১৯
জুলাই সকাল থেকেই যেন আকাশ ভাঙা বৃষ্টি। কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন
আহমেদ ঠিক তিন বছর আগের এদিনই চিরদিনের জন্য ইস্তফা দিয়েছিলেন
বৃষ্টিবন্দনা! এ বৃষ্টি কি শ্রাবণের? নাকি প্রিয় লেখক স্মরণে আকাশের অঝোর
কান্না। তবে সেই বৃষ্টি বাধ সাধতে পারেনি হিমু পরিবহনের কর্মীদের। বৃষ্টি
মাথায় নিয়ে সারা দেশে প্রিয় লেখককে অনন্য উদ্যোগে স্মরণ করেছে হুমায়ূনভক্ত
তরুণদের সংগঠন হিমু পরিবহন। তঁাদের উদ্যোগের মধ্যে ছিল দেশের ৪০ জেলাতে
পাঠাগার উদ্বোধন, সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ৬৪ জেলায় ক্যানসার সচেতনতামূলক
লিফলেট বিলি, ছিল প্রতিটি জেলায় কদমগাছ রোপণের মতো অভিনব আয়োজন।
এ ছাড়া হিমু পরিবহনের জেলা শাখার সদস্যরা কালো ব্যাজ পরে বাংলা সাহিত্যের এই মহান ব্যক্তিত্বকে নিয়ে আয়োজন করেছেন আলোচনা অনুষ্ঠান।
হিমু পরিবহনের অন্যতম সমন্বয়ক আসলাম হোসেন জানান, ‘নড়াইলে কদমগাছ লাগিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের (ওয়ানডে) অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এ ছাড়া ঢাকা থেকে নুহাশপল্লীতে লেখকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিল হিমু পরিবহনের একটি দল। আর সে দলে শুধু ঢাকা থেকেই নয় যোগ দিয়েছিল ময়মনসিংহ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও রাজশাহী থেকে আসা হিমু পরিবহনের সদস্যরা।’
পাওয়া গেল নুহাশপল্লীতে যাওয়া হিমু, রূপাদের ওই দলে অংশ নেওয়া কয়েকজনকে। সেদিন নরসিংদী থেকে ছুটে এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষাথী সোহেল ইমরান। তিনি জানান, ‘ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলাম। তাই আজ নরসিংদী থেকে এখানে এসেছি। যাত্রাপথের বৃষ্টির ভোগান্তি ভুলেছি প্রিয় লেখকের সমাধি ছুঁয়ে।’
হিমু পরিবহনের কর্মী ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মৌটুসী লিয়া বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ পড়ে আমার বেড়ে ওঠা। প্রথমবারের মতো প্রিয় লেখকের সমাধিতে এলাম, এ এক অন্য রকম ভালোলাগা।’
সেদিন বিভিন্ন সময় নুহাশপল্লীতে উপস্থিত হয়েছেন হুমায়ূন আহমেদের ভাই অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ছোট ভাই কার্টুনিস্ট আহসান হাবিব, তিন বোন সুফিয়া হায়দার, মমতাজ শহীদ ও রোকসানা আহমেদ। দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে এসেছিলেন হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন।
হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের এসব সদস্যের সঙ্গে কথা বলতে পেরে উচ্ছ্বসিত এই তরুণদের দল। তাঁদেরই একজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মইনুল ইসলাম। সূদুর রাজশাহী থেকে এসে যাত্রী হয়েছিলেন হিমু পরিবহনের, ‘এবারই আমি প্রথম এসেছি নুহাশপল্লীতে প্রিয় লেখককে শ্রদ্ধা জানাতে। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে অদ্ভুত এক ভালোলাগা কাজ করছে।’
হিমু পরিবহনের উদ্যোগে নুহাশপল্লীতে রাখা হয়েছিল শোকবই। আগত অনেকেই লিখেছেন প্রিয় লেখকের স্মরণে পঙ্ক্তিমালা। অন্যদের সঙ্গে সে বইয়ে শোকগাথা লিখেছেন হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের সদস্যরাও। মুহম্মদ জাফর ইকবাল লিখেছেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য হুমায়ূন আহমেদ যে ভালোবাসা রেখে গেছে সবাই তাকে সেভাবে ভালোবেসে যাক।’
হুমায়ূন আহমেদের বোন মমতাজ শহীদ লিখেছেন, ‘দাদাভাই তোমাকে বড় মিস করি। কোথায় কেমন থাকো কিচ্ছু জানি না। আব্বা-আম্মার সাথে কখনো দেখা হয়? ওই রাজ্য কেমন অজানা রাজ্য?’
ছোট ভাই আহসান হাবীব স্মৃতিচারণা করেছেন এভাবে, ‘দাদা ভাই, তোমাকে খুব বেশি রকম মিস করি। ভালো থাকো।’
হিমু পরিবহনের বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে অন্যতম সমন্বয়ক মুরাদ হাবীব জানান, ‘হিমু পরিবহন বাংলাদেশ একটি বিশ্বমানের ক্যানসার হাসপাতাল গড়তে সবাইকে একত্রিত করার কাজ করে যাচ্ছে। যা ছিল হুমায়ূন আহমেদের সুপ্ত ইচ্ছা। আমরা ২০১৩ সাল থেকে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন ও প্রয়াণ দিবস পালন করার পাশাপাশি ক্যানসার সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান, শীতবস্ত্র বিতরণ, হুমায়ূন আহমেদ পাঠচক্র, ৬৪ জেলায় পাঠাগার স্থাপনসহ স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন কাজ করে চলেছি।’
এ ছাড়া হিমু পরিবহনের জেলা শাখার সদস্যরা কালো ব্যাজ পরে বাংলা সাহিত্যের এই মহান ব্যক্তিত্বকে নিয়ে আয়োজন করেছেন আলোচনা অনুষ্ঠান।
হিমু পরিবহনের অন্যতম সমন্বয়ক আসলাম হোসেন জানান, ‘নড়াইলে কদমগাছ লাগিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের (ওয়ানডে) অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এ ছাড়া ঢাকা থেকে নুহাশপল্লীতে লেখকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিল হিমু পরিবহনের একটি দল। আর সে দলে শুধু ঢাকা থেকেই নয় যোগ দিয়েছিল ময়মনসিংহ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও রাজশাহী থেকে আসা হিমু পরিবহনের সদস্যরা।’
পাওয়া গেল নুহাশপল্লীতে যাওয়া হিমু, রূপাদের ওই দলে অংশ নেওয়া কয়েকজনকে। সেদিন নরসিংদী থেকে ছুটে এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষাথী সোহেল ইমরান। তিনি জানান, ‘ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলাম। তাই আজ নরসিংদী থেকে এখানে এসেছি। যাত্রাপথের বৃষ্টির ভোগান্তি ভুলেছি প্রিয় লেখকের সমাধি ছুঁয়ে।’
হিমু পরিবহনের কর্মী ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মৌটুসী লিয়া বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ পড়ে আমার বেড়ে ওঠা। প্রথমবারের মতো প্রিয় লেখকের সমাধিতে এলাম, এ এক অন্য রকম ভালোলাগা।’
সেদিন বিভিন্ন সময় নুহাশপল্লীতে উপস্থিত হয়েছেন হুমায়ূন আহমেদের ভাই অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ছোট ভাই কার্টুনিস্ট আহসান হাবিব, তিন বোন সুফিয়া হায়দার, মমতাজ শহীদ ও রোকসানা আহমেদ। দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে এসেছিলেন হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন।
হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের এসব সদস্যের সঙ্গে কথা বলতে পেরে উচ্ছ্বসিত এই তরুণদের দল। তাঁদেরই একজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মইনুল ইসলাম। সূদুর রাজশাহী থেকে এসে যাত্রী হয়েছিলেন হিমু পরিবহনের, ‘এবারই আমি প্রথম এসেছি নুহাশপল্লীতে প্রিয় লেখককে শ্রদ্ধা জানাতে। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে অদ্ভুত এক ভালোলাগা কাজ করছে।’
হিমু পরিবহনের উদ্যোগে নুহাশপল্লীতে রাখা হয়েছিল শোকবই। আগত অনেকেই লিখেছেন প্রিয় লেখকের স্মরণে পঙ্ক্তিমালা। অন্যদের সঙ্গে সে বইয়ে শোকগাথা লিখেছেন হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের সদস্যরাও। মুহম্মদ জাফর ইকবাল লিখেছেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য হুমায়ূন আহমেদ যে ভালোবাসা রেখে গেছে সবাই তাকে সেভাবে ভালোবেসে যাক।’
হুমায়ূন আহমেদের বোন মমতাজ শহীদ লিখেছেন, ‘দাদাভাই তোমাকে বড় মিস করি। কোথায় কেমন থাকো কিচ্ছু জানি না। আব্বা-আম্মার সাথে কখনো দেখা হয়? ওই রাজ্য কেমন অজানা রাজ্য?’
ছোট ভাই আহসান হাবীব স্মৃতিচারণা করেছেন এভাবে, ‘দাদা ভাই, তোমাকে খুব বেশি রকম মিস করি। ভালো থাকো।’
হিমু পরিবহনের বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে অন্যতম সমন্বয়ক মুরাদ হাবীব জানান, ‘হিমু পরিবহন বাংলাদেশ একটি বিশ্বমানের ক্যানসার হাসপাতাল গড়তে সবাইকে একত্রিত করার কাজ করে যাচ্ছে। যা ছিল হুমায়ূন আহমেদের সুপ্ত ইচ্ছা। আমরা ২০১৩ সাল থেকে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন ও প্রয়াণ দিবস পালন করার পাশাপাশি ক্যানসার সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান, শীতবস্ত্র বিতরণ, হুমায়ূন আহমেদ পাঠচক্র, ৬৪ জেলায় পাঠাগার স্থাপনসহ স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন কাজ করে চলেছি।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন