নতুন কোনো বিষয় দেখলেই একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকেন তিনি। নতুনকে জানার আগ্রহ প্রবল। কিন্তু শুধু জেনেই ক্ষান্ত নন, নিজের সৃজনশীলতার সঙ্গে অর্জিত জ্ঞানের মিশেল ঘটিয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইতিমধ্যে মিলেছে তাঁর অসংখ্য স্বীকৃতি। নাম তাঁর তাসফিয়া তাসনীম। বন্ধু মহলে যাঁকে সবাই চেনে ‘বাঁধন’ নামে। বর্তমানে পড়ছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) চতুর্থ বর্ষে। সৃজনশীলতার প্রতি আগ্রহ থেকেই কিনা বিষয় হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন ‘নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা’ বিভাগকে।
জন্ম রংপুরে নানাবাড়িতে হলেও তাসফিয়ার বেড়ে ওঠা ঢাকা শহরে। স্কুল-কলেজ পার করেছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে। এসএসসি ও এইচএসসি দুটোতেই জিপিএ-৫। শখের মধ্যে বই পড়ার প্রতি আগ্রহ তাঁর অনেক। ডিজাইন-সংক্রান্ত কাজকর্ম করে আনন্দ পান। বিভিন্ন ভাষার প্রতি আগ্রহ থেকেই রপ্ত করেছেন ফ্রেঞ্চ ভাষা।
তাসফিয়ার অর্জনের খাতাটাও বেশ বড়। স্কুলে থাকতে গান শিখেছিলেন নজরুল একাডেমীতে। স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিতেন। স্কুলে পর্যায়ে ক্লাসে রবীন্দ্রসংগীতে প্রথম হওয়ার রেকর্ডও আছে তাঁর। তবে তাঁর মুনশিয়ানা নতুন মাত্রা পায় বুয়েটে আসার পর। দ্বিতীয় বর্ষে থাকা অবস্থায় ফ্রান্সের ‘স্টুডিকা’ কর্তৃক আয়োজিত ‘ইমাজিন সিটি অব টুমরো: ইমপ্রুভিং এ পাবলিক স্পেস’ প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭০টি দলের সঙ্গে লড়াই করে দ্বিতীয় পুরস্কার জেতে তাঁর দল ‘স্টারলেটস’। এরপর তৃতীয় বর্ষে থাকা অবস্থায় ইউএন-হ্যাবিট্যাট আয়োজিত ‘আরবান রিভাইটালাইজেশন অব ম্যাস হাউসিং’-এ আরও পাঁচ বন্ধুকে নিয়ে গঠিত তাঁর দল ‘শাইনিং স্টারস’ বিশ্ব পর্যায়ে শীর্ষ তিনে আর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশে প্রথম স্থান অধিকার করে নেয়। এখানেই শেষ নয়। সদ্য অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া বিখ্যাত ফরাসি কোম্পানি ‘ডেফি বুগেস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি’র ‘ডিজাইন দ্য ডিস্ট্রিক্ট অব টুমরো’ প্রতিযোগিতায় তাঁর টিম ‘গ্রিন ফিউশনিস্ট’ অর্জন করে ‘ক্যুপ ডি ক্যুর’ অ্যাওয়ার্ড।
এ তো গেল আন্তর্জাতিক অঙ্গনের কথা। দেশীয় অঙ্গনে ছোট-বড় সাফল্য তাঁর নিত্যসঙ্গী। এই তো কিছুদিন আগে ‘এনভায়রনমেন্ট ওয়াচ, বুয়েট’-এর উদ্যোগে হয়ে যাওয়া ‘পরিবেশ সপ্তাহ ২০১৫’-তে ‘আইডিয়া কনটেস্ট’-এ প্রথম স্থান অধিকার করে নেয় তাঁর দল। ওদিকে গত বছর ‘ইন্টারন্যাশনাল প্রসিডিংস অব কেমিক্যাল, বায়োলজিক্যাল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং’ শীর্ষক সম্মেলনে তাঁর একটি সমন্বিত গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। আর ২০১৩ সালে ‘ওয়ার্ল্ড টাউন প্ল্যানিং ডে’-তে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানারস’ কর্তৃক প্রকাশিত নগরশৈলীতে স্মার্ট গ্রোথ অ্যাপ্রোচ নিয়ে দুই বন্ধুর সঙ্গে তাঁর আরও একটি পেপার প্রকাশিত হয়। বন্ধুদের সঙ্গে সব সময় কাজ করতে ভালোবাসেন বলেই কিনা সবার বন্ধু হয়ে উঠেছেন তিনি।
এত এত পরিকল্পনা যাঁর, কোথায় থামতে চান তিনি—প্রশ্নের জবাবে তাঁর একটাই কথা, ‘একজন আদর্শ পরিবেশ পরিকল্পনাবিদ হতে চাই। এখন যেই পরিকল্পনাগুলো বিভিন্ন স্থানে দিয়ে
থাকি, সেগুলোর বাস্তবায়ন করতে পারলে তবেই থামব।’
জন্ম রংপুরে নানাবাড়িতে হলেও তাসফিয়ার বেড়ে ওঠা ঢাকা শহরে। স্কুল-কলেজ পার করেছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে। এসএসসি ও এইচএসসি দুটোতেই জিপিএ-৫। শখের মধ্যে বই পড়ার প্রতি আগ্রহ তাঁর অনেক। ডিজাইন-সংক্রান্ত কাজকর্ম করে আনন্দ পান। বিভিন্ন ভাষার প্রতি আগ্রহ থেকেই রপ্ত করেছেন ফ্রেঞ্চ ভাষা।
তাসফিয়ার অর্জনের খাতাটাও বেশ বড়। স্কুলে থাকতে গান শিখেছিলেন নজরুল একাডেমীতে। স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিতেন। স্কুলে পর্যায়ে ক্লাসে রবীন্দ্রসংগীতে প্রথম হওয়ার রেকর্ডও আছে তাঁর। তবে তাঁর মুনশিয়ানা নতুন মাত্রা পায় বুয়েটে আসার পর। দ্বিতীয় বর্ষে থাকা অবস্থায় ফ্রান্সের ‘স্টুডিকা’ কর্তৃক আয়োজিত ‘ইমাজিন সিটি অব টুমরো: ইমপ্রুভিং এ পাবলিক স্পেস’ প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭০টি দলের সঙ্গে লড়াই করে দ্বিতীয় পুরস্কার জেতে তাঁর দল ‘স্টারলেটস’। এরপর তৃতীয় বর্ষে থাকা অবস্থায় ইউএন-হ্যাবিট্যাট আয়োজিত ‘আরবান রিভাইটালাইজেশন অব ম্যাস হাউসিং’-এ আরও পাঁচ বন্ধুকে নিয়ে গঠিত তাঁর দল ‘শাইনিং স্টারস’ বিশ্ব পর্যায়ে শীর্ষ তিনে আর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশে প্রথম স্থান অধিকার করে নেয়। এখানেই শেষ নয়। সদ্য অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া বিখ্যাত ফরাসি কোম্পানি ‘ডেফি বুগেস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি’র ‘ডিজাইন দ্য ডিস্ট্রিক্ট অব টুমরো’ প্রতিযোগিতায় তাঁর টিম ‘গ্রিন ফিউশনিস্ট’ অর্জন করে ‘ক্যুপ ডি ক্যুর’ অ্যাওয়ার্ড।
এ তো গেল আন্তর্জাতিক অঙ্গনের কথা। দেশীয় অঙ্গনে ছোট-বড় সাফল্য তাঁর নিত্যসঙ্গী। এই তো কিছুদিন আগে ‘এনভায়রনমেন্ট ওয়াচ, বুয়েট’-এর উদ্যোগে হয়ে যাওয়া ‘পরিবেশ সপ্তাহ ২০১৫’-তে ‘আইডিয়া কনটেস্ট’-এ প্রথম স্থান অধিকার করে নেয় তাঁর দল। ওদিকে গত বছর ‘ইন্টারন্যাশনাল প্রসিডিংস অব কেমিক্যাল, বায়োলজিক্যাল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং’ শীর্ষক সম্মেলনে তাঁর একটি সমন্বিত গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। আর ২০১৩ সালে ‘ওয়ার্ল্ড টাউন প্ল্যানিং ডে’-তে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানারস’ কর্তৃক প্রকাশিত নগরশৈলীতে স্মার্ট গ্রোথ অ্যাপ্রোচ নিয়ে দুই বন্ধুর সঙ্গে তাঁর আরও একটি পেপার প্রকাশিত হয়। বন্ধুদের সঙ্গে সব সময় কাজ করতে ভালোবাসেন বলেই কিনা সবার বন্ধু হয়ে উঠেছেন তিনি।
এত এত পরিকল্পনা যাঁর, কোথায় থামতে চান তিনি—প্রশ্নের জবাবে তাঁর একটাই কথা, ‘একজন আদর্শ পরিবেশ পরিকল্পনাবিদ হতে চাই। এখন যেই পরিকল্পনাগুলো বিভিন্ন স্থানে দিয়ে
থাকি, সেগুলোর বাস্তবায়ন করতে পারলে তবেই থামব।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন