আজ পালিত
হচ্ছে বিশ্ব রক্তদান দিবস। এবারের স্লোগান ‘থ্যাংক ইউ ফর সেভিং মাই লাইফ।’
স্বেচ্ছায় রক্তদানে উৎসাহিত করতে কাজ করে চলেছেন শিক্ষার্থীরা। মেডিকেল
কলেজের শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন
‘সন্ধানী’ এবং কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত ‘বাঁধন’
কাজ করে চলেছে নিরন্তর।
‘এক ব্যাগ রক্ত কারও হাতে তুলে দেওয়ার পর সে মানুষটির মুখে যে কৃতজ্ঞতা আর পরিতৃপ্তির ছাপ দেখা যায়, তা অকৃত্রিম। এ পরম সহানুভূতির জন্যই আমি সন্ধানীর সঙ্গে যুক্ত হই।’ কথাগুলো বলছিলেন সন্ধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী ও ইউনিট সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
তাঁর মতোই মানুষের সেবা করার ব্রত নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে সন্ধানীর যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৭৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। দেশের সর্বোচ্চ সম্মান ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ পাওয়া এ সংগঠনের ইউনিট সংখ্যা বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মিলে ২৩টি। একটি কেন্দ্রীয় পরিষদের মাধ্যমে এসব ইউনিট পরিচালনা করা হয়। আর প্রতিবছর মেডিকেল কলেজে যাঁরা ভর্তি হন, তাঁদের মাধ্যমেই পরিচালিত হয় সন্ধানী। সন্ধানীতে স্বেচ্ছাশ্রম দেওয়া এসব তরুণেরা পরিচিত ‘সন্ধানীয়ান’ নামে।
সন্ধানীর বিভিন্ন ইউনিট থেকে কি যে কেউ রক্ত নিতে পারে? জানতে চেয়েছিলাম সন্ধানীর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ফেমাস উদ্দিনের কাছে। ‘আমাদের এখানে রক্ত কেনাবেচা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সন্ধানী থেকে রক্ত পাওয়ার কিছু পূর্বশর্ত রয়েছে। আমরা উৎসাহিত করি, এক ব্যাগ রক্ত নিলে বিনিময়ে আরেক ব্যাগ রক্ত দিতে।’
তবে স্বেচ্ছায় রক্তদানকারী যে কেউ প্রয়োজনে রক্তদানের আইডি কার্ড দেখিয়ে রক্ত জোগাড় করতে পারেন। এ ছাড়া থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সন্ধানী কোনো শর্ত ছাড়াই রক্ত প্রদানের ব্যবস্থা করে থাকে। শুধু রক্তদানই নয়, দরিদ্র রোগীদের সাহায্য করার জন্য সন্ধানীর আছে বিনা মূল্যে ওষুধ বিতরণ কর্মসূচি। এ ছাড়া মরণোত্তর চক্ষুদানে উৎসাহিত করাও সন্ধানীর একটি উল্লেখযোগ্য কাজ। সময়ে সময়ে বিভিন্ন উপলক্ষে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন, বিশেষ করে শহর থেকে দূরে অবস্থিত অজপাড়াগাঁয়ের স্বাস্থ্যসেবাবঞ্চিত মানুষের জন্য সন্ধানী প্রায়ই এ আয়োজন করে। গত বছরের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে সন্ধানী কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের নাতালিয়া তাবনী টেলিফোন সাক্ষাৎকারে বলেন, সন্ধানী থেকে ২০১৩-১৪ সালে মোট রক্ত সংগ্রহ হয়েছিল প্রায় ৪৩ হাজার ব্যাগ। এ ছাড়া মরণোত্তর চক্ষুদান অঙ্গীকারপত্র পূরণ করেছেন ১ হাজার ৩৫০ জন। আজকের আয়োজনে সন্ধানী কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে সন্ধানী ভবন পর্যন্ত একটি র্যালির আয়োজন করেছে। এ ছাড়া নীলক্ষেতের সন্ধানী ভবনে থাকছে সেমিনার। আর ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সবগুলো ইউনিট আলাদা আলাদাভাবে রক্তদান সচেতনতামূলক প্রচারাভিজান ও রক্ত সংগ্রহ করবে।
মেডিকেল কলেজগুলোর বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় রক্ত সংগ্রহ ও বিতরণের কাজ করে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ’বাঁধন’।
বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধন। ‘একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন’ সংগঠনটির স্লোগান। ঠিক যেন স্লোগানের মতোই হাজার হাজার মানুষকে আত্মার বাঁধনে বেঁধেছেন বাঁধনের সদস্যরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল থেকে ১৯৯৭ সালের ২৪ অক্টোবর যাত্রা শুরু হওয়া এ সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছয়টি আঞ্চলিক ও ১০৩টি ইউনিট কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
বাঁধনের সাংগঠনিক কাঠামো সম্পর্কে বলেন সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ আর এমডি ফয়সাল, ‘কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন ইউনিট চালু করতে আমরা প্রথমে তাঁদের পরিবারভুক্ত করি, তারপর ইউনিট হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে যে কেউ আমাদের এখান থেকে রক্ত নিতে পারে।’
বাঁধনের কেন্দ্রীয় পর্ষদের কোষাধ্যক্ষ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসে এমবিএর শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘রক্তদানে উৎসাহিত করার পাশাপাশি আমরা কাজ করি রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের। আমরা চাই একজন মানুষ অন্তত তার গ্রুপটা জানুক। ২০১৪ সালে বাঁধন সারা দেশে প্রায় ৬২ হাজার ব্যাগ রক্তদান করেছে। এ ছাড়া রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে দিয়েছে এক লাখেরও বেশি মানুষের।’
রক্তদান দিবসে বাঁধন রক্তদানে উৎসাহ তৈরি ও মৌলিক বিষয়গুলো জানাতে ক্যাম্পাসগুলোতে প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
‘এক ব্যাগ রক্ত কারও হাতে তুলে দেওয়ার পর সে মানুষটির মুখে যে কৃতজ্ঞতা আর পরিতৃপ্তির ছাপ দেখা যায়, তা অকৃত্রিম। এ পরম সহানুভূতির জন্যই আমি সন্ধানীর সঙ্গে যুক্ত হই।’ কথাগুলো বলছিলেন সন্ধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী ও ইউনিট সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
তাঁর মতোই মানুষের সেবা করার ব্রত নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে সন্ধানীর যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৭৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। দেশের সর্বোচ্চ সম্মান ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ পাওয়া এ সংগঠনের ইউনিট সংখ্যা বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মিলে ২৩টি। একটি কেন্দ্রীয় পরিষদের মাধ্যমে এসব ইউনিট পরিচালনা করা হয়। আর প্রতিবছর মেডিকেল কলেজে যাঁরা ভর্তি হন, তাঁদের মাধ্যমেই পরিচালিত হয় সন্ধানী। সন্ধানীতে স্বেচ্ছাশ্রম দেওয়া এসব তরুণেরা পরিচিত ‘সন্ধানীয়ান’ নামে।
সন্ধানীর বিভিন্ন ইউনিট থেকে কি যে কেউ রক্ত নিতে পারে? জানতে চেয়েছিলাম সন্ধানীর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ফেমাস উদ্দিনের কাছে। ‘আমাদের এখানে রক্ত কেনাবেচা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সন্ধানী থেকে রক্ত পাওয়ার কিছু পূর্বশর্ত রয়েছে। আমরা উৎসাহিত করি, এক ব্যাগ রক্ত নিলে বিনিময়ে আরেক ব্যাগ রক্ত দিতে।’
তবে স্বেচ্ছায় রক্তদানকারী যে কেউ প্রয়োজনে রক্তদানের আইডি কার্ড দেখিয়ে রক্ত জোগাড় করতে পারেন। এ ছাড়া থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সন্ধানী কোনো শর্ত ছাড়াই রক্ত প্রদানের ব্যবস্থা করে থাকে। শুধু রক্তদানই নয়, দরিদ্র রোগীদের সাহায্য করার জন্য সন্ধানীর আছে বিনা মূল্যে ওষুধ বিতরণ কর্মসূচি। এ ছাড়া মরণোত্তর চক্ষুদানে উৎসাহিত করাও সন্ধানীর একটি উল্লেখযোগ্য কাজ। সময়ে সময়ে বিভিন্ন উপলক্ষে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন, বিশেষ করে শহর থেকে দূরে অবস্থিত অজপাড়াগাঁয়ের স্বাস্থ্যসেবাবঞ্চিত মানুষের জন্য সন্ধানী প্রায়ই এ আয়োজন করে। গত বছরের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে সন্ধানী কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের নাতালিয়া তাবনী টেলিফোন সাক্ষাৎকারে বলেন, সন্ধানী থেকে ২০১৩-১৪ সালে মোট রক্ত সংগ্রহ হয়েছিল প্রায় ৪৩ হাজার ব্যাগ। এ ছাড়া মরণোত্তর চক্ষুদান অঙ্গীকারপত্র পূরণ করেছেন ১ হাজার ৩৫০ জন। আজকের আয়োজনে সন্ধানী কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে সন্ধানী ভবন পর্যন্ত একটি র্যালির আয়োজন করেছে। এ ছাড়া নীলক্ষেতের সন্ধানী ভবনে থাকছে সেমিনার। আর ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সবগুলো ইউনিট আলাদা আলাদাভাবে রক্তদান সচেতনতামূলক প্রচারাভিজান ও রক্ত সংগ্রহ করবে।
মেডিকেল কলেজগুলোর বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় রক্ত সংগ্রহ ও বিতরণের কাজ করে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ’বাঁধন’।
বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধন। ‘একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন’ সংগঠনটির স্লোগান। ঠিক যেন স্লোগানের মতোই হাজার হাজার মানুষকে আত্মার বাঁধনে বেঁধেছেন বাঁধনের সদস্যরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল থেকে ১৯৯৭ সালের ২৪ অক্টোবর যাত্রা শুরু হওয়া এ সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছয়টি আঞ্চলিক ও ১০৩টি ইউনিট কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
বাঁধনের সাংগঠনিক কাঠামো সম্পর্কে বলেন সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ আর এমডি ফয়সাল, ‘কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন ইউনিট চালু করতে আমরা প্রথমে তাঁদের পরিবারভুক্ত করি, তারপর ইউনিট হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে যে কেউ আমাদের এখান থেকে রক্ত নিতে পারে।’
বাঁধনের কেন্দ্রীয় পর্ষদের কোষাধ্যক্ষ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসে এমবিএর শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘রক্তদানে উৎসাহিত করার পাশাপাশি আমরা কাজ করি রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের। আমরা চাই একজন মানুষ অন্তত তার গ্রুপটা জানুক। ২০১৪ সালে বাঁধন সারা দেশে প্রায় ৬২ হাজার ব্যাগ রক্তদান করেছে। এ ছাড়া রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে দিয়েছে এক লাখেরও বেশি মানুষের।’
রক্তদান দিবসে বাঁধন রক্তদানে উৎসাহ তৈরি ও মৌলিক বিষয়গুলো জানাতে ক্যাম্পাসগুলোতে প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন