প্রতিযোগিতার নাম ‘ডিজাইন দ্য ডিস্ট্রিক্ট অব টুমরো’। বিখ্যাত ফরাসি কোম্পানি ‘ডেফি বুগেস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি’র উদ্যোগে সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের স্বপ্নের শহর কীভাবে সাজাতে চায়, তা জানতে চেয়ে আয়োজন করা হয়েছিল এই প্রতিযোগিতার। এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের ১০০টির বেশি দলের অংশগ্রহণ ছিল এই প্রতিযোগিতায়, যেখানে নিজেদের নৈপুণ্য দেখিয়ে ‘ক্যুপ ডি ক্যুর’ অ্যাওয়ার্ড বা ‘মেইন স্পিরিট অব দ্য কম্পিটিশন’ নামের খেতাব জিতে নেয় বাংলাদেশের তিন শিক্ষার্থীর দল ‘গ্রিন ফিউশনিস্ট’। এই দলের সদস্যরা হলেন তাসফিয়া তাসনীম, পৌষালী ভট্টাচার্য ও তাসনীম ফিরোজ। তাঁরা সবাই পড়ছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে।
তো কী ছিল তাঁদের স্বপ্নের শহরে? জানতে চাইলে তাসনীম ফিরোজ বলেন, ‘আমরা মূলত স্মার্ট-গ্রোথ বিবেচনায় নিয়ে শহরের নকশার ধারণা দিই, যেখানে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি বাস করার জায়গা আর কর্মক্ষেত্রের দূরত্ব কম রাখার ওপরে। ফলে যাতায়াতের দূরত্ব ও খরচ কমবে। আর কমবে যাতায়াতের কারণে গ্রিন হাউস অ্যামিশন। পাশাপাশি গেড় উঠবে সবুজ নেইবারহুড, যেখানে মূলত হাঁটাহাঁটি, বাইসাইক্লিংকে প্রমোট করা হবে। যাতায়াতব্যবস্থার ক্ষেত্রে ‘আইটিএস’কে প্রাধান্য দেওয়া হবে, যা কিনা বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট মোডের মাঝে পরিকল্পিত সমন্বয় নিশ্চিত করবে।’
তবে এত সহজে তাঁরা তাঁদের এই স্বপ্নের শহরের পরিকল্পনার স্বীকৃতি পাননি। প্রথমে অনলাইনে আইডিয়া দাখিলের মাধ্যমে দুই ধাপ বাছাইপ্রক্রিয়া শেষে তবেই তাঁরা সুযোগ পান প্যারিসে যাওয়ার। সেখানে গিয়েও বিপত্তি। মাত্র ৩৬ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে আরেকটি ফরাসি দলের সঙ্গে একত্র হয়ে দুই দলের আইডিয়া এক করে উপস্থাপন করতে হবে। এটাই নাকি প্রতিযোগিতার নিয়ম। ‘নতুন একটা দলের সঙ্গে হুট করে একসঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন হবে বুঝতে পারছিলাম না। মজার ব্যাপার হলো, শুরুতে তারাও আমাদের কিছু বুঝতে পারছিল না, আমরাও তাদের ভাষা বুঝতে পারছিলাম না। কারণ, তাদের পুরো উপস্থাপনা ফরাসি ভাষায় ছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে আমরা পুরো ব্যাপারটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফেলি এবং প্রতিযোগিতার পর আমরা সবাই এখন অনেক ভালো বন্ধু,’ নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কথা বলছিলেন দলের আরেক সদস্য পৌষালী। শেষ পর্যন্ত দুই দল মিলিয়ে দাঁড় করিয়ে ফেলে ‘স্মার্ট ইনসাইড স্মার্ট আউটসাইড’ নামের একটি প্রকল্প, যেখানে প্রস্তাবিত ভবনগুলো প্রতিবেশীদের প্রত্যেকের কাছে সব ধরনের সুেযাগ পৌঁছে দেবে, প্রকল্প পরিকল্পনায় এমন ধারণাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
সব থেকে বড় ব্যাপার হলো, প্রতিযোগিতার বিচারকেরা শেষে আমাদের সঙ্গে আলাদা করে দেখা করেন এবং বলেন, ‘তোমরা এই পুরো প্রতিযোগতার “মেইন স্পিরিট” ছিলে। তোমাদের জন্য অনেক শুভকামনা রইল,’ তাঁদের নিয়ে বিচারকদের অনুভূতি ও উচ্ছ্বাসের কথা জানাচ্ছিলেন তাসফিয়া।
‘আমাদের পড়াশোনা, কাজের মান, উপস্থাপনা দেখে সবাই অনেক অবাক হয়েছে আর অনেক অনেক প্রশংসা করেছে,’ তিন শিক্ষার্থীর মধ্যেই তৃপ্তির ছোঁয়া। ভবিষ্যতেও দেশকে আরও বড় করে উপস্থাপন করার স্বপ্ন দেখেন এই তিন স্বপ্নদ্রষ্টা তরুণী।
উল্লেখ্য, এই প্রতিযোগিতা ফ্রান্সের ‘ক্যাম্পাস বারজেস ডে বুগেস সেইন’-এ অনুষ্ঠিত হয় ২৫ থেকে ২৮ নভেম্বর। চূড়ান্ত পর্বে শীর্ষ চারটি দলের মধ্যে তিনটি ছিল ফ্রান্সের স্থানীয় বিশ্বিবদ্যালয় এবং চতুর্থটি বাংলাদেশের বুয়েট।
তো কী ছিল তাঁদের স্বপ্নের শহরে? জানতে চাইলে তাসনীম ফিরোজ বলেন, ‘আমরা মূলত স্মার্ট-গ্রোথ বিবেচনায় নিয়ে শহরের নকশার ধারণা দিই, যেখানে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি বাস করার জায়গা আর কর্মক্ষেত্রের দূরত্ব কম রাখার ওপরে। ফলে যাতায়াতের দূরত্ব ও খরচ কমবে। আর কমবে যাতায়াতের কারণে গ্রিন হাউস অ্যামিশন। পাশাপাশি গেড় উঠবে সবুজ নেইবারহুড, যেখানে মূলত হাঁটাহাঁটি, বাইসাইক্লিংকে প্রমোট করা হবে। যাতায়াতব্যবস্থার ক্ষেত্রে ‘আইটিএস’কে প্রাধান্য দেওয়া হবে, যা কিনা বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট মোডের মাঝে পরিকল্পিত সমন্বয় নিশ্চিত করবে।’
তবে এত সহজে তাঁরা তাঁদের এই স্বপ্নের শহরের পরিকল্পনার স্বীকৃতি পাননি। প্রথমে অনলাইনে আইডিয়া দাখিলের মাধ্যমে দুই ধাপ বাছাইপ্রক্রিয়া শেষে তবেই তাঁরা সুযোগ পান প্যারিসে যাওয়ার। সেখানে গিয়েও বিপত্তি। মাত্র ৩৬ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে আরেকটি ফরাসি দলের সঙ্গে একত্র হয়ে দুই দলের আইডিয়া এক করে উপস্থাপন করতে হবে। এটাই নাকি প্রতিযোগিতার নিয়ম। ‘নতুন একটা দলের সঙ্গে হুট করে একসঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন হবে বুঝতে পারছিলাম না। মজার ব্যাপার হলো, শুরুতে তারাও আমাদের কিছু বুঝতে পারছিল না, আমরাও তাদের ভাষা বুঝতে পারছিলাম না। কারণ, তাদের পুরো উপস্থাপনা ফরাসি ভাষায় ছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে আমরা পুরো ব্যাপারটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফেলি এবং প্রতিযোগিতার পর আমরা সবাই এখন অনেক ভালো বন্ধু,’ নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কথা বলছিলেন দলের আরেক সদস্য পৌষালী। শেষ পর্যন্ত দুই দল মিলিয়ে দাঁড় করিয়ে ফেলে ‘স্মার্ট ইনসাইড স্মার্ট আউটসাইড’ নামের একটি প্রকল্প, যেখানে প্রস্তাবিত ভবনগুলো প্রতিবেশীদের প্রত্যেকের কাছে সব ধরনের সুেযাগ পৌঁছে দেবে, প্রকল্প পরিকল্পনায় এমন ধারণাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
সব থেকে বড় ব্যাপার হলো, প্রতিযোগিতার বিচারকেরা শেষে আমাদের সঙ্গে আলাদা করে দেখা করেন এবং বলেন, ‘তোমরা এই পুরো প্রতিযোগতার “মেইন স্পিরিট” ছিলে। তোমাদের জন্য অনেক শুভকামনা রইল,’ তাঁদের নিয়ে বিচারকদের অনুভূতি ও উচ্ছ্বাসের কথা জানাচ্ছিলেন তাসফিয়া।
‘আমাদের পড়াশোনা, কাজের মান, উপস্থাপনা দেখে সবাই অনেক অবাক হয়েছে আর অনেক অনেক প্রশংসা করেছে,’ তিন শিক্ষার্থীর মধ্যেই তৃপ্তির ছোঁয়া। ভবিষ্যতেও দেশকে আরও বড় করে উপস্থাপন করার স্বপ্ন দেখেন এই তিন স্বপ্নদ্রষ্টা তরুণী।
উল্লেখ্য, এই প্রতিযোগিতা ফ্রান্সের ‘ক্যাম্পাস বারজেস ডে বুগেস সেইন’-এ অনুষ্ঠিত হয় ২৫ থেকে ২৮ নভেম্বর। চূড়ান্ত পর্বে শীর্ষ চারটি দলের মধ্যে তিনটি ছিল ফ্রান্সের স্থানীয় বিশ্বিবদ্যালয় এবং চতুর্থটি বাংলাদেশের বুয়েট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন