বাংলা ভাষায় প্রোগ্রামিং শিক্ষা

LATEST :
সাইটটির উন্নয়ন চলছে এবং শীঘ্রই উন্নয়ন করা হবে

মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

সবার ওপরে শান্তা

তাঁর নাকি শীর্ষ ছোঁয়ার একটি সহজ সূত্র জানা। আর সেই সূত্রের সান্নিধ্য তিনি পেয়েছেন সব সময়ই। সেটা হোক প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষা কিংবা জীবনের অন্য কোনো ক্ষেত্রে। যার সর্বশেষ সংযোজন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর দুই পরীক্ষায় হয়েছেন প্রথম শ্রেণিতে প্রথম। যেখানে সিজিপিএ ৩.৭৯ পেয়েছেন স্নাতকে আর স্নাতকোত্তরে ৩.৯৭। বলছিলাম শান্তার সাফল্যে কথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের এই শিক্ষার্থীর পুরো নাম শান্তা পত্রনবীশ। তাঁর সেই সূত্রের কথা জানাচ্ছিলেন শান্তা, ‘সেটা আমার দাদার কাছ থেকে শেখা! তিনি সব সময়ই বলতেন প্রতিটি বিষয়ে “ধাপে ধাপে” এগিয়ে যেতে। আমি সেটাই অনুসরণ করেছি।’
তাঁর এই সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ বছর দুই ক্যাটাগরিতে পেয়েছেন ডিনস অ্যাওয়ার্ড। যার মধ্যে স্নাতকের সাফল্যের জন্য ‘ডিনস মেরিট লিস্ট অব অ্যাকাডেমিক রিকগনিশন’ ও স্নাতকোত্তরের জন্য ‘ডিনস মেরিট লিস্ট অব অনার’ পুরস্কার। 
তবে তাঁর এই শীর্ষ ছোঁয়ার গল্প কিন্তু অনেক আগেই শুরু। যার সাক্ষী আশুজিয়া জেএনসি ইনস্টিটিউট ও ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এই দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তিনি পাস করেছেন মাধ্যমিক আর উচ্চমাধ্যমিক। আরও পেছন ফিরে তাকালে দেখা যায়, নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বেড়ে ওঠা শান্তার বাবা দীপন পত্রনবীশ আর মা ইলা রানী কর দুজনেই ছিলেন স্কুলশিক্ষক। ছোটবেলার কথা যেমনটি বলছিলেন শান্তা, ‘আমি ছেলেবেলাতেই মা-বাবাকে হারাই। তাঁদের সঙ্গে মনে রাখার মতো খুব বেশি স্মৃতি আমার নেই।’ তবে যে স্মৃতিটি তাঁর মনের দরজায় কড়া নাড়ে, তা হলো ‘শিক্ষক হিসেবে আমার মা-বাবার প্রতি মানুষের সম্মান আর শ্রদ্ধাবোধ।’ আর সেই সম্মান আর শ্রদ্ধাবোধের টানেই শান্তা এখন স্বপ্ন দেখেন শিক্ষক হওয়ার। সে কথাই জানাচ্ছিলেন শান্তা, ‘অনেকে বলছেন, বিসিএস পরীক্ষা দিতে, কিন্তু আমার ধ্যান-জ্ঞান এখন শিক্ষকতা পেশায়। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চাই।’

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

স্বত্বাধিকারী © ২০১৫ প্রোগ্রামিং এর মহাজগৎ সব অধিকার সংরক্ষিত
^