‘মুক্তিযুদ্ধ
জাদুঘরের এই আয়োজন আমার জন্য এমন এক উপলক্ষ, যা আমাকে ভাবায় বাংলাদেশের
মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের জন্য আমি কী করেছি। তখনই নিজের ভেতরের
শূন্যতাকে উপলব্ধি করি আমি এবং কিছু একটা করার তাড়না বোধ করি।’ আট দিনের
কর্মশালা শেষে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে এমনটিই লিখে প্রকাশ করেছেন ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আজরিন আফরিন।
সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ অ্যান্ড জাস্টিসের সহযোগিতায় ১৮-২৫ ডিসেম্বর, ২০১৪ মানিকগঞ্জের প্রশিকার মানবসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রে এ কর্মশালার আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। এতে অংশ নেন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ তরুণ ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থী।
বিভিন্ন সেমিনার, প্রেজেনটেশন, ক্লাস, দলীয় কাজ, আলোচনা, তথ্যচিত্র প্রদর্শন ইত্যাদির মাধ্যমে কর্মশালা পরিচালিত হয়। এ কর্মশালায় গণহত্যা, ক্রান্তিকালীন বিচার, সাক্ষী ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সুরক্ষা, মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন প্রভৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
প্রশিক্ষণার্থী বায়েজিদ খান জানান, তাঁরা প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে, মানুষের মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের ন্যায়বিচার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে নিজেদের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছেন এবং সরকারের কাছে একটি সুপারিশপত্র তুলে ধরেছেন। কর্মপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধকরণ, গবেষণা সহায়তা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গেম এবং অ্যাপ তৈরি, সারা দেশের বীরাঙ্গনাদের একটি সঠিক তালিকা তৈরি, কেস রিভিউ লেখা ইত্যাদি।
এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন শিক্ষাবিদ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষেজ্ঞরা। এ ছাড়া প্রশিক্ষণার্থীদের মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যাবিষয়ক দেশি-বিদেশি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।
প্রশিক্ষণার্থী নিয়ামত আলী এনায়েত বলেন, ‘১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের এই প্রোগ্রামে অংশ না নিলে আমার বাংলাদেশের ইতিহাসের অনেক কিছু অজানা থেকে যেত। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আর তাদের এ দেশীয় দোসররা ১৯৭১ সালে নারীদের ওপর যে বেদনাদায়ক অত্যাচার করেছে, আমি তার বিচার চাই। তাঁদের আত্মত্যাগ আমাদের পাঠ্যপুস্তকে তুলে ধরার পাশাপাশি তাঁদের প্রাপ্য সম্মানের আসনে বসানোর ব্যবস্থা করা হোক। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে এবং এই খবর সারা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই ধরনের আয়োজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লেখক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী, মফিদুল হক প্রমূখ।
সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ অ্যান্ড জাস্টিসের সহযোগিতায় ১৮-২৫ ডিসেম্বর, ২০১৪ মানিকগঞ্জের প্রশিকার মানবসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রে এ কর্মশালার আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। এতে অংশ নেন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ তরুণ ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থী।
বিভিন্ন সেমিনার, প্রেজেনটেশন, ক্লাস, দলীয় কাজ, আলোচনা, তথ্যচিত্র প্রদর্শন ইত্যাদির মাধ্যমে কর্মশালা পরিচালিত হয়। এ কর্মশালায় গণহত্যা, ক্রান্তিকালীন বিচার, সাক্ষী ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সুরক্ষা, মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন প্রভৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
প্রশিক্ষণার্থী বায়েজিদ খান জানান, তাঁরা প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে, মানুষের মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের ন্যায়বিচার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে নিজেদের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছেন এবং সরকারের কাছে একটি সুপারিশপত্র তুলে ধরেছেন। কর্মপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধকরণ, গবেষণা সহায়তা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গেম এবং অ্যাপ তৈরি, সারা দেশের বীরাঙ্গনাদের একটি সঠিক তালিকা তৈরি, কেস রিভিউ লেখা ইত্যাদি।
এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন শিক্ষাবিদ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষেজ্ঞরা। এ ছাড়া প্রশিক্ষণার্থীদের মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যাবিষয়ক দেশি-বিদেশি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।
প্রশিক্ষণার্থী নিয়ামত আলী এনায়েত বলেন, ‘১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের এই প্রোগ্রামে অংশ না নিলে আমার বাংলাদেশের ইতিহাসের অনেক কিছু অজানা থেকে যেত। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আর তাদের এ দেশীয় দোসররা ১৯৭১ সালে নারীদের ওপর যে বেদনাদায়ক অত্যাচার করেছে, আমি তার বিচার চাই। তাঁদের আত্মত্যাগ আমাদের পাঠ্যপুস্তকে তুলে ধরার পাশাপাশি তাঁদের প্রাপ্য সম্মানের আসনে বসানোর ব্যবস্থা করা হোক। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে এবং এই খবর সারা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই ধরনের আয়োজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লেখক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী, মফিদুল হক প্রমূখ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন