এর নাম লক্ষ্যভেদী খেলা। সামনের দেয়ালে টাঙানো গোল বোর্ড, তার মাঝখানে লেখা ‘স্বপ্ন’। দূর থেকে তির ছুড়ে বিদ্ধ করতে হবে স্বপ্নটাকে। লক্ষ্যভেদী খেলায় অগ্রহের কমতি নেই তরুণ-তরুণীদের। সকাল থেকেই তাই বোর্ডের সামনে ভিড়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বেড়েছে কুইজ প্রতিযোগিতা, পাঠক জরিপ আর আমার স্বপ্ন লেখার প্রতিযোগিতায়। এ যেন এক আনা দুই আনা করে ষোলো আনায় রূপ নেওয়ার গল্প।
প্রথম আেলা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল ৪ নভেম্বর। এ গল্পের শুরু ৭ নভেম্বর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রথম আলোর ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘উৎসব ১৬ আনা’ নামের পাঠকমেলায় ‘স্বপ্ন নিয়ে’র স্টলে। ঘড়ির কাঁটা সকাল ১০টার ঘর ছুঁয়েছে কি ছোঁয়নি, তা না দেখেও বলা যায় ষোলো আনা উৎসবের এক আনা পূরণ হয়ে গেছে ততক্ষণে। শত তরুণের ঢেউ তখন আছড়ে পড়েছে স্বপ্ন নিয়ের স্টলে। কেউ কুইজের ফরম পূরণ করছেন, কেউ আবার স্বপ্ন লিখে দেয়ালে টাঙিয়ে দিচ্ছেন, কেউ পাঠক জরিপের ফরম পূরণ করছেন, কেউ প্রিয় প্রতিবেদকের সঙ্গে সেলফি তুলছেন, কেউ মুঠোফোনের পেছনে স্বপ্ন নিয়ের স্টিকার লাগাচ্ছেন, কেউ লক্ষ্যভেদী খেলায় স্বপ্নকে বিদ্ধ করতে ব্যর্থ হয়েও ‘একবার না পারিলে দেখো শতবার’ প্রত্যয়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে বারবার চেষ্টা করেই যাচ্ছেন। এলাহি কাণ্ড বটে! বেলা যত বেড়েছে, সূর্যের উত্তাপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে উৎসবের উত্তাপ।
শুধু সাধারণ পাঠকের অংশগ্রহণই ছিল না এ উৎসবে, বিভিন্ন সময়ে স্বপ্ন নিয়ের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনের সঙ্গে মডেল হওয়া তারকারাও যোগ দিয়েছিলেন তাতে। এমনই এক মডেল স্বপ্ন নিয়েতে প্রকাশিত ‘চাকরি নিয়ে বিদেশ যাবেন’ শিরোনামের প্রতিবেদন উল্লেখ করে বলেন, ‘এই লেখার সঙ্গে যে ছবি ছাপা হয়েছিল, তাতে মডেল হয়েছিলাম আমি।’ এমন তথ্য পেয়ে তার চারপাশের তরুণেরা ব্যস্ত হয়ে পড়লেন তাঁর সঙ্গে ছবি তুলতে। চোখের সামনে তারকা, সেলফি না তুলে থাকা যায়! তারপর শুধুই ক্লিক… ক্লিক…।
প্রথম আেলা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল ৪ নভেম্বর। এ গল্পের শুরু ৭ নভেম্বর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রথম আলোর ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘উৎসব ১৬ আনা’ নামের পাঠকমেলায় ‘স্বপ্ন নিয়ে’র স্টলে। ঘড়ির কাঁটা সকাল ১০টার ঘর ছুঁয়েছে কি ছোঁয়নি, তা না দেখেও বলা যায় ষোলো আনা উৎসবের এক আনা পূরণ হয়ে গেছে ততক্ষণে। শত তরুণের ঢেউ তখন আছড়ে পড়েছে স্বপ্ন নিয়ের স্টলে। কেউ কুইজের ফরম পূরণ করছেন, কেউ আবার স্বপ্ন লিখে দেয়ালে টাঙিয়ে দিচ্ছেন, কেউ পাঠক জরিপের ফরম পূরণ করছেন, কেউ প্রিয় প্রতিবেদকের সঙ্গে সেলফি তুলছেন, কেউ মুঠোফোনের পেছনে স্বপ্ন নিয়ের স্টিকার লাগাচ্ছেন, কেউ লক্ষ্যভেদী খেলায় স্বপ্নকে বিদ্ধ করতে ব্যর্থ হয়েও ‘একবার না পারিলে দেখো শতবার’ প্রত্যয়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে বারবার চেষ্টা করেই যাচ্ছেন। এলাহি কাণ্ড বটে! বেলা যত বেড়েছে, সূর্যের উত্তাপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে উৎসবের উত্তাপ।
শুধু সাধারণ পাঠকের অংশগ্রহণই ছিল না এ উৎসবে, বিভিন্ন সময়ে স্বপ্ন নিয়ের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনের সঙ্গে মডেল হওয়া তারকারাও যোগ দিয়েছিলেন তাতে। এমনই এক মডেল স্বপ্ন নিয়েতে প্রকাশিত ‘চাকরি নিয়ে বিদেশ যাবেন’ শিরোনামের প্রতিবেদন উল্লেখ করে বলেন, ‘এই লেখার সঙ্গে যে ছবি ছাপা হয়েছিল, তাতে মডেল হয়েছিলাম আমি।’ এমন তথ্য পেয়ে তার চারপাশের তরুণেরা ব্যস্ত হয়ে পড়লেন তাঁর সঙ্গে ছবি তুলতে। চোখের সামনে তারকা, সেলফি না তুলে থাকা যায়! তারপর শুধুই ক্লিক… ক্লিক…।
উৎসবের আঁচ বাড়িয়েছিলেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা পাঠকেরাও। গাজীপুর থেকে এসেছেন মোরসালীন, শুভ্র, অনিমেষ আর পুলক। নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন সুজন, পলাশ, রনক, ত্বন্নী আর জেরিন। সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছে ‘টিম একাদশ’, মানে ১১ সদস্যের এক বাহিনী। উর্মি, অয়ন, জেবা, সালেহীন, মাশফিক, রেজা, অনন্ত, কাশফিয়া, মুমু, ফারজানা আর বিজয়—তাঁরা স্বপ্ন নিয়ের প্রতি ভালো লাগার কথা যেমন বলেছেন, তেমনি বলেছেন অভিযোগের কথাও। দিয়েছেন সুচিন্তিত মতামত। ‘আমার সবচেয়ে ভালো লাগে সফলদের স্বপ্নগাথা। প্রতি সংখ্যার সফলদের স্বপ্নগাথা আমি কেটে রাখি। যখনই কোনো কারণে হতাশ লাগে, তখন এসব লেখা আবার পড়ি। মনে সাহস বাড়ে। আত্মবিশ্বাস ফিরে পাই,’ বলছিলেন টিম একাদশের ফারজানা ইয়াসমিন।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে আসা মৃত্তিকা বায়রন খানের অবশ্য পছন্দ ‘ক্যাম্পাসের প্রিয় মুখ’ আর ‘মেধাবী মুখ’। তিনি নাকি পুরো সাত দিন অপেক্ষা করেন এই বিভাগের লেখা পড়ার জন্য। ‘কারণ এখানে নতুন নতুন প্রতিভাবান তরুণ-তরুণীর খবর পাই আমি। তাঁদের অসামান্য প্রতিভার খবর পড়ে নিজে উদ্বুদ্ধ হই।’—মৃত্তিকার সহজ স্বীকারোক্তি।
মৃত্তিকার স্বীকারোক্তি শেষ হতে না হতেই অনেকটা ‘অর্ডার অর্ডার’ ভঙ্গিতে হাত ওঠালেন ইংরেজি মাধ্যমে পড়ুয়া আলিফ-উজ-জামান ফারাবী। ‘আমার একটা অভিযোগ আছে…’ কথা শুরু করলেন তিনি, ‘স্বপ্ন নিয়ে তরুণদের ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ারভিত্তিক একটা পাতা। অথচ এ পাতায় আমাদের অর্থাৎ ইংরেজি মাধ্যমের তেমন কোনো খবর থাকে না বললেই চলে। এ বৈষম্যের অবসান চাই।’ পাশ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আতিক মৃদু গলায় বলেন, ‘শখের বসে একটু আধটু ছবি তুলি। ভেবেছিলাম, স্বপ্ন নিয়ের “ছবির কবি” বিভাগে পাঠাব। এখন দেখি সে বিভাগটাও অনিয়মিত!’ ছবির কবি নিয়মিত হবে বলে বিভাগীয় সম্পাদক তাঁকে আশ্বস্ত করা হয়।
আর ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত তরুণ শিক্ষার্থীর ভিড়। তাঁরা আরও বেশি বেশি ক্যাম্পাসের খবর চান, বেশি বেশি ক্যারিয়ারের খবর চান। পাতার কলেবর বৃদ্ধির পরামর্শ দেন কেউ কেউ। এর মধ্যে স্বপ্ন নিয়ে কুইজে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। প্রিয় লেখক আনিসুল হকের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে আবেগাপ্লুত গলায় বলেন, ‘এ স্মৃতি তাঁর জীবনে অক্ষয় হয়ে থাকবে।’
সব শেষে বিকেল নাগাদ স্বপ্ন নিয়ের স্টলে হাজির ফারহানা জাহান। বলার অপেক্ষা রাখে না, ৩১তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করা এ মেধাবীর উপস্থিতি সেদিন উৎসবকে ষোলো আনায় পরিপূর্ণ করেছিল। এমন মেধাবীকে সামনে পেয়ে অনেকের নানা জিজ্ঞাসা মাথা চাড়া দিয়ে উঠল—‘নতুন নিয়মে বিসিএস, কীভাবে প্রস্তুতি নেব, ইংরেজিতে বেশি জোর দেব নাকি সাধারণ জ্ঞানে, বাংলায় নাকি কম্পিউটার বিজ্ঞানে?’ অনেকে আবার এসব প্রশ্নের মাথায় জল ঢেলে উঠেপড়ে লাগলেন প্রিয় মেধাবীর সঙ্গে ফ্রেমবন্দী হতে। অতএব কথার আওয়াজ ছাপিয়ে তখন কেবল একটা শব্দই মুখর হয়ে উঠল—ক্লিক… ক্লিক…।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে আসা মৃত্তিকা বায়রন খানের অবশ্য পছন্দ ‘ক্যাম্পাসের প্রিয় মুখ’ আর ‘মেধাবী মুখ’। তিনি নাকি পুরো সাত দিন অপেক্ষা করেন এই বিভাগের লেখা পড়ার জন্য। ‘কারণ এখানে নতুন নতুন প্রতিভাবান তরুণ-তরুণীর খবর পাই আমি। তাঁদের অসামান্য প্রতিভার খবর পড়ে নিজে উদ্বুদ্ধ হই।’—মৃত্তিকার সহজ স্বীকারোক্তি।
মৃত্তিকার স্বীকারোক্তি শেষ হতে না হতেই অনেকটা ‘অর্ডার অর্ডার’ ভঙ্গিতে হাত ওঠালেন ইংরেজি মাধ্যমে পড়ুয়া আলিফ-উজ-জামান ফারাবী। ‘আমার একটা অভিযোগ আছে…’ কথা শুরু করলেন তিনি, ‘স্বপ্ন নিয়ে তরুণদের ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ারভিত্তিক একটা পাতা। অথচ এ পাতায় আমাদের অর্থাৎ ইংরেজি মাধ্যমের তেমন কোনো খবর থাকে না বললেই চলে। এ বৈষম্যের অবসান চাই।’ পাশ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আতিক মৃদু গলায় বলেন, ‘শখের বসে একটু আধটু ছবি তুলি। ভেবেছিলাম, স্বপ্ন নিয়ের “ছবির কবি” বিভাগে পাঠাব। এখন দেখি সে বিভাগটাও অনিয়মিত!’ ছবির কবি নিয়মিত হবে বলে বিভাগীয় সম্পাদক তাঁকে আশ্বস্ত করা হয়।
আর ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত তরুণ শিক্ষার্থীর ভিড়। তাঁরা আরও বেশি বেশি ক্যাম্পাসের খবর চান, বেশি বেশি ক্যারিয়ারের খবর চান। পাতার কলেবর বৃদ্ধির পরামর্শ দেন কেউ কেউ। এর মধ্যে স্বপ্ন নিয়ে কুইজে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। প্রিয় লেখক আনিসুল হকের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে আবেগাপ্লুত গলায় বলেন, ‘এ স্মৃতি তাঁর জীবনে অক্ষয় হয়ে থাকবে।’
সব শেষে বিকেল নাগাদ স্বপ্ন নিয়ের স্টলে হাজির ফারহানা জাহান। বলার অপেক্ষা রাখে না, ৩১তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করা এ মেধাবীর উপস্থিতি সেদিন উৎসবকে ষোলো আনায় পরিপূর্ণ করেছিল। এমন মেধাবীকে সামনে পেয়ে অনেকের নানা জিজ্ঞাসা মাথা চাড়া দিয়ে উঠল—‘নতুন নিয়মে বিসিএস, কীভাবে প্রস্তুতি নেব, ইংরেজিতে বেশি জোর দেব নাকি সাধারণ জ্ঞানে, বাংলায় নাকি কম্পিউটার বিজ্ঞানে?’ অনেকে আবার এসব প্রশ্নের মাথায় জল ঢেলে উঠেপড়ে লাগলেন প্রিয় মেধাবীর সঙ্গে ফ্রেমবন্দী হতে। অতএব কথার আওয়াজ ছাপিয়ে তখন কেবল একটা শব্দই মুখর হয়ে উঠল—ক্লিক… ক্লিক…।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন