ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্স
পর্বের শিক্ষার্থীরা মঞ্চে এনেছে উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের বহুল মঞ্চস্থ নাটক
হ্যামলেট।
৪-৭ জুলাই নাটমণ্ডলে মঞ্চায়ন হওয়ার পর ১০-১১ জুলাই শিল্পকলা একাডেমীর এক্সপেরিমেন্টাল হলে হচ্ছিল সমাপনী মঞ্চায়ন। যদিও হ্যামলেট আগে সেভাবে পড়া হয়নি, কিন্তু কয়েক শতাব্দী ধরে আলোচিত হ্যামলেট-এর গন্ধ পেতেই নাটকটি দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। ১১ জুলাই সন্ধ্যায় হাজির হলাম সময়মতো। ঘণ্টা বাজতেই সবাই গ্যালারিতে ঢোকা শুরু করল। আস্তে আস্তে দেখা গেল আতাউর রহমান, মামুনুর রশীদসহ বিখ্যাত নাট্যজনেরা একে একে হাজির হচ্ছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো–উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমেদ উৎসাহিত করলেন দর্শকদের। আনন্দিত হলেন সারা দিনের ক্লান্তির পরও এই হলভর্তি দর্শক সমাগম দেখে, যাদের বেশির ভাগই তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তরুণ।
বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বললেন, তাঁরা প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মাঝে সম্পর্ক টেনে একটা সর্বজনীনতা উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। আশিক রহমান লিয়নের নির্দেশনা আর বিভাগীয় শিক্ষার্থীদের নান্দনিক অভিনয় ছিল প্রশংসাযোগ্য। শেক্সপিয়ারের হ্যামলেট নাটকের কবি শামসুর রাহমান কৃত অনুবাদটি বেছে নিয়েছেন নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। স্নেহময় পিতার মৃত্যুশোক না কাটতেই মা যখন পিতার হত্যাকারীকে বিয়ে করেন, তখন উন্মাদপ্রায় হ্যামলেটের চরিত্রে মাসুদ রানা বলে ওঠেন ‘দুর্বলতা, তোর নাম নারী’ কিংবা সেই বিখ্যাত সংলাপ ‘টু বি অর নট টু বি, দ্যাট ইজ দ্য কোয়েশ্চেন’-এর সরল অনুবাদে সঞ্জীব বলে ওঠেন, ‘থাকব কি থাকব না, প্রশ্ন হলো তাই’।
দর্শককে আরও নাড়া দেয় গোরখোদক চরিত্রে নাভেদ আর প্রেমিক হ্যামলেটের হাতে পিতার মৃত্যুশোকে পাগলিনী নায়িকা ওফেলিয়ার বেশে অভিনেত্রী নওরীন সজ্জাতের নিখুঁত অভিনয়। এ ছাড়া নাটকে প্রাণ সঞ্চার করেন তানভীর, জাহিদ, মাসুদ, সুমাইয়া, ক্যামেলিয়া, ধীমান, সাফোয়ান, উজ্জ্বলসহ অনেকে। সব মিলিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টায় ঘটনাবহুল একটা নাটক দেখে তৃপ্ত হয়ে যখন বের হলাম, তখন মনে হলো, মাত্র ১০০ টাকায় এমন খাঁটি বিনোদন পাওয়া কেবল বাংলাদেশেই সম্ভব। এক্কেবারে যাকে বলে ‘পয়সা উসুল’। বৃহত্তর তরুণ সমাজের কাছে আমাদের অনুরোধ, রাতভর প্রেমালাপ, রেস্তোরাঁর ভোজন, গেমস খেলা আর ডাউনলোডিং থেকে ফুরসত পেলে মাঝেসাঝে ঘুরে আসতে পারেন সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে। নাটকেরমাধ্যমে সমাজকে শুদ্ধ করাই যার মূল লক্ষ্য।
৪-৭ জুলাই নাটমণ্ডলে মঞ্চায়ন হওয়ার পর ১০-১১ জুলাই শিল্পকলা একাডেমীর এক্সপেরিমেন্টাল হলে হচ্ছিল সমাপনী মঞ্চায়ন। যদিও হ্যামলেট আগে সেভাবে পড়া হয়নি, কিন্তু কয়েক শতাব্দী ধরে আলোচিত হ্যামলেট-এর গন্ধ পেতেই নাটকটি দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। ১১ জুলাই সন্ধ্যায় হাজির হলাম সময়মতো। ঘণ্টা বাজতেই সবাই গ্যালারিতে ঢোকা শুরু করল। আস্তে আস্তে দেখা গেল আতাউর রহমান, মামুনুর রশীদসহ বিখ্যাত নাট্যজনেরা একে একে হাজির হচ্ছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো–উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমেদ উৎসাহিত করলেন দর্শকদের। আনন্দিত হলেন সারা দিনের ক্লান্তির পরও এই হলভর্তি দর্শক সমাগম দেখে, যাদের বেশির ভাগই তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তরুণ।
বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বললেন, তাঁরা প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মাঝে সম্পর্ক টেনে একটা সর্বজনীনতা উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। আশিক রহমান লিয়নের নির্দেশনা আর বিভাগীয় শিক্ষার্থীদের নান্দনিক অভিনয় ছিল প্রশংসাযোগ্য। শেক্সপিয়ারের হ্যামলেট নাটকের কবি শামসুর রাহমান কৃত অনুবাদটি বেছে নিয়েছেন নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। স্নেহময় পিতার মৃত্যুশোক না কাটতেই মা যখন পিতার হত্যাকারীকে বিয়ে করেন, তখন উন্মাদপ্রায় হ্যামলেটের চরিত্রে মাসুদ রানা বলে ওঠেন ‘দুর্বলতা, তোর নাম নারী’ কিংবা সেই বিখ্যাত সংলাপ ‘টু বি অর নট টু বি, দ্যাট ইজ দ্য কোয়েশ্চেন’-এর সরল অনুবাদে সঞ্জীব বলে ওঠেন, ‘থাকব কি থাকব না, প্রশ্ন হলো তাই’।
দর্শককে আরও নাড়া দেয় গোরখোদক চরিত্রে নাভেদ আর প্রেমিক হ্যামলেটের হাতে পিতার মৃত্যুশোকে পাগলিনী নায়িকা ওফেলিয়ার বেশে অভিনেত্রী নওরীন সজ্জাতের নিখুঁত অভিনয়। এ ছাড়া নাটকে প্রাণ সঞ্চার করেন তানভীর, জাহিদ, মাসুদ, সুমাইয়া, ক্যামেলিয়া, ধীমান, সাফোয়ান, উজ্জ্বলসহ অনেকে। সব মিলিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টায় ঘটনাবহুল একটা নাটক দেখে তৃপ্ত হয়ে যখন বের হলাম, তখন মনে হলো, মাত্র ১০০ টাকায় এমন খাঁটি বিনোদন পাওয়া কেবল বাংলাদেশেই সম্ভব। এক্কেবারে যাকে বলে ‘পয়সা উসুল’। বৃহত্তর তরুণ সমাজের কাছে আমাদের অনুরোধ, রাতভর প্রেমালাপ, রেস্তোরাঁর ভোজন, গেমস খেলা আর ডাউনলোডিং থেকে ফুরসত পেলে মাঝেসাঝে ঘুরে আসতে পারেন সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে। নাটকেরমাধ্যমে সমাজকে শুদ্ধ করাই যার মূল লক্ষ্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন