বাংলা ভাষায় প্রোগ্রামিং শিক্ষা

LATEST :
সাইটটির উন্নয়ন চলছে এবং শীঘ্রই উন্নয়ন করা হবে

মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

সবাইকে ছাড়িয়ে উর্মিতা

কিছুটা মন খারাপ হয়েই ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে, সেই উর্মিতা দত্তই কিনা মেডিকেলের তিনটি পেশাগত পরীক্ষাতেই প্রথম স্থান অধিকার করলেন। (পেশাগত পরীক্ষাগুলো শিক্ষার্থীদের কাছে ‘প্রফ’ নামেই বেশি পরিচিত।)
২০০৯ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স (ইইই) বিভাগে পড়ার সুযোগ পান উর্মিতা। পরিবারের সদস্যরা চেয়েছিলেন মেয়ে ঢাকা মেডিকেলে পড়ুক আর উর্মিতা চেয়েছিলেন বুয়েটে পড়তে। শেষ পর্যন্ত মা-বাবার ইচ্ছাতেই ভর্তি হলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। ‘প্রথম দিকটায় কষ্ট হতো খুব। তবু পরিবারের কথা ভেবে মেনে নেই। প্রথম টার্ম পরীক্ষায় প্রথম হলাম। পরেরগুলোতেও ভালো করলাম। ধীরে ধীরে ডাক্তারিবিদ্যাকে যেন আপন করে নিলাম। তবে ভাবিনি যে পেশাগত পরীক্ষায়ও প্রথম হব।’ বলেন উর্মিতা।
তিনটি পেশাগত পরীক্ষায় সাফল্যের মধ্যে কোনটি কেমন ছিল? প্রশ্নের উত্তরে উর্মিতা,‘মা-বাবার কাছে প্রথম সন্তান যেমন, তিনটি পেশাগত পরীক্ষার মধ্যে প্রথমটিতে প্রথম হওয়ার অনুভূতিটাও অনেকটা সে রকম।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজের কে-৬৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী উর্মিতা শুধু তিনবার প্রথমই হননি, প্রতিবারই পেয়েছেন অনার্স। প্রথম পেশাগত পরীক্ষায় অনার্স পেলেন ফিজিওলজি আর বায়োকেমিস্ট্রিতে। দ্বিতীয় পেশাগত পরীক্ষায় অনার্স পেয়েছেন মাইক্রোবায়োলজি, ফার্মাকোলজি, ফরেনসিক মেডিসিন আর কমিউনিটি মেডিসিনে। শেষ পেশাগত পরীক্ষায়ও মেডিসিন আর গাইনি ও অবস বিষয়ে পেয়েছেন অনার্স মার্কস।
বাবা উত্তম দত্ত একজন ব্যবসায়ী, মা শিখা দত্ত গৃহিণী। একমাত্র ছোট ভাই উচ্ছ্বাস দত্ত দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
১ জুন থেকে শুরু হচ্ছে উর্মিতার এক বছরের ইন্টার্নশিপ। কঠিন সে জীবনটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিচ্ছেন উর্মিতা। ইন্টার্নশিপের সময়টাকে কাজ শেখার এক সুবর্ণ সুযোগ বলে মনে করেন তিনি।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়েছেন ১২ বছর। ভালো ফলাফল করতেন সেখানেও। এসএসসি আর এইচএসসি দুটোতেই ছিল সব বিষয়ে জিপিএ ৫। ভবিষ্যতে শল্যচিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন যশোরের মেয়ে উর্মিতা। বড় হয়েছেন ঢাকায়। এখন সিদ্ধেশ্বরীর বাসার বারান্দায় ফুল গাছের যত্নআত্তি করে অবসর কাটান। গল্পের বইও পছন্দ তাঁর। সময় পেলে এখনো রবীন্দ্রনাথের ‘গল্পগুচ্ছ’ পড়েন। মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখাও পছন্দ তাঁর। শল্যচিকিৎসায় গবেষণার ব্যাপারেও রয়েছে আগ্রহ। অনিরাময়যোগ্য রোগ নিয়েও কাজ করার ইচ্ছা আছে। রাস্তার পাশে জন্মগত ত্রুটি নিয়ে বেড়ে ওঠা অসহায় শিশুদেরও সাহায্য করতে চান। সুযোগ পেলে উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যেতে চান। তবে সরকারি চাকরি দিয়ে কাজ পেশাজীবন শুরু করে দেশের মানুষের পাশেই থাকার ইচ্ছা উর্মিতার

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

স্বত্বাধিকারী © ২০১৫ প্রোগ্রামিং এর মহাজগৎ সব অধিকার সংরক্ষিত
^