্পকলা আর অভিযানের ক্ষেত্রে ব্যর্থতাকে আলিঙ্গন করে শেখাটা জরুরি। কারণ, এখানে বিশ্বাস করে অনেক বড় বড় ঝুঁকি নিতে হয়। ঝুঁকি না নিয়ে নতুন কিছু তৈরি করা যায় না। তাই আমার শেষ কথা হলো, ব্যর্থতাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, কিন্তু ঝুঁকি নিতে ইতস্তত করলে চলবে না। ব্যর্থ হলে হতে পারো, কিন্তু কখনো কোনো কাজকে ভয় পেয়ো না।
তথ্যসূত্র: যুক্তরাষ্ট্রের টেড সম্মেলনে জেমস ক্যামেরনের বক্তৃতা।
ইংরেজি থেকে সংক্ষেপিত অনুবাদ: অঞ্জলি সরকার
আমার ছোটবেলা কেটেছে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি পড়ে। হাইস্কুলে পড়ার সময় প্রতিদিন বাসে করে স্কুলে যেতে-আসতে আমার দুই ঘণ্টা লাগত। পুরো সময়টা আমি সায়েন্স ফিকশনের বিভিন্ন বইয়ের পাতায় মুখ গুঁজে কাটিয়ে দিতাম, এ যেন এক অন্য জগতে হারিয়ে যাওয়া। স্কুলের সময়ের বাইরে বাকি সবটুকু সময় আমার কাটত জঙ্গলে ঘুরে। ব্যাঙ, সাপ, পোকামাকড়, এমনকি পুকুরের পানি—সবকিছুর একটু করে নমুনা বাড়িতে নিয়ে এসে আমি অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে রেখে দেখার চেষ্টা করতাম। একদম খুদে বিজ্ঞানী বলতে যা বোঝায়, আমি ঠিক তাই ছিলাম। আমি পৃথিবীকে বুঝতে চাইতাম, দেখতে চাইতাম সম্ভাবনার সীমা কোথায়।
আমি ছবিও আঁকতাম। তখনকার দিনে তো ভিডিও গেমস ছিল না। চলচ্চিত্র দেখার সুযোগও ছিল সীমিত। তাই নিজের চিন্তায় যা খেলা করত তা নিজেই এঁকে ফেলতাম। দেখা যেত অঙ্ক ক্লাসে বসে বসে খাতার পেছনে ভিনগ্রহ, ভিনগ্রহের প্রাণী, রোবট, স্পেসশিপ—এসব আঁকিবুঁকি করছি। ১৫ বছর বয়সে আমি ঠিক করলাম সমুদ্রে স্কুবা ডাইভিং করব। কিন্তু আমি থাকতাম কাডার এক গ্রামে, সেখানে থেকে সাগর ৬০০ মাইল দূরে। কিন্তু আমি হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্র ছিলাম না। অবশেষে বাবা নিউইয়র্কে এক ডাইভিং শেখার ক্লাসের খোঁজ পেলেন, আর সেখানকার পুলে প্র্যাকটিস করতে করতেই আমি সার্টিফিকেটধারী স্কুবা ডাইভার হয়ে গেলাম! তারপর থেকে গত ৪০ বছরে আমি প্রায় তিন হাজার ঘণ্টা পানির নিচে কাটিয়েছি। গভীর সমুদ্রের তলদেশে জীবনের যে অবিশ্বাস্য বৈচিত্র্য আমি দেখেছি, তা আমার কল্পনাকেও হার মানায়। সমুদ্রের জলরাশির সঙ্গে সেই যে আমার ভালোবাসার শুরু, তা আজও ঠিক প্রথম দিনের মতোই অটুট।
ক্যারিয়ার হিসেবে যখন চলচ্চিত্র নির্মাণকে বেছে নিলাম, তখন ছোটবেলায় আঁকা ছবি আর বইয়ে পড়া গল্পগুলোকে এক সুতোয় বাঁধার দারুণ সুযোগ এল। স্বাভাবিকভাবেই ছবির গল্প হিসেবে আমার পছন্দ ছিল সায়েন্স ফিকশন, যেমন টার্মিনেটর, অ্যালিয়েনস আর অ্যাবিস। একদিন আমি স্টুডিওতে গিয়ে বললাম, আচ্ছা রোমিও জুলিয়েটের কাহিনি যদি জাহাজের প্রেক্ষাপটে বানাই তাহলে কেমন হয়? এক দারুণ রোমান্টিক ছবি, আবেগে ভরপুর। আসলে আমি মনে মনে চাইছিলাম, সাগরের তলদেশে ডুবে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ নিজের চোখে দেখতে। সত্যি বলতে কি, সাগরতলে ডুব দেওয়ার সেই আকাঙ্ক্ষা থেকেই টাইটানিক চলচ্চিত্রের জন্ম। স্টুডিও তো আর আমার মনের খবর জানে না! আমি তাদের বোঝালাম যে আমরা একদম কাছ থেকে ধ্বংসাবশেষের চিত্রগ্রহণ করব আর ছবির শুরুতেই তা দেখানো হবে। ছবির প্রচারণার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, দারুণ কাজে দেবে। অবশেষে তারা সাগরের তলদেশে অভিযানের ব্যয়ভার বহন করতে রাজি হলো। তার ঠিক ছয় মাস পর আমি নিজেকে আবিষ্কার করি উত্তর আটলান্টিকের আড়াই মাইল গভীরে, সত্যিকারের টাইটানিকের সামনে। ছবি নয়, কল্পনা নয়, বাস্তবের টাইটানিক! জানি শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। কিন্তু এভাবেই মানুষ কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দেয়, অসম্ভব বলতে কোনো কিছু নেই।
ছোটবেলায় আমি ছিলাম সায়েন্স ফিকশনের ভক্ত আর এখন আমি যা করি তা সত্যিকারের বিজ্ঞান চর্চা। কল্পনার পৃথিবী থেকে বাস্তবের পৃথিবীকে জানার এই যে যাত্রা, এ যাত্রায় আমি অনেক কিছু শিখেছি। বিজ্ঞান তো শিখতে হয়েছেই, সঙ্গে সঙ্গে শিখতে হয়েছে কীভাবে নেতৃত্ব দিতে হয়। অনেকে হয়তো মনে করবে, এ আর এমন কী। একজন পরিচালককে তো নেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেই হবে। কিন্তু ব্যাপারটি এত সহজ নয়। চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে আমি নেতৃত্ব দিতে শিখিনি, শিখেছি প্রামাণ্যচিত্র বানাতে গিয়ে। সেগুলোর দর্শক খুবই সীমিত। আহামরি খ্যাতি, গৌরব, পরিচিতি কিছুই নেই। আর্থিকভাবেও লাভজনক হওয়া তো দূরের কথা, খরচ তুলে আনতেই কষ্ট হয়। এমন অবস্থায় নিজেকে নিজে প্রশ্ন করলাম, ‘এসব কী করছি? কেন করছি? কী পাওয়ার জন্য করছি?’ আসলে কাজগুলো ছিল চ্যালেঞ্জিং, সফলভাবে সেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়াটাই আমাকে অনুপ্রাণিত করত।
যখন অ্যাভাটার নির্মাণে হাত দিলাম, সেখানে নেতৃত্বের কিছু নীতি কাজে লাগানোর চেষ্টা করলাম। যেমন তুমি যদি তোমার দলের সদস্যদের শ্রদ্ধা করো, তবেই তারা তোমাকে শ্রদ্ধা করবে। এর ফলাফল ছিল অবিশ্বাস্য। প্রামাণ্যচিত্রের মতো এখানেও আমাদের দলটা ছিল খুব ছোট, আর আমরা যা করতে চাইছিলাম তার জন্য দরকারি প্রযুক্তিও হাতের কাছে ছিল না। নিজেদের তাগিদেই আমাদের প্রযুক্তি তৈরি করে নিতে হয়েছিল। দারুণ রোমাঞ্চকর, দারুণ চ্যালেঞ্জিং একটা কাজ। আর সাড়ে চার বছর ধরে একসঙ্গে সেসব করতে গিয়ে আমরা একটি পরিবারে পরিণত হয়েছিলাম।
দলের সদস্যদের কাছ থেকে পাওয়া শ্রদ্ধা ও সম্মান পৃথিবীর সব পুরস্কারকে হার মানায়। আমার কাছে অনেক তরুণ নির্মাতা উপদেশ চাইতে আসেন। আমি তাঁদের বলি, ‘নিজের সামর্থ্যের ওপর আস্থা রাখো। ঝুঁকি নিতে দ্বিধা কোরো না।’
নাসায় একটি কথা প্রচলিত আছে যে এখানে ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই। তবে শিল্পকলা আর অভিযানের ক্ষেত্রে ব্যর্থতাকে আলিঙ্গন করে শেখাটা জরুরি। কারণ, এখানে বিশ্বাস করে অনেক বড় বড় ঝুঁকি নিতে হয়। ঝুঁকি না নিয়ে নতুন কিছু তৈরি করা যায় না। তাই আমার শেষ কথা হলো, ব্যর্থতাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, কিন্তু ঝুঁকি নিতে ইতস্তত করলে চলবে না। ব্যর্থ হলে হতে পারো, কিন্তু কখনো কোনো কাজকে ভয় পেয়ো না।
তথ্যসূত্র: যুক্তরাষ্ট্রের টেড সম্মেলনে জেমস ক্যামেরনের বক্তৃতা।
ইংরেজি থেকে সংক্ষেপিত অনুবাদ: অঞ্জলি সরকার
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন