বিজয়ী দলের সদস্যরা হলেন আকিব মাশরুর, নুসরাত খন্দকার ও আফতারুল ইসলাম। ‘আপাতত আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হলো লন্ডন থেকে ফিউচার লিডারস লিগ জিতে আসা’—এভাবেই নুসরাত তাঁর স্বপ্নের কথা তুলে ধরেন। দলের আরেক সদস্য আকিব বলেন, ‘ছোটকাল থেকেই ব্যবসা নিয়ে দারুণ আগ্রহী ছিলাম। আমি বিশ্বাস করি, মুনাফা অর্জন নয়, ব্যবসার মূল উদ্দেশ্য হলো সঠিক পণ্য বা সেবা প্রদানের মাধ্যমে মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা।’
আরেক সদস্য আফতারুল বিজমায়েস্ট্রো নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা বলেন এভাবে, ‘এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেয়েও বড় পাওয়া অভিজ্ঞতা, যা পেশাজীবনে আমাদের কাজে লাগবে।’ বিজয়ী দলের চতুর্থ সদস্য সৌমিক মাহমুদ ব্যস্ততার কারণে চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিতে পারেননি।
প্রতিযোগিতার শুরুতে অংশগ্রহণের প্রচারণা চালাতে ইউনিলিভার দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সফর করে। এর মধ্যে আইবিএ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি), ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি) উল্লেখযোগ্য।
প্রথম পর্বে দলগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল, ইউনিলিভার পণ্য ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সমাধানের উপযোগী চিন্তা করা। ১০০টিরও বেশি প্রতিযোগী দলের মাঝ থেকে ১১টি দলকে নির্বাচন করা হয় দ্বিতীয় পর্বের জন্য। এ পর্বে প্রতিটি দলের কাজ ছিল তাদের নির্ধারিত বিভাগের বাজার-জনপ্রিয়তা বাড়াতে একটি বিপণন পরিকল্পনা তৈরি করা। স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে ২৭ আগস্ট এই পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার লেকশোর হোটেলে বসে বিজমায়েস্ট্রো-২০১৪ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে। শেষ পর্যন্ত সাফল্য ধরা দেয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ দলের কাছে। টিম বিইউপি জিতে নেয় দ্বিতীয় রানার্সআপের সম্মান এবং বুয়েটের দল টিম মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পায় প্রথম রানার্সআপের সম্মান। প্রথম রানার্সআপ দলটি পাবে ইউনিলিভার কারখানা ঘুরে দেখার সুযোগ এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ দলটি পাবে ইউনিলিভারে ইন্টার্নশিপের সুযোগ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন