তর্ক-বির্তকের জীবন

তৃতীয় বিশ্বের দেশ বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়নের গতি ও অর্থনৈতিক শক্তি অন্য দেশগুলোর চেয়ে বেশ উন্নত। এ দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সুযোগে রাজনীতিতে বৈদেশিক হস্তক্ষেপের সুযোগ থাকে। তবে এ সুযোগ সাধারণ অর্থে মানুষ মেনে নিতে চায় না। এমনই এক যুক্তি-তর্কের আবহ ছিল ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি আয়োজিত ‘ডিবেট স্প্রি’তে।
বিতর্ক উৎসবের সমাপনীতে ‘বর্তমান রাজনৈতিক সংকটে বৈদেশিক মধ্যস্থতা সমর্থন করে না’ এমনই এক বিষয়ে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেন বিতার্কিকেরা। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং ক্লাব ২৫ জানুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি আয়োজন করে আন্তবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ডিবেট স্প্রি। এ প্রতিযোগিতায় বাংলা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ডিবেটিং ক্লাব। মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী রনক মেহেদী, রাইসুল রিয়াদ ও জাহিদ হাসান বিতর্কের শেষ লড়াইয়ে জয়ী হন। ফাইনালে ঢাকা কলেজ ডিবেট ক্লাবকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তাঁরা। আর ইংরেজিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ শিক্ষার্থীদের একটি দল। এ দলের সদস্য ছিলেন সাদ আশরাফ ও তাউসিফ আমিন। তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটিকে তর্কে পরাজিত করেন।
সংসদীয় বিতর্কের আদলে এ উৎসবে বিভিন্ন পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২টি দল অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলের সদস্য রাইসুল রিয়াদ জানান, ‘বির্তকের মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব। সেই সম্ভাবনা খুঁজতেই এই বিতর্ক উৎসবে আসা। নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করতে পারা এমনিতেই গর্বের। আর শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা আরও গর্বের।’
ডিবেট স্প্রির ইংরেজি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম আইবিএয়ের সদস্য সাদ আশরাফ জানান, যেকোনো বিতর্ক উৎসবে তর্কের যুদ্ধের মাধ্যমে নিজেদের ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। তর্কে-বিতর্কে মানসিকভাবে নিজেকে উন্নত করতে বিতর্কে অংশ নেওয়ার বিকল্প নেই।