ঘটনাটা
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের। বরাবরের মতোই অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী আল গোর।
আমরা সত্যিই খুব অবাক হলাম যখন দেখলাম বারবার তাঁর উপস্থাপনায় তিনি টেনে
আনছেন বাংলাদেশের কথা। বলছিলেন, দেশটা ছোট্ট হতে পারে কিন্তু সেই দেশ থেকে
বৈশ্বিক উষ্ণতায় কোনো অবদান নেই বললেই চলে। আর কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ,
তাও বিস্ময়করভাবে খুবই কম। আর সেখানে কি না দুর্ভাগ্যজনকভাবে পৃথিবীর বৃহৎ
রাষ্ট্রগুলোর সৃষ্ট বর্তমান বৈশ্বিক উষ্ণতার নিকৃষ্ট ছোবলের অন্যতম শিকার
এই দেশটা! তাঁর মতো একজন মানুষের কাছ থেকে নিজ বাংলাদেশ সম্বন্ধে এ রকম
মন্তব্য, তাও আবার অন্য দেশে বসে শুনতে পারা নিঃসন্দেহে এক পরম পাওয়া ছিল
আমাদের জন্য।
বলছিলাম, ‘ক্লাইমেট রিয়েলিটি লিডারশিপ কোর’–এর আয়োজনে গত ২২ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়ার তরুণদের নিয়ে লিডারশিপ ট্রেনিংয়ের কথা। এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান পরিবেশ রক্ষায় নেতৃত্ব তৈরির আন্দোলনে নামা আল গোর।
ঠিক কী উদ্দেশ্যে ছিল এই আয়োজন—বলতে গেলে প্রথমেই সংস্থাটি নিয়ে বলতে হয়। ‘কিছু মানুষ ভবিষ্যতের আশায় বসে থাকে; আর যঁারা প্রকৃত নেতা, তাঁরা ভবিষ্যৎ সৃষ্টি করে নেন’—প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে ঢুকতেই চোখে পড়ে লেখাটি। এই সংস্থার মূল উদ্দেশ্যই হলো কার্যকরী নেতৃত্ব তৈরি করা, যাঁরা কাজ করবেন পরিবেশ ও জলবায়ু রক্ষার্থে, কাজ করবেন পরিবেশের বিপর্যয় রোধে, একই সঙ্গে অপরকে অনুপ্রাণিত করবেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্বন্ধে জানতে ও সচেতন হতে। সমগ্র বিশ্বে এই সংস্থার অধীনে বর্তমানে প্রায় শতাধিক দেশের লক্ষাধিক ‘ক্লাইমেট লিডার’ রয়েছেন, যাঁরা বিভিন্ন সচেতনতামূলক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পরিবেশ বিপর্যয় রোধে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিন দিনব্যাপী এবারের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। ভারতের আইআইটি, আইআইএম, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়সহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এমআইএসটি, আইইউটি, বুয়েটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৮ জন শিক্ষার্থী। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছিলাম আমি, কাশফিয়া নেহরীন, হৈমন্তী বালা আর নিশাত ফারজানা; ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় থেকে অংশ নেন সৈয়দা নিশাত নায়লা; আইইউটির থেকে নায়িম মাদানী, মুহতাসিম রুশদী, মাশরেকুর রহমান, মনসুর আহমেদ; আইসিডিডিআরবির মফিজ রহমান, সেন্ট যোসেফ কলেজের তানজিম ইসলাম, এমআইএসটির তানভীর পাশা, ইশতিয়াক আহমেদ ও শাদমান অয়ন। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে আরও ছিলেন আশফাকুর রহমান, আহমেদ তানভীর ও দিপু হক। উল্লেখ্য, ওই আয়োজনে নির্বাচিত আমরা ১৮ জনই আগামী এক বছর ‘ক্লাইমেট লিডার’ হিসেবে কাজ করতে যাচ্ছি এ দেশের জলবায়ু উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে। আর হ্যাঁ, বলে রাখা ভালো, আমাদের কাজের মধ্যে থাকবে পরিবেশের জন্য সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে যেকোনো কর্মসূচি। হতে পারে তা ব্লগিং, শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে, প্রিন্ট মিডিয়ায় পরিবেশ-সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ লিখে, এমনকি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে মানুষকে সচেতন করাটাও।
এবারের আয়োজনে অন্য বক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন বেরলিন (ক্লাইমেট রিয়েলিটি প্রজেক্টের প্রেসিডেন্ট ও সিইও); অজয় মাথুর (এনার্জি ইফিসিয়েন্সি ব্যুরোর সাধারণ পরিচালক); সঞ্জিত রয় (বেরফুট কলেজের প্রতিষ্ঠাতা) প্রমুখ ব্যক্তির।
অনুষ্ঠানের শেষ দিনে সংস্থার সভাপতি কেন বেরলিনের বক্তব্যের মাধ্যমে তিন দিনের এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটে। ‘ক্লাইমেট লিডার’-এর দলিলস্বরূপ আল গোরের স্বাক্ষরিত সনদ আমাদের সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, পরিবেশ নিয়ে এই মহান উদ্যোগে শামিল হতে আগ্রহী ব্যক্তিরা আসন্ন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের জন্য আবেদন করতে পারেন। বিস্তারিত জানতে: www.climaterealitytraining.org
বলছিলাম, ‘ক্লাইমেট রিয়েলিটি লিডারশিপ কোর’–এর আয়োজনে গত ২২ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়ার তরুণদের নিয়ে লিডারশিপ ট্রেনিংয়ের কথা। এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান পরিবেশ রক্ষায় নেতৃত্ব তৈরির আন্দোলনে নামা আল গোর।
ঠিক কী উদ্দেশ্যে ছিল এই আয়োজন—বলতে গেলে প্রথমেই সংস্থাটি নিয়ে বলতে হয়। ‘কিছু মানুষ ভবিষ্যতের আশায় বসে থাকে; আর যঁারা প্রকৃত নেতা, তাঁরা ভবিষ্যৎ সৃষ্টি করে নেন’—প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে ঢুকতেই চোখে পড়ে লেখাটি। এই সংস্থার মূল উদ্দেশ্যই হলো কার্যকরী নেতৃত্ব তৈরি করা, যাঁরা কাজ করবেন পরিবেশ ও জলবায়ু রক্ষার্থে, কাজ করবেন পরিবেশের বিপর্যয় রোধে, একই সঙ্গে অপরকে অনুপ্রাণিত করবেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্বন্ধে জানতে ও সচেতন হতে। সমগ্র বিশ্বে এই সংস্থার অধীনে বর্তমানে প্রায় শতাধিক দেশের লক্ষাধিক ‘ক্লাইমেট লিডার’ রয়েছেন, যাঁরা বিভিন্ন সচেতনতামূলক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পরিবেশ বিপর্যয় রোধে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিন দিনব্যাপী এবারের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। ভারতের আইআইটি, আইআইএম, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়সহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এমআইএসটি, আইইউটি, বুয়েটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৮ জন শিক্ষার্থী। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছিলাম আমি, কাশফিয়া নেহরীন, হৈমন্তী বালা আর নিশাত ফারজানা; ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় থেকে অংশ নেন সৈয়দা নিশাত নায়লা; আইইউটির থেকে নায়িম মাদানী, মুহতাসিম রুশদী, মাশরেকুর রহমান, মনসুর আহমেদ; আইসিডিডিআরবির মফিজ রহমান, সেন্ট যোসেফ কলেজের তানজিম ইসলাম, এমআইএসটির তানভীর পাশা, ইশতিয়াক আহমেদ ও শাদমান অয়ন। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে আরও ছিলেন আশফাকুর রহমান, আহমেদ তানভীর ও দিপু হক। উল্লেখ্য, ওই আয়োজনে নির্বাচিত আমরা ১৮ জনই আগামী এক বছর ‘ক্লাইমেট লিডার’ হিসেবে কাজ করতে যাচ্ছি এ দেশের জলবায়ু উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে। আর হ্যাঁ, বলে রাখা ভালো, আমাদের কাজের মধ্যে থাকবে পরিবেশের জন্য সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে যেকোনো কর্মসূচি। হতে পারে তা ব্লগিং, শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে, প্রিন্ট মিডিয়ায় পরিবেশ-সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ লিখে, এমনকি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে মানুষকে সচেতন করাটাও।
এবারের আয়োজনে অন্য বক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন বেরলিন (ক্লাইমেট রিয়েলিটি প্রজেক্টের প্রেসিডেন্ট ও সিইও); অজয় মাথুর (এনার্জি ইফিসিয়েন্সি ব্যুরোর সাধারণ পরিচালক); সঞ্জিত রয় (বেরফুট কলেজের প্রতিষ্ঠাতা) প্রমুখ ব্যক্তির।
অনুষ্ঠানের শেষ দিনে সংস্থার সভাপতি কেন বেরলিনের বক্তব্যের মাধ্যমে তিন দিনের এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটে। ‘ক্লাইমেট লিডার’-এর দলিলস্বরূপ আল গোরের স্বাক্ষরিত সনদ আমাদের সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, পরিবেশ নিয়ে এই মহান উদ্যোগে শামিল হতে আগ্রহী ব্যক্তিরা আসন্ন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের জন্য আবেদন করতে পারেন। বিস্তারিত জানতে: www.climaterealitytraining.org
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন