মুক্তিযুদ্ধ
সম্পর্কে তথ্য জানার সহজ মাধ্যম এখন ইন্টারনেট। হাতের মুঠোয় থাকা প্রিয়
স্মার্টফোনেও চাইলে মুক্তিযুদ্ধ-সম্পর্কিত অনেক কিছুই পাওয়া যাচ্ছে। রয়েছে
বেশ কিছু অ্যাপ। প্রযুক্তিসুবিধা কাজে লাগিয়ে এ ধরনের উদ্যোগ নতুন
প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তুলে ধরার কাজটি করে যাচ্ছে। অ্যাপ,
ওয়েবসাইট, বাংলা ভাষার ব্লগ, বিভিন্ন ফোরামের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগের
ওয়েবসাইট ফেসবুকেও রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের নানা বিষয়।
ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ইন্টারনেটে যা তথ্য আছে, তা পর্যাপ্ত নয়। আমার মনে হয়, এ তথ্যগুলো আরও বেশি থাকা উচিত। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এবং এর আগের নানা তথ্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও অন্যান্য মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। সেগুলোও স্ক্যান করে একটা সমৃদ্ধ আর্কাইভ করা দরকার।’
মুক্তিযুদ্ধের নানা ধরনের তথ্যের সম্ভার রয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.molwa.gov.bd) । এ ওয়েবসাইটে মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ দলিল, ছবি, সনদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ভাস্কর্যের তথ্য, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ও মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মেলনের বিস্তারিত পাওয়া যাবে।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও দলিল পাওয়া যাবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ওয়েবসাইটে (www.liberationwarmuseum.org)।
মুক্তিযুদ্ধকালীন বিভিন্ন ধরনের ছবি, তথ্য, মুক্তিযুদ্ধ গবেষকদের নানা তথ্যের ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ দলিল, যুদ্ধকালীন তথ্যগুলো তারিখ অনুসারে পাওয়া যাবে দ্য ডেইলি স্টার-এর ফ্রিডম ইন এয়ার অনলাইন আর্কাইভে (http://archive.thedailystar.net/news2014/freedom-in-the-air)।
মুক্তিযুদ্ধের বড় একটি তথ্যভান্ডার রয়েছে উন্মুক্ত বিশ্বকোষ বাংলা উইকিপিডিয়া (https://bn.wikipedia.org) ও ইংরেজি উইকিপিডিয়ায় (https://en.wikipedia.org)। বাংলা উইকিপিডিয়ায় ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ’ (http://bit.ly/1mTK4wj) নামের নিবন্ধে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের নানা তথ্য ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি। উন্মুক্ত এ বিশ্বকোষে চাইলে যে-কেউ মাতৃভাষায় যুক্ত করতে পারেন তথ্য ও ছবি।
শুধু ওয়েবসাইটেই সীমাবদ্ধ নয় মুক্তিযুদ্ধের তথ্য, যুদ্ধের প্রতিটি দিন কী ঘটেছিল, সেসব ঘটনা নিয়ে রয়েছে ‘একাত্তরের ডায়েরি’ http://bit.ly/1DAq3DM নামের বিশেষ অ্যাপ। অ্যাপটির সাহায্যে নির্দিষ্ট তারিখের ওপর ক্লিক করে সেই তারিখে কী ঘটেছিল, তা জানা যাবে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর থেকে তথ্য নিয়ে অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্ট্রি জিয়া উদ্দিন তারিক আলী বলেন, ‘১৯৭১ সালের প্রতিদিনের দিনপঞ্জি আমরা ইতিমধ্যে ইন্টারনেটে যুক্ত করতে পেরেছি। তবে এখনো অনেক কিছু করার আছে আমাদের। ভবিষ্যতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভার্চুয়াল জাদুঘর করার চিন্তা আছে।’
১৯৭১ সালের নানা ঘটনা জানা যাবে ‘একাত্তর’ http://bit.ly/1BwS5sQ নামের অ্যাপে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দুঃসাহসিক সব গল্প জানা যাবে ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্প’ http://bit.ly/1Gnlb2A অ্যাপের মাধ্যমে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল এবং মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনার বিস্তারিত রয়েছে ‘ইতি বাংলাদেশ’ http://bit.ly/P0m8ZU অ্যাপে।
মুক্তিযুদ্ধের নানা তথ্য জানতে অ্যাপ ব্যবহার করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তামান্না মাহজাবীন। তিনি বলেন, ‘স্মার্টফোনে অ্যাপের সাহায্যে মুক্তিযুদ্ধের গল্প, ছবি ইত্যাদি সম্পর্কে জানছি। কারণ, অ্যাপে সহজেই অনেক তথ্য পাওয়া যায়। পাশাপাশি উইকিপিডিয়া থেকে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্যগুলো নিজে পড়ে বন্ধুদের সঙ্গেও শেয়ার করি।’
ফেসবুকেও মুক্তিযুদ্ধের নানা বিষয় নিয়ে রয়েছে একাধিক পেজ ও গ্রুপ। ২০১১ সালে চালু হওয়া ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনো’ (www.fb.com/Muktijuddhergolpo) নামের বিশেষ পেজটিতে মুক্তিযুদ্ধের ছবি ও তথ্য রয়েছে।
খুদে ব্লগ লেখার জনপ্রিয় সাইট টুইটারেও (www.twitter.com/History1971) জানা যাবে বিভিন্ন তথ্য। টুইটারে #BangladeshLibrationWar1971, #BirSreshtho, #BirProtik, #BirUttom, #BirBikrom হ্যাশট্যাগ অনুসরণ করে নানা তথ্য জানা যাবে।
যুদ্ধাপরাধ ও মুক্তিযুদ্ধের নানা বিষয় নিয়ে বিভিন্ন দেশের বাঙালি স্বেচ্ছাসেবীরা অনলাইনে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরামে (আইসিএসএফ) নানা ধরনের তথ্য যোগ করে যাচ্ছেন। আইসিএসএফের ওয়েবসাইট (www.icsforum.org), আর্কাইভ, লাইব্রেরি ও ফেসবুক পেজেও (www.fb.com/icsforum) পাওয়া যাবে মুক্তিযুদ্ধের নানা কথা।
মুক্তিযুদ্ধের খবর, মুক্তিযোদ্ধাদের খবর, ছবি ইত্যাদি সংগ্রহ, প্রকাশনাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কাজ করছে তরুণদের সংগঠন ‘মুক্ত আসর’। স্বপ্ন ৭১ নামের নিয়মিত প্রকাশনা বের করছে সংগঠনটি। পাশাপাশি নিজেদের ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে মুক্তিযুদ্ধের তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন মুক্ত আসরের সদস্যরা। এ সংগঠনের সদস্যরা ‘মুক্তিযুদ্ধপিডিয়া’ নামের একটি ওয়েবসাইট নিয়েও কাজ করছেন। তরুণদের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক আরেকটি উদ্যোগ ওয়ার ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (www.icsforum.org)। জেনোসাইড বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে (www.fb.com/icsforum) ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের নানা তথ্য ও খবর পাওয়া যাবে।
ডিজিটাল মাধ্যমে এ উদ্যোগগুলো সংরক্ষণ করা উচিত বলে মনে করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ। তিনি বলেন, ‘উনসত্তরের গণ-আন্দোলন, সত্তরের নির্বাচন কিংবা একাত্তরের উত্তাল মার্চ আমাদের এ প্রজন্ম দেখেনি। দেশের প্রতি ভালোবাসা, গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েরা যাতে উজ্জীবিত হতে পারে, তার জন্য মুক্তিযুদ্ধের গল্প ইন্টারনেটে সংরক্ষণ করা উচিত।’
আশার কথা হলো, যে কাজগুলো হচ্ছে, শুধু সেসবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় তরুণ প্রজন্মের দল। তারা প্রতিনিয়ত মুক্তিযুদ্ধের কথা সবার মধ্যে তুলে ধরতে করে যাচ্ছে নানা ধরনের কাজ। অব্যাহত রয়েছে অসংখ্য প্রচেষ্টা। এভাবেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের কথা ছড়িয়ে পড়বে সবার মাঝে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।
ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ইন্টারনেটে যা তথ্য আছে, তা পর্যাপ্ত নয়। আমার মনে হয়, এ তথ্যগুলো আরও বেশি থাকা উচিত। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এবং এর আগের নানা তথ্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও অন্যান্য মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। সেগুলোও স্ক্যান করে একটা সমৃদ্ধ আর্কাইভ করা দরকার।’
মুক্তিযুদ্ধের নানা ধরনের তথ্যের সম্ভার রয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.molwa.gov.bd) । এ ওয়েবসাইটে মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ দলিল, ছবি, সনদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ভাস্কর্যের তথ্য, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ও মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মেলনের বিস্তারিত পাওয়া যাবে।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও দলিল পাওয়া যাবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ওয়েবসাইটে (www.liberationwarmuseum.org)।
মুক্তিযুদ্ধকালীন বিভিন্ন ধরনের ছবি, তথ্য, মুক্তিযুদ্ধ গবেষকদের নানা তথ্যের ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ দলিল, যুদ্ধকালীন তথ্যগুলো তারিখ অনুসারে পাওয়া যাবে দ্য ডেইলি স্টার-এর ফ্রিডম ইন এয়ার অনলাইন আর্কাইভে (http://archive.thedailystar.net/news2014/freedom-in-the-air)।
মুক্তিযুদ্ধের বড় একটি তথ্যভান্ডার রয়েছে উন্মুক্ত বিশ্বকোষ বাংলা উইকিপিডিয়া (https://bn.wikipedia.org) ও ইংরেজি উইকিপিডিয়ায় (https://en.wikipedia.org)। বাংলা উইকিপিডিয়ায় ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ’ (http://bit.ly/1mTK4wj) নামের নিবন্ধে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের নানা তথ্য ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি। উন্মুক্ত এ বিশ্বকোষে চাইলে যে-কেউ মাতৃভাষায় যুক্ত করতে পারেন তথ্য ও ছবি।
শুধু ওয়েবসাইটেই সীমাবদ্ধ নয় মুক্তিযুদ্ধের তথ্য, যুদ্ধের প্রতিটি দিন কী ঘটেছিল, সেসব ঘটনা নিয়ে রয়েছে ‘একাত্তরের ডায়েরি’ http://bit.ly/1DAq3DM নামের বিশেষ অ্যাপ। অ্যাপটির সাহায্যে নির্দিষ্ট তারিখের ওপর ক্লিক করে সেই তারিখে কী ঘটেছিল, তা জানা যাবে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর থেকে তথ্য নিয়ে অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্ট্রি জিয়া উদ্দিন তারিক আলী বলেন, ‘১৯৭১ সালের প্রতিদিনের দিনপঞ্জি আমরা ইতিমধ্যে ইন্টারনেটে যুক্ত করতে পেরেছি। তবে এখনো অনেক কিছু করার আছে আমাদের। ভবিষ্যতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভার্চুয়াল জাদুঘর করার চিন্তা আছে।’
১৯৭১ সালের নানা ঘটনা জানা যাবে ‘একাত্তর’ http://bit.ly/1BwS5sQ নামের অ্যাপে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দুঃসাহসিক সব গল্প জানা যাবে ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্প’ http://bit.ly/1Gnlb2A অ্যাপের মাধ্যমে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল এবং মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনার বিস্তারিত রয়েছে ‘ইতি বাংলাদেশ’ http://bit.ly/P0m8ZU অ্যাপে।
মুক্তিযুদ্ধের নানা তথ্য জানতে অ্যাপ ব্যবহার করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তামান্না মাহজাবীন। তিনি বলেন, ‘স্মার্টফোনে অ্যাপের সাহায্যে মুক্তিযুদ্ধের গল্প, ছবি ইত্যাদি সম্পর্কে জানছি। কারণ, অ্যাপে সহজেই অনেক তথ্য পাওয়া যায়। পাশাপাশি উইকিপিডিয়া থেকে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্যগুলো নিজে পড়ে বন্ধুদের সঙ্গেও শেয়ার করি।’
ফেসবুকেও মুক্তিযুদ্ধের নানা বিষয় নিয়ে রয়েছে একাধিক পেজ ও গ্রুপ। ২০১১ সালে চালু হওয়া ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনো’ (www.fb.com/Muktijuddhergolpo) নামের বিশেষ পেজটিতে মুক্তিযুদ্ধের ছবি ও তথ্য রয়েছে।
খুদে ব্লগ লেখার জনপ্রিয় সাইট টুইটারেও (www.twitter.com/History1971) জানা যাবে বিভিন্ন তথ্য। টুইটারে #BangladeshLibrationWar1971, #BirSreshtho, #BirProtik, #BirUttom, #BirBikrom হ্যাশট্যাগ অনুসরণ করে নানা তথ্য জানা যাবে।
যুদ্ধাপরাধ ও মুক্তিযুদ্ধের নানা বিষয় নিয়ে বিভিন্ন দেশের বাঙালি স্বেচ্ছাসেবীরা অনলাইনে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরামে (আইসিএসএফ) নানা ধরনের তথ্য যোগ করে যাচ্ছেন। আইসিএসএফের ওয়েবসাইট (www.icsforum.org), আর্কাইভ, লাইব্রেরি ও ফেসবুক পেজেও (www.fb.com/icsforum) পাওয়া যাবে মুক্তিযুদ্ধের নানা কথা।
মুক্তিযুদ্ধের খবর, মুক্তিযোদ্ধাদের খবর, ছবি ইত্যাদি সংগ্রহ, প্রকাশনাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কাজ করছে তরুণদের সংগঠন ‘মুক্ত আসর’। স্বপ্ন ৭১ নামের নিয়মিত প্রকাশনা বের করছে সংগঠনটি। পাশাপাশি নিজেদের ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে মুক্তিযুদ্ধের তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন মুক্ত আসরের সদস্যরা। এ সংগঠনের সদস্যরা ‘মুক্তিযুদ্ধপিডিয়া’ নামের একটি ওয়েবসাইট নিয়েও কাজ করছেন। তরুণদের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক আরেকটি উদ্যোগ ওয়ার ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (www.icsforum.org)। জেনোসাইড বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে (www.fb.com/icsforum) ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের নানা তথ্য ও খবর পাওয়া যাবে।
ডিজিটাল মাধ্যমে এ উদ্যোগগুলো সংরক্ষণ করা উচিত বলে মনে করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ। তিনি বলেন, ‘উনসত্তরের গণ-আন্দোলন, সত্তরের নির্বাচন কিংবা একাত্তরের উত্তাল মার্চ আমাদের এ প্রজন্ম দেখেনি। দেশের প্রতি ভালোবাসা, গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েরা যাতে উজ্জীবিত হতে পারে, তার জন্য মুক্তিযুদ্ধের গল্প ইন্টারনেটে সংরক্ষণ করা উচিত।’
আশার কথা হলো, যে কাজগুলো হচ্ছে, শুধু সেসবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় তরুণ প্রজন্মের দল। তারা প্রতিনিয়ত মুক্তিযুদ্ধের কথা সবার মধ্যে তুলে ধরতে করে যাচ্ছে নানা ধরনের কাজ। অব্যাহত রয়েছে অসংখ্য প্রচেষ্টা। এভাবেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের কথা ছড়িয়ে পড়বে সবার মাঝে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন