নেপালি
শিক্ষার্থী সৌরভ গুপ্তের কোনো কাজেই মন বসছে না। গত ২৫ মের ভয়াবহ
ভূমিকম্পে তাঁর পরিবার-পরিজন অক্ষত থাকলেও অক্ষত থাকেনি তাঁদের কাঠমান্ডুর
বাসা। সৌরভ পড়ছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার কৌশল
বিভাগে।
একই অবস্থা বাংলাদেশে পড়তে আসা নেপালের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর। কারও বা পরিবার, আত্মীয়স্বজনের মধ্যে হারানোর বেদনা, কারও বা ছোট থেকে বেড়ে ওঠা যে সাধের কৃটির তা আর আগের মতো না থাকার দুঃখ। নেপাল ধ্বংসাবশেষে কেঁদে উঠছে বারবার তাঁদের হৃদয়। সবার মাঝেই তাই একটাই চাওয়া, কিছু একটা করে দেখানোর সময় তাঁদের জন্মভূমির জন্য।
বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা নেহাতই কম নয়। এই যেমন বুয়েটেই আছেন মোট ২৯ জন শিক্ষার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যাটা পঞ্চাশোর্ধ্ব। ওদিকে ঢাকার বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থীর রয়েছে পদচারণা। শুধু কি ঢাকার মধ্যেই? অবাক হলেও সত্যি ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কমবেশি স্নাতক করছেন নেপাল থেকে আগত অসংখ্য শিক্ষার্থী। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে চট্টগ্রাম মেডিকেলে আছেন আটজন, রংপুরেও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল মিলিয়ে সংখ্যাটা ৫০-এর মতো।
এত এত শিক্ষার্থী ভারত ছাপিয়ে বাংলাদেশে পড়তে আসার কারণটা জানালেন তড়িৎকৌশলের রমেশ। ‘যথোপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা, পূর্ণাঙ্গ বৃত্তির ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশের জীবনযাত্রার মান কিছুটা কম হওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীর প্রথম পছন্দ থাকে বাংলাদেশ।’
নেপালি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের বিভিন্ন জায়গায় থাকলেও দেশের স্বার্থে বসে নেই তাঁরা কেউই। যে যেভাবে যেখান থেকে পারছেন অর্থ ও ত্রাণ সংগ্রহ করছেন। তহবিল গঠন করে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন দুর্গত মানুষদের কাছে।
এনাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষানবিশ শিক্ষার্থীদের একটি দল খাদ্য এবং অর্থ সহায়তা নিয়ে ইতিমধ্যে নেপালে পৌঁছেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত ১৩ জন চিকিৎসকের একটি দল তাদের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত রেখে তহবিল নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে দুর্গতদের। কুমুদিনী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে দুবার খাদ্য ও ওষুধ পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে।
বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী বিকাশ শাহ জানালেন বাংলাদেশের মানুষের কাছে তাঁর প্রত্যাশার কথা। ‘নেপালে যে পরিমাণ ত্রাণ ও সাহায্য গেছে তা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা আমাদের পাশে দাঁড়ালে আমাদের কাজটা আরও সহজ হবে। বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের কয়েকটি দল নেপাল যাওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে।’
বিস্তারিত জানতে ও সহায়তা করতে যোগাযোগ করতে পারেন সাবির সুবেদী (বুয়েট): ০১৭৮১৩৫৪৬৭৯, কৃষ্ণ শাহ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়): ০১৭৮১৪৬৫৭৯৮, গিরিশ (এনাম মেডিকেল কলেজ, সাভার): ০১৭৫৪৯৭৬৭৬৮, কবিতা পাউডেল ও আসিফ আনসারি (চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ): ০১৭০৬২৭৪৩০৩, রুবিনা রায় মাঝি (কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ)। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ১৪৪.১০১.১০১৮৯৫ নম্বরে অর্থ সহায়তা পাঠানো যাবে এবং বিকাশ করা যাবে ০১৭৫৪৭৪৮১২৬ নম্বরে।
একই অবস্থা বাংলাদেশে পড়তে আসা নেপালের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর। কারও বা পরিবার, আত্মীয়স্বজনের মধ্যে হারানোর বেদনা, কারও বা ছোট থেকে বেড়ে ওঠা যে সাধের কৃটির তা আর আগের মতো না থাকার দুঃখ। নেপাল ধ্বংসাবশেষে কেঁদে উঠছে বারবার তাঁদের হৃদয়। সবার মাঝেই তাই একটাই চাওয়া, কিছু একটা করে দেখানোর সময় তাঁদের জন্মভূমির জন্য।
বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা নেহাতই কম নয়। এই যেমন বুয়েটেই আছেন মোট ২৯ জন শিক্ষার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যাটা পঞ্চাশোর্ধ্ব। ওদিকে ঢাকার বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থীর রয়েছে পদচারণা। শুধু কি ঢাকার মধ্যেই? অবাক হলেও সত্যি ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কমবেশি স্নাতক করছেন নেপাল থেকে আগত অসংখ্য শিক্ষার্থী। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে চট্টগ্রাম মেডিকেলে আছেন আটজন, রংপুরেও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল মিলিয়ে সংখ্যাটা ৫০-এর মতো।
এত এত শিক্ষার্থী ভারত ছাপিয়ে বাংলাদেশে পড়তে আসার কারণটা জানালেন তড়িৎকৌশলের রমেশ। ‘যথোপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা, পূর্ণাঙ্গ বৃত্তির ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশের জীবনযাত্রার মান কিছুটা কম হওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীর প্রথম পছন্দ থাকে বাংলাদেশ।’
নেপালি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের বিভিন্ন জায়গায় থাকলেও দেশের স্বার্থে বসে নেই তাঁরা কেউই। যে যেভাবে যেখান থেকে পারছেন অর্থ ও ত্রাণ সংগ্রহ করছেন। তহবিল গঠন করে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন দুর্গত মানুষদের কাছে।
এনাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষানবিশ শিক্ষার্থীদের একটি দল খাদ্য এবং অর্থ সহায়তা নিয়ে ইতিমধ্যে নেপালে পৌঁছেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত ১৩ জন চিকিৎসকের একটি দল তাদের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত রেখে তহবিল নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে দুর্গতদের। কুমুদিনী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে দুবার খাদ্য ও ওষুধ পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে।
বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী বিকাশ শাহ জানালেন বাংলাদেশের মানুষের কাছে তাঁর প্রত্যাশার কথা। ‘নেপালে যে পরিমাণ ত্রাণ ও সাহায্য গেছে তা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা আমাদের পাশে দাঁড়ালে আমাদের কাজটা আরও সহজ হবে। বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের কয়েকটি দল নেপাল যাওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে।’
বিস্তারিত জানতে ও সহায়তা করতে যোগাযোগ করতে পারেন সাবির সুবেদী (বুয়েট): ০১৭৮১৩৫৪৬৭৯, কৃষ্ণ শাহ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়): ০১৭৮১৪৬৫৭৯৮, গিরিশ (এনাম মেডিকেল কলেজ, সাভার): ০১৭৫৪৯৭৬৭৬৮, কবিতা পাউডেল ও আসিফ আনসারি (চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ): ০১৭০৬২৭৪৩০৩, রুবিনা রায় মাঝি (কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ)। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ১৪৪.১০১.১০১৮৯৫ নম্বরে অর্থ সহায়তা পাঠানো যাবে এবং বিকাশ করা যাবে ০১৭৫৪৭৪৮১২৬ নম্বরে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন