বাংলা ভাষায় প্রোগ্রামিং শিক্ষা

LATEST :
সাইটটির উন্নয়ন চলছে এবং শীঘ্রই উন্নয়ন করা হবে

সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৫

তর্কজয়ী তিন কন্যা

‘জাতীয় নারী বিতর্ক উৎসবে’ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদজননী জাহানারা ইমাম হলের ‘সাস্ট শহীদজননী’ দল। চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যরা হচ্ছেন সাবাহ্ মাহজাবীন সারোয়ার, অনন্যা সরকার ও কাজী খায়রুন নাহার।
তিন কন্যার কনিষ্ঠ সদস্য কাজী খায়রুন নাহার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। বিতর্কে যোগ দিয়েছেন মাস তিনেক হলো। তিন মাসেই জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য! তাই তিনি অন্যদের চেয়ে বেশিই আনন্দিত। খায়রুন নাহার বলেন, ‘স্কুল-কলেজে বিতর্কের খুব ইচ্ছা ছিল। তবে সুযোগ হয়ে ওঠেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে মাত্র তিন মাস আগে শাহজালাল ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটিতে যোগ দিই। সংগঠনে এসে অনেক কিছু শিখেছি। সাফল্য আসবে ভেবেছিলাম। তবে এত তাড়াতাড়ি পেয়ে যাব ভাবিনি। তাই অনেক খুশি।’
উৎসবের সেরা বিতার্কিক সাবাহ্ মাহজাবীন সারোয়ার পড়ছেন তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষে। প্রকৌশলবিদ্যার দীর্ঘ ব্যবহারিক ও তত্ত্বীয় ক্লাস শেষে বিতর্কে সময় দেন, কীভাবে এমন প্রশ্নে সাবাহ্ মাহজাবীনের উত্তর, ‘একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে বিতর্কই আমার প্রাণ। পড়াশোনার বাইরে বিতর্ক ছাড়া অন্য কোথাও আমি সময় দিই না। আমার বাবা একসময় বিটিভির খুব ভালো বিতার্কিক ছিলেন। বিতর্কে বাবাই আমার উৎসাহ ও অনুপ্রেরণার উৎস।’
বিজয়ী দলের আরেক সদস্য অনন্যা সরকারের বাড়ি নেত্রকোনায়। সেখানে কলেজজীবন থেকেই বিতর্কে অংশগ্রহণ করে আসছেন। অনন্যা বলেন, ‘শিরোপা জয়ই শেষ কথা নয়। বিতর্ককে ভালোবাসা, বিতর্কচর্চার সঙ্গে যুক্ত থাকতেই আমি বেশি আগ্রহী। তবে শিরোপা আমার এ পথচলায় আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, যুক্তিতে আসে মুক্তি। সব সমস্যার সমাধান যুক্তির মাধ্যমে সম্ভব।’
মেয়েদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত শহীদজননী জাহানারা ইমাম হলের ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষ মাহরুবা শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘আমার আনন্দ একটু বেশিই। কারণ আমি হলের দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার দুই মাসের মধ্যে আমার মেয়েরা জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এ হলের শিক্ষার্থীরা প্রথমবার কোনো জাতীয় পর্যায়ের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হলো। হল প্রশাসন ভবিষ্যতে মেয়েদের বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণে উৎসাহ দিতে কর্মশালার আয়োজন করবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আমিনুল হক ভূঁইয়া বিজয়ী দলের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘পড়াশোনা ও গবেষণার পাশাপাশি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে মেধার স্বাক্ষর রাখছে। মেয়েদের এ সাফল্যে আমি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অভিভাবক হিসেবে খুবই খুশি ও গর্বিত।’
‘জাতীয় নারী বিতর্ক উৎসবে’ রানারআপ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দল। উৎসবের আয়োজক ছিল জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেট অরগানাইজেশন (জুডো)।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

স্বত্বাধিকারী © ২০১৫ প্রোগ্রামিং এর মহাজগৎ সব অধিকার সংরক্ষিত
^