ছোট
ছোট পরিবর্তন ভবিষ্যতে বড় কোনো পরিবর্তন আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
পরিবর্তনের শুরুটাই হচ্ছে মূল কথা। তরুণরাই পারে সবুজ ও টেকসই উন্নয়নের পথ
দ্বারা প্রকৃতিকে রক্ষা করতে। এই প্রত্যয়কে সামনে রেখে বিশ্বের ৪৭টি দেশের
প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী চীনের সাংহাই তোনজি বিশ্ববিদ্যালয়ে মিলিত হয়েছিল। গত
৫–১০ জুন ‘ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট কনফারেন্স অন এনভায়রনমেইন্ট অ্যান্ড
সাসটেইনিবিলিটি’ শীর্ষক এ সম্মেলনের আয়োজক ছিল চীনের তোনজি বিশ্ববিদ্যালয় ও
জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সংস্থা ইউএনইপি।
এই সম্মেলনে মূল আলোচ্য বিষয় ছিল টেকসই উন্নয়নের জন্য শিক্ষা, খাদ্য ও স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও উন্নয়নে সবুজায়ন—এই প্রতিটি বিষয়ে তরুণেরা তাদের চিন্তা ও সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ করে। পরিবেশবিষয়ক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে এই সম্মেলনের মাধ্যমে বের হয়ে আসে অনেক সুপারিশ।
এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতিসংঘের ইউএনইপির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক কারেহ জিহাদি ও ইউএনইপির গবেষক ফুলাই সেং। এই অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জার্মানির ফ্রেড্রিখ ইবার্ট স্টিফটাং (এফইএস) প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ গবেষকেরা। তাঁরা তাঁদের গবেষণায় দেখিয়েছেন কীভাবে প্রাকৃতিক সম্পদকে বেশি পরিমাণে কাজে লাগিয়ে জার্মানির শহরগুলো আরও বেশি সবুজায়ন করা হচ্ছে।
প্রকৃতির বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা হয় কীভাবে? অনুষ্ঠানের বিভিন্ন অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন প্রশ্ন ও মতামত বর্তমান বিশ্বের নীতিনির্ধারকদের কাছে তুলে ধরে।
শিক্ষার্থীদের এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ইডেন কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহমিদা ইয়াসমিন, চীনের পলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষক আশরাফুল আলম ও চীনের তোনজি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রায়হান শরিফ বাংলাদেশের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিদিন সন্ধ্যায় সম্মেলন শেষে সবাই মিলে যেত খোশ–গল্প আর আড্ডায়। এর মধ্যে একদিন সুন্দরবন দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করল জাপানি বন্ধু লুসি। ইন্দোনেশিয়ার বন্ধু রেতনোর বাংলাদেশ সম্পর্কে তেমন ধারণা ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু সারাহর ইচ্ছা একবার সপরিবারে বাংলাদেশ ঘুরে দেখার।
এ সম্মেলনে আমাদের সবচেয়ে বড় যে উপলব্ধি হয়েছে, তা হলো, নানা দেশের নানা সংস্কৃতির শিক্ষার্থী, কিন্তু পরিবেশ নিয়ে সবার লক্ষ্য অভিন্ন। ইউক্রেনের গ্যাব্রিয়েল আলাপকালে বলছিল, ওরা গবেষণা করছে কীভাবে দূষিত পানিকে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করা যায়। সুদানের মোহাম্মদ ও মিশরের আহমদ কথা প্রসঙ্গে জানায় যে ওই অঞ্চলে নীল নদ স্বাদু পানির সবচেয়ে গুরুত্মপূর্ণ উৎস। তারা চেষ্টা করছে এই নদীকে দূষণমুক্ত রাখার জন্য। জার্মানির টাইলম্যান জানায়, তারা পরিকল্পনা করছে নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদকে কীভাবে আরও বেশি পরিমাণে ব্যবহার করা যায়।
শত শত শিক্ষার্থীর মিলনমেলা শেষ হয় ১০ জুন। বিদায়বেলায় বিভিন্ন দেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীরা ইমেইল আর ফেসবুক ঠিকানা বিনিময় করে পাড়ি জমায় নিজ নিজ দেশে।
এই সম্মেলনে মূল আলোচ্য বিষয় ছিল টেকসই উন্নয়নের জন্য শিক্ষা, খাদ্য ও স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও উন্নয়নে সবুজায়ন—এই প্রতিটি বিষয়ে তরুণেরা তাদের চিন্তা ও সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ করে। পরিবেশবিষয়ক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে এই সম্মেলনের মাধ্যমে বের হয়ে আসে অনেক সুপারিশ।
এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতিসংঘের ইউএনইপির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক কারেহ জিহাদি ও ইউএনইপির গবেষক ফুলাই সেং। এই অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জার্মানির ফ্রেড্রিখ ইবার্ট স্টিফটাং (এফইএস) প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ গবেষকেরা। তাঁরা তাঁদের গবেষণায় দেখিয়েছেন কীভাবে প্রাকৃতিক সম্পদকে বেশি পরিমাণে কাজে লাগিয়ে জার্মানির শহরগুলো আরও বেশি সবুজায়ন করা হচ্ছে।
প্রকৃতির বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা হয় কীভাবে? অনুষ্ঠানের বিভিন্ন অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন প্রশ্ন ও মতামত বর্তমান বিশ্বের নীতিনির্ধারকদের কাছে তুলে ধরে।
শিক্ষার্থীদের এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ইডেন কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহমিদা ইয়াসমিন, চীনের পলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষক আশরাফুল আলম ও চীনের তোনজি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রায়হান শরিফ বাংলাদেশের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিদিন সন্ধ্যায় সম্মেলন শেষে সবাই মিলে যেত খোশ–গল্প আর আড্ডায়। এর মধ্যে একদিন সুন্দরবন দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করল জাপানি বন্ধু লুসি। ইন্দোনেশিয়ার বন্ধু রেতনোর বাংলাদেশ সম্পর্কে তেমন ধারণা ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু সারাহর ইচ্ছা একবার সপরিবারে বাংলাদেশ ঘুরে দেখার।
এ সম্মেলনে আমাদের সবচেয়ে বড় যে উপলব্ধি হয়েছে, তা হলো, নানা দেশের নানা সংস্কৃতির শিক্ষার্থী, কিন্তু পরিবেশ নিয়ে সবার লক্ষ্য অভিন্ন। ইউক্রেনের গ্যাব্রিয়েল আলাপকালে বলছিল, ওরা গবেষণা করছে কীভাবে দূষিত পানিকে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করা যায়। সুদানের মোহাম্মদ ও মিশরের আহমদ কথা প্রসঙ্গে জানায় যে ওই অঞ্চলে নীল নদ স্বাদু পানির সবচেয়ে গুরুত্মপূর্ণ উৎস। তারা চেষ্টা করছে এই নদীকে দূষণমুক্ত রাখার জন্য। জার্মানির টাইলম্যান জানায়, তারা পরিকল্পনা করছে নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদকে কীভাবে আরও বেশি পরিমাণে ব্যবহার করা যায়।
শত শত শিক্ষার্থীর মিলনমেলা শেষ হয় ১০ জুন। বিদায়বেলায় বিভিন্ন দেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীরা ইমেইল আর ফেসবুক ঠিকানা বিনিময় করে পাড়ি জমায় নিজ নিজ দেশে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন