‘জাতিসংঘ’
অধিবেশনে যেন গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে ভোট হচ্ছে। প্রস্তাবের
পক্ষে সবার মধ্যে উদ্বেগ। কারণ, মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে রেজ্যুলেশনটি পাস
করতে তখনো একটি ভোট প্রয়োজন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে থমকে যেতে পারে
প্রস্তাবটি। হার্ভার্ড ওয়ার্ল্ড মডেল ইউনাইটেড নেশনস (হার্ভার্ড মুন) ২০১৫
সম্মেলনে ঠিক এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছে আমাদের। বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে
হাজির হয়েছিলাম আমরা সাতজন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুল থেকে
সৈয়দ রায়হান, আবিদ খান, শরীফ তউসিফ, সাদিয়া বুশরা ও আমি; অর্থনীতি ও
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে মেহরাব মোদিন চৌধুরী ও অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল
স্কুল থেকে সারফুজ সিফাত।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে ১৬ থেকে ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় ২৪তম হার্ভার্ড ওয়ার্ল্ড মডেল ইউনাইটেড নেশনস আসরটি। মডেল ইউনাইটেড নেশন বা ছায়া জাতিসংঘ হচ্ছে জাতিসংঘের মূল সম্মেলনের আদলে করা তরুণদের সম্মেলন। এ বছর এ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের ১৮৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন, যাঁরা সম্মেলনের ১৯টি কমিটিতে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
সম্মেলনে অংশ নিতে আমরা দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছাই ১৫ মার্চ। আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রস্তুতি নিতে থাকি সম্মেলনের জন্য। সম্মেলনে আমরা ভিন্ন দেশের প্রতিনিধিত্ব করি। আমি ও সাদিয়া যেমন মেক্সিকোর প্রতিনিধিত্ব করেছি। জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় উন্নয়ন কমিটির মতো আমরাও সমাধান খুঁজে বের করেছি সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা। বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূর করতে ‘বাস্কেট অব ফুডস’ নামে আমরা একটি ধারণা উপস্থাপন করি। এ ছাড়া আবিদ খান ও শরীফ তউসিফ জাতিসংঘের সামাজিক মানবিক ও সাংস্কৃতিক কমিটিতে নিজেদের দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে বলেন।
সৈয়দ রায়হান তাঁর অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, ‘আমি বক্তব্য দিয়েছি ভারতে উচ্চমাতৃমৃত্যু হার কমাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে। কিন্তু এতে সবার বিরোধিতা ছিল। তাঁদের বক্তব্য ছিল, অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হওয়া সত্ত্বেও কেন আমরা এটি কমাতে পারছি না? সমস্যার প্রকটতা কমাতে বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি উন্নত দেশগুলোর সহায়তা আশা করে তথ্য উপস্থাপন করি।’
ওদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধিবেশনে মেহরাব মোদিন চৌধুরী এনেছিলেন নতুন কিছু সমাধান। শুধু নিজের দেশ জন্যই নয়, সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে একত্র হয়ে তিনি এনেছিলেন সাম্যের আহ্বান।
উন্নত দেশ হিসেবে জার্মানির ভূমিকা বলার অপেক্ষা রাখে না। সারফুজ সিফাত উন্নয়নের মডেলগুলো সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করেন। প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে মতামত দিয়েছেন হাই লেভেল পলিটিক্যাল ফোরাম কমিটিতে।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া সবাই আমরা ভিন্ন দেশ, ভিন্ন চিন্তার। কিন্তু সবার লক্ষ্য এক—উন্নত বিশ্ব গড়ার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে, নিজেদের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান হয়। সম্মেলনের শেষ দিন ছিল সাংস্কৃতিক পর্ব। নতুন বিশ্ব গড়তে তরুণদের দৃঢ়প্রতিজ্ঞার আহ্বানে পর্দা নামে হার্ভার্ড মুনের।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে ১৬ থেকে ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় ২৪তম হার্ভার্ড ওয়ার্ল্ড মডেল ইউনাইটেড নেশনস আসরটি। মডেল ইউনাইটেড নেশন বা ছায়া জাতিসংঘ হচ্ছে জাতিসংঘের মূল সম্মেলনের আদলে করা তরুণদের সম্মেলন। এ বছর এ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের ১৮৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন, যাঁরা সম্মেলনের ১৯টি কমিটিতে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
সম্মেলনে অংশ নিতে আমরা দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছাই ১৫ মার্চ। আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রস্তুতি নিতে থাকি সম্মেলনের জন্য। সম্মেলনে আমরা ভিন্ন দেশের প্রতিনিধিত্ব করি। আমি ও সাদিয়া যেমন মেক্সিকোর প্রতিনিধিত্ব করেছি। জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় উন্নয়ন কমিটির মতো আমরাও সমাধান খুঁজে বের করেছি সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা। বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূর করতে ‘বাস্কেট অব ফুডস’ নামে আমরা একটি ধারণা উপস্থাপন করি। এ ছাড়া আবিদ খান ও শরীফ তউসিফ জাতিসংঘের সামাজিক মানবিক ও সাংস্কৃতিক কমিটিতে নিজেদের দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে বলেন।
সৈয়দ রায়হান তাঁর অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, ‘আমি বক্তব্য দিয়েছি ভারতে উচ্চমাতৃমৃত্যু হার কমাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে। কিন্তু এতে সবার বিরোধিতা ছিল। তাঁদের বক্তব্য ছিল, অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হওয়া সত্ত্বেও কেন আমরা এটি কমাতে পারছি না? সমস্যার প্রকটতা কমাতে বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি উন্নত দেশগুলোর সহায়তা আশা করে তথ্য উপস্থাপন করি।’
ওদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধিবেশনে মেহরাব মোদিন চৌধুরী এনেছিলেন নতুন কিছু সমাধান। শুধু নিজের দেশ জন্যই নয়, সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে একত্র হয়ে তিনি এনেছিলেন সাম্যের আহ্বান।
উন্নত দেশ হিসেবে জার্মানির ভূমিকা বলার অপেক্ষা রাখে না। সারফুজ সিফাত উন্নয়নের মডেলগুলো সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করেন। প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে মতামত দিয়েছেন হাই লেভেল পলিটিক্যাল ফোরাম কমিটিতে।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া সবাই আমরা ভিন্ন দেশ, ভিন্ন চিন্তার। কিন্তু সবার লক্ষ্য এক—উন্নত বিশ্ব গড়ার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে, নিজেদের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান হয়। সম্মেলনের শেষ দিন ছিল সাংস্কৃতিক পর্ব। নতুন বিশ্ব গড়তে তরুণদের দৃঢ়প্রতিজ্ঞার আহ্বানে পর্দা নামে হার্ভার্ড মুনের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন