সাউথ
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থিত। এই বিশ্ববিদ্যালয় শুধু
সার্কভুক্ত আটটি দেশের শিক্ষার্থীদের জন্যই। এখানে রয়েছে স্নাতকোত্তর,
এমফিল ও পিএইচডি পড়ার সুযোগ। রয়েছে বৃত্তির ব্যবস্থাও। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০
শতাংশ আসন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত।
এ যেন আট দেশের মিলনমেলা। সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে পড়ছেন সার্কভুক্ত আট দেশের শিক্ষার্থীরা। আমরা অনলাইনে কথা বলি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া কয়েকজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সঙ্গে।
লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান বলেন, ‘এটি সার্কভুক্ত দেশের শিক্ষার্থীদের জন্যই বিশেষায়িত এবং আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়। আমি ২০১৪ সালে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করি এবং ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়ে সার্ক ইন্ডিয়া সিলভার জুবিলি বৃত্তি নিয়ে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ভর্তি হই।’
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রুবিনা আকতার। পড়ছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে। এর আগে স্নাতক করেছেন চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন (এইউডব্লিউ) থেকে। সেখান থেকে দিল্লির সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে। রুবিনা জানান, ‘এখানে পড়তে এসে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছে। জানা হয়েছে তাঁদের সংস্কৃতি ও জীবনাচরণ সম্পর্কে। এখানে উপমহাদেশের শিক্ষকের বাইরে পশ্চিমের বিখ্যাত সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আর গবেষকেরা আমাদের পড়ান।’
এরপর শোনা হলো মোস্তফা হোসেন নামে আরেক শিক্ষার্থীর কথা। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের গবেষণাধর্মী কাজে উৎসাহ দিতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সব সময় চেষ্টা করেন।’
পড়ার বিষয়
বর্তমানে শুধু মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। ফলিত গণিত, বায়োটেকনোলজি, কম্পিউটার বিজ্ঞান, উন্নয়ন অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আইন বিষয়ে ভর্তি হওয়া যায়।
ভর্তির যোগ্যতা ও ভর্তি পরীক্ষামাস্টার্স ও এমফিল, পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ নম্বর বা সমান গ্রেড থাকতে হবে। মাস্টার্সে ভর্তির জন্য বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। মোট ১০০ নম্বরে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সময় তিন ঘণ্টা। ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাস ও পরীক্ষা-পদ্ধতির ধারণা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকেই পাওয়া যায়। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তি পরীক্ষা বাংলাদেশেই কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়।
আবেদনের প্রক্রিয়া
প্রতিবছরের শুরুতে ভর্তি কার্যক্রম চালু হয়। ভর্তি আবেদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ফরম ডাউনলোড করে পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্র অনলাইন বা কুরিয়ারযোগেও জমা দেওয়া যায়। অনলাইনে বা অফলাইনে আবেদনের জন্য ১০ মার্কিন ডলার ফি দিতে হয়।
খরচ ও বৃত্তি
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি নিয়ে পড়ার সুযোগ আছে। ভর্তি পরীক্ষা দিয়েই প্রেসিডেন্টস স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ আছে। এ ছাড়া রয়েছে আরও অনেক রকম বৃত্তি। বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে শিক্ষার্থীদের আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুযোগ
বাংলাদেশ থেকে প্রতি বিষয়ে তিনজন করে প্রতিবছর মাস্টার্স ও এমফিল, পিএইচডি প্রোগ্রামে ৩০ থেকে ৩৫ জন করে শিক্ষার্থী পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। সার্কের সদস্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা প্রতি বিষয়ে ১০ শতাংশ আসনে ভর্তির সুযোগ পেয়ে থাকেন। সাউথ এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশে অনুমোদিত বলে শিক্ষার্থীদের সার্কভুক্ত যেকোনো দেশে ক্যারিয়ার আর উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে।
যোগাযোগ
ভারতের নয়াদিল্লির চাণক্যপুরীর আকবর ভবন ক্যাম্পাসে চলছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা ‘সার্ক’-এর সদস্য দেশগুলোর সমন্বিত সহযোগিতায় সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম চলছে ২০১০ সাল থেকে। বিস্তারিত জানাতে ভিজিট করা যেতে পারে সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইট: www.sau.int
এ যেন আট দেশের মিলনমেলা। সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে পড়ছেন সার্কভুক্ত আট দেশের শিক্ষার্থীরা। আমরা অনলাইনে কথা বলি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া কয়েকজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সঙ্গে।
লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান বলেন, ‘এটি সার্কভুক্ত দেশের শিক্ষার্থীদের জন্যই বিশেষায়িত এবং আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়। আমি ২০১৪ সালে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করি এবং ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়ে সার্ক ইন্ডিয়া সিলভার জুবিলি বৃত্তি নিয়ে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ভর্তি হই।’
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রুবিনা আকতার। পড়ছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে। এর আগে স্নাতক করেছেন চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন (এইউডব্লিউ) থেকে। সেখান থেকে দিল্লির সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে। রুবিনা জানান, ‘এখানে পড়তে এসে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছে। জানা হয়েছে তাঁদের সংস্কৃতি ও জীবনাচরণ সম্পর্কে। এখানে উপমহাদেশের শিক্ষকের বাইরে পশ্চিমের বিখ্যাত সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আর গবেষকেরা আমাদের পড়ান।’
এরপর শোনা হলো মোস্তফা হোসেন নামে আরেক শিক্ষার্থীর কথা। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের গবেষণাধর্মী কাজে উৎসাহ দিতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সব সময় চেষ্টা করেন।’
পড়ার বিষয়
বর্তমানে শুধু মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। ফলিত গণিত, বায়োটেকনোলজি, কম্পিউটার বিজ্ঞান, উন্নয়ন অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আইন বিষয়ে ভর্তি হওয়া যায়।
ভর্তির যোগ্যতা ও ভর্তি পরীক্ষামাস্টার্স ও এমফিল, পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ নম্বর বা সমান গ্রেড থাকতে হবে। মাস্টার্সে ভর্তির জন্য বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। মোট ১০০ নম্বরে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সময় তিন ঘণ্টা। ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাস ও পরীক্ষা-পদ্ধতির ধারণা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকেই পাওয়া যায়। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তি পরীক্ষা বাংলাদেশেই কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়।
আবেদনের প্রক্রিয়া
প্রতিবছরের শুরুতে ভর্তি কার্যক্রম চালু হয়। ভর্তি আবেদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ফরম ডাউনলোড করে পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্র অনলাইন বা কুরিয়ারযোগেও জমা দেওয়া যায়। অনলাইনে বা অফলাইনে আবেদনের জন্য ১০ মার্কিন ডলার ফি দিতে হয়।
খরচ ও বৃত্তি
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি নিয়ে পড়ার সুযোগ আছে। ভর্তি পরীক্ষা দিয়েই প্রেসিডেন্টস স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ আছে। এ ছাড়া রয়েছে আরও অনেক রকম বৃত্তি। বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে শিক্ষার্থীদের আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুযোগ
বাংলাদেশ থেকে প্রতি বিষয়ে তিনজন করে প্রতিবছর মাস্টার্স ও এমফিল, পিএইচডি প্রোগ্রামে ৩০ থেকে ৩৫ জন করে শিক্ষার্থী পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। সার্কের সদস্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা প্রতি বিষয়ে ১০ শতাংশ আসনে ভর্তির সুযোগ পেয়ে থাকেন। সাউথ এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশে অনুমোদিত বলে শিক্ষার্থীদের সার্কভুক্ত যেকোনো দেশে ক্যারিয়ার আর উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে।
যোগাযোগ
ভারতের নয়াদিল্লির চাণক্যপুরীর আকবর ভবন ক্যাম্পাসে চলছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা ‘সার্ক’-এর সদস্য দেশগুলোর সমন্বিত সহযোগিতায় সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম চলছে ২০১০ সাল থেকে। বিস্তারিত জানাতে ভিজিট করা যেতে পারে সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইট: www.sau.int
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন