ভারতের
মুম্বাইয়ের আকাঙ্ক্ষা সুরানা, নেপালের চিতিজ ভট্ট রায়, আফগানিস্তানের
খাদিজা হোসাইনি, বাংলাদেশের জেরিন তানজিম, মাহফুজা ফারিহা—তারুণ্যের শক্তি
দিয়ে পৃথিবী বদলানোর প্রত্যয় নিয়ে সবাই হাজির হয়েছেন এক প্রতীকী
জাতিসংঘে।
এ সম্মেলনের নাম ঢাকা ইউনিভার্সিটি ন্যাশনাল মডেল ইউনাইটেড নেশনস বা ডানমুন সম্মেলন’। ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মডেল ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসোসিয়েশন (ডিইউমুনা)।
কেমন ছিল এই সম্মেলন? ২১ ডিসেম্বর সিনেট ভবনে গিয়ে দেখা গেল সেখানে চলছে রুদ্ধদ্বার বৈঠক। পিনপতন নীরবতা। দুই পরাশক্তি চীন আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলছে কূটনীতির দাবা খেলা। কার্বন দূষণ কমানোর পক্ষে-বিপক্ষে চলছে যুক্তিতর্ক। ছাড় দিতে চাচ্ছে না কেউ কাউকে। অন্য দেশগুলো দ্বিধান্বিত। যুক্তিতর্কের কাছে কি কার্বন দূষণ কমানোর মতো আলোচিত ইস্যু হেরে যাবে? বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা দ্বিধান্বিত। হঠাৎ করেই আলোচনার টেবিলে দেখা গেল আশার আলো। দুই পরাশক্তি চীন আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কার্বন দূষণ কমানোর পক্ষে মত দিল। ঠান্ডা যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে এই প্রথম দুই পরাশক্তি আলোচনার টেবিলে একই সিদ্ধান্ত নিল।
সত্যিকারের জাতিসংঘে এমন ঘটনা ঘটলে হয়ত পৃথিবীটা আর একটু সুন্দর হত। এভাবেই চলছিল এই জাতিসংঘ প্রতীকী সম্মেলন। দেশের ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সম্মেলনে অংশ নেন। মোট ১০টি কমিটি সম্মেলনে আলাদা বিষয় সাপেক্ষে ওয়ার্কিং পেপার ও ড্রাফট রেজল্যুশন পাস করে। সেই সব সিদ্ধান্ত শেষ দিন প্ল্যানারি সেশনে রেজল্যুশন আকারে পাস করে সাধারণ পরিষদ। প্রায় ৫৫০ জন শিক্ষার্থী এই ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ফিলিপাইন, আফগানিস্তান, মালয়েশিয়া, ভারত, নেপালসহ নয়টি দেশের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন এ সম্মেলনে।
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) অর্জনে স্বল্পোন্নত ৪৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। এমডিজির নির্ধারিত ১৪টি লক্ষ্যের মধ্যে অন্তত আটটি লক্ষ্য অর্জনের পথে দেশটি। অবশিষ্ট চারটির অগ্রগতিও বেশ ভালো। ২০১৫ সালে শেষ হবে লক্ষ্যমাত্রার সময়। পরবর্তীকালে উন্নয়নে তরুণদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ভিন্নমাত্রার উন্নয়ন কর্মসূচির দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে জাতিসংঘ। ‘টেকসই উন্নয়নে তরুণদের ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক ধারণা নিয়ে আয়োজন করা হয় এবারের ডানমুন সম্মেলন।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া তরুণরা কী কলেন? তারা কি পারবেন শান্তিময় বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে? সম্মেলনে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকিব মোহাম্মদ শাতিল বলেন, ‘এই সম্মেলন থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম। এ অভিজ্ঞতা নিশ্চয় আমার বাস্তব জীবনে কাজে লাগবে। কাজে লাগাতে চেষ্টা করব বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতেও।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী আশরাফি রাইসা বলেন, ‘আমরাই নেতৃত্ব দেব আগামী পৃথিবীর। সুতরাং বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের ভূমিকা রাখতেই হবে। আর আমি মনে করি এই সম্মেলনের অভিজ্ঞতা সেই কাজকে আরো সহজ করবে।’
ডিইউমুনার প্রেসিডেন্ট এম জে সোহেল জানান, এই সম্মেলনের মাধ্যমে বিশ্বগঠনে তরুণদের অংশগ্রহণের জন্য সচেতনতা বিকাশের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। আগামীর নেতৃত্ব যেন টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে শান্তি ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে, তার জন্যই এমন আয়োজন। স্থিতিশীল বিশ্বগঠনে তরুণদের অংশগ্রহণ বিস্তৃতকরণ ছিল সম্মেলনের অন্যতম লক্ষ্য। চার দিনের সম্মেলনে চলেছে অনেক তর্ক-বিতর্ক, দর-কষাকষি আর কূটনীতির মারপ্যাঁচ। সবকিছুর একটাই লক্ষ্য—শান্তিময় বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ।
এ সম্মেলনের নাম ঢাকা ইউনিভার্সিটি ন্যাশনাল মডেল ইউনাইটেড নেশনস বা ডানমুন সম্মেলন’। ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মডেল ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসোসিয়েশন (ডিইউমুনা)।
কেমন ছিল এই সম্মেলন? ২১ ডিসেম্বর সিনেট ভবনে গিয়ে দেখা গেল সেখানে চলছে রুদ্ধদ্বার বৈঠক। পিনপতন নীরবতা। দুই পরাশক্তি চীন আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলছে কূটনীতির দাবা খেলা। কার্বন দূষণ কমানোর পক্ষে-বিপক্ষে চলছে যুক্তিতর্ক। ছাড় দিতে চাচ্ছে না কেউ কাউকে। অন্য দেশগুলো দ্বিধান্বিত। যুক্তিতর্কের কাছে কি কার্বন দূষণ কমানোর মতো আলোচিত ইস্যু হেরে যাবে? বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা দ্বিধান্বিত। হঠাৎ করেই আলোচনার টেবিলে দেখা গেল আশার আলো। দুই পরাশক্তি চীন আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কার্বন দূষণ কমানোর পক্ষে মত দিল। ঠান্ডা যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে এই প্রথম দুই পরাশক্তি আলোচনার টেবিলে একই সিদ্ধান্ত নিল।
সত্যিকারের জাতিসংঘে এমন ঘটনা ঘটলে হয়ত পৃথিবীটা আর একটু সুন্দর হত। এভাবেই চলছিল এই জাতিসংঘ প্রতীকী সম্মেলন। দেশের ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সম্মেলনে অংশ নেন। মোট ১০টি কমিটি সম্মেলনে আলাদা বিষয় সাপেক্ষে ওয়ার্কিং পেপার ও ড্রাফট রেজল্যুশন পাস করে। সেই সব সিদ্ধান্ত শেষ দিন প্ল্যানারি সেশনে রেজল্যুশন আকারে পাস করে সাধারণ পরিষদ। প্রায় ৫৫০ জন শিক্ষার্থী এই ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ফিলিপাইন, আফগানিস্তান, মালয়েশিয়া, ভারত, নেপালসহ নয়টি দেশের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন এ সম্মেলনে।
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) অর্জনে স্বল্পোন্নত ৪৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। এমডিজির নির্ধারিত ১৪টি লক্ষ্যের মধ্যে অন্তত আটটি লক্ষ্য অর্জনের পথে দেশটি। অবশিষ্ট চারটির অগ্রগতিও বেশ ভালো। ২০১৫ সালে শেষ হবে লক্ষ্যমাত্রার সময়। পরবর্তীকালে উন্নয়নে তরুণদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ভিন্নমাত্রার উন্নয়ন কর্মসূচির দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে জাতিসংঘ। ‘টেকসই উন্নয়নে তরুণদের ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক ধারণা নিয়ে আয়োজন করা হয় এবারের ডানমুন সম্মেলন।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া তরুণরা কী কলেন? তারা কি পারবেন শান্তিময় বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে? সম্মেলনে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকিব মোহাম্মদ শাতিল বলেন, ‘এই সম্মেলন থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম। এ অভিজ্ঞতা নিশ্চয় আমার বাস্তব জীবনে কাজে লাগবে। কাজে লাগাতে চেষ্টা করব বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতেও।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী আশরাফি রাইসা বলেন, ‘আমরাই নেতৃত্ব দেব আগামী পৃথিবীর। সুতরাং বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের ভূমিকা রাখতেই হবে। আর আমি মনে করি এই সম্মেলনের অভিজ্ঞতা সেই কাজকে আরো সহজ করবে।’
ডিইউমুনার প্রেসিডেন্ট এম জে সোহেল জানান, এই সম্মেলনের মাধ্যমে বিশ্বগঠনে তরুণদের অংশগ্রহণের জন্য সচেতনতা বিকাশের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। আগামীর নেতৃত্ব যেন টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে শান্তি ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে, তার জন্যই এমন আয়োজন। স্থিতিশীল বিশ্বগঠনে তরুণদের অংশগ্রহণ বিস্তৃতকরণ ছিল সম্মেলনের অন্যতম লক্ষ্য। চার দিনের সম্মেলনে চলেছে অনেক তর্ক-বিতর্ক, দর-কষাকষি আর কূটনীতির মারপ্যাঁচ। সবকিছুর একটাই লক্ষ্য—শান্তিময় বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন