গান গাইতে ভারতের রাজস্থানে গিয়েছিলেন সানজিদা চৌধুরী। দেশে ফেরার পর আমরা যখন তাঁর মুখোমুখি হই, তখন তিনি গুনগুন করে গাইছিলেন, ‘আমি তোমারও সঙ্গে বেঁধেছি আমারও প্রাণ...’। আমরা আশপাশে তাকাই, তুমিটা কে? কাউকে দেখছি না তো! সানজিদা লাজুক হেসে বলেন, ‘এই তুমিটা হচ্ছে গান। সুর। আমি গানের সঙ্গেই প্রাণ বেঁধেছি।’
গানের সঙ্গে প্রাণ বেঁধে ফেলা এ তরুণ শিল্পীকে পরিচিত ব্যক্তিরা ডাকেন স্বর্ণা বলে। সানজিদা পড়ছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিষয়ে। সেটা জীবনের আরেক অধ্যায়। আমরা বরং গানের অধ্যায়ের দিকেই মনোনিবেশ করি। কীভাবে ভারত যাওয়া হলো? সানজিদা বলেন, ‘সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ইয়ুথ ফেস্টিভাল’ নামে প্রতিবছর দক্ষিণ এশিয়ার শিল্পীদের অংশগ্রহণে একটি অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিতেই এবার আমি ভারতের রাজস্থান গিয়েছিলাম।’
সানজিদার কাছ থেকে জানা হয়, এবারের আয়োজন হয়েছিল ৭ থেকে ১১ মার্চ। যৌথভাবে আয়োজক ছিল ভারতের প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটি ও মোহানলাল সুখাদিয়া ইউনিভার্সিটি। এতে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও মরিশাসের তরুণ-তরুণীরা।
সেই আনন্দঘন মুহূর্তগুলো এখনো জ্বলজ্বল করছে সানজিদার মানসপটে। ‘বিদেশের মাটিতে লাল-সবুজ পতাকা হাতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে কার না ভালো লাগে, বলুন?’ সানজিদার কণ্ঠ থেকে গর্ব ঝরে পড়ে। কথায় কথায় জানা হয়, এবারই প্রথম নয়, ২০১৩ সালেও একবার এই আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেবার অনুষ্ঠানটা হয়েছিল পাঞ্জাবে।
দেশের মাটিতেও তাঁর অর্জন নেহাত কম নয়। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় তিনি এবার চারটি বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেছেন। ‘নজরুলসংগীত, লোকগান, ধ্রুপদিসংগীত ও আধুনিক গান—এই চার বিভাগে পুরস্কার পেয়েছিলাম,’ বলছিলেন সানজিদা। এ ছাড়া তিনি মাঝেমধ্যে গান করেন বিটিভিসহ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও এফএম রেডিওতে।
এসব অর্জনের পেছনে আছে সাধনার গল্প। সানজিদা জানান, তিনি গত আট বছর ধরে ছায়ানটে রবীন্দ্রসংগীতের ওপর তালিম নিচ্ছেন।
সুর সাধনার বাইরেও সানজিদার আছে আরেক জীবন। সে জীবনে তিনি কর্মী, তিনি স্বেচ্ছাসেবী। তরুণ শিক্ষার্থীদের সংগঠন ইউনিস্যাবের তিনি একজন সক্রিয় সদস্য। সহকারী পরিচালক হিসেবে যুক্ত আছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক ক্লাব ‘মনন’-এর সঙ্গে। এ ছাড়া স্কুল-কলেজে পড়ার সময় তিনি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েও পুরস্কার জিতেছেন।
আমরা এবার সানজিদার আগামী স্বপ্নের কথা জানতে চাই। তিনি দৃষ্টিটাকে সুদূরে মেলে দিয়ে বলেন, ‘একটা সংগীতালয় গড়তে চাই, যেখানে শিশুদের মূলত রবীন্দ্রসংগীত শেখানো হবে।’ একটু থেমে আবার বলেন, পেশা হিসেবে কী বেছে নেব তা বলা মুশকিল, তবে যা কিছুই করি না কেন, গানের সঙ্গেই থাকতে চাই।’
গানের সঙ্গে প্রাণ বেঁধে ফেলা এ তরুণ শিল্পীকে পরিচিত ব্যক্তিরা ডাকেন স্বর্ণা বলে। সানজিদা পড়ছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিষয়ে। সেটা জীবনের আরেক অধ্যায়। আমরা বরং গানের অধ্যায়ের দিকেই মনোনিবেশ করি। কীভাবে ভারত যাওয়া হলো? সানজিদা বলেন, ‘সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ইয়ুথ ফেস্টিভাল’ নামে প্রতিবছর দক্ষিণ এশিয়ার শিল্পীদের অংশগ্রহণে একটি অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিতেই এবার আমি ভারতের রাজস্থান গিয়েছিলাম।’
সানজিদার কাছ থেকে জানা হয়, এবারের আয়োজন হয়েছিল ৭ থেকে ১১ মার্চ। যৌথভাবে আয়োজক ছিল ভারতের প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটি ও মোহানলাল সুখাদিয়া ইউনিভার্সিটি। এতে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও মরিশাসের তরুণ-তরুণীরা।
সেই আনন্দঘন মুহূর্তগুলো এখনো জ্বলজ্বল করছে সানজিদার মানসপটে। ‘বিদেশের মাটিতে লাল-সবুজ পতাকা হাতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে কার না ভালো লাগে, বলুন?’ সানজিদার কণ্ঠ থেকে গর্ব ঝরে পড়ে। কথায় কথায় জানা হয়, এবারই প্রথম নয়, ২০১৩ সালেও একবার এই আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেবার অনুষ্ঠানটা হয়েছিল পাঞ্জাবে।
দেশের মাটিতেও তাঁর অর্জন নেহাত কম নয়। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় তিনি এবার চারটি বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেছেন। ‘নজরুলসংগীত, লোকগান, ধ্রুপদিসংগীত ও আধুনিক গান—এই চার বিভাগে পুরস্কার পেয়েছিলাম,’ বলছিলেন সানজিদা। এ ছাড়া তিনি মাঝেমধ্যে গান করেন বিটিভিসহ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও এফএম রেডিওতে।
এসব অর্জনের পেছনে আছে সাধনার গল্প। সানজিদা জানান, তিনি গত আট বছর ধরে ছায়ানটে রবীন্দ্রসংগীতের ওপর তালিম নিচ্ছেন।
সুর সাধনার বাইরেও সানজিদার আছে আরেক জীবন। সে জীবনে তিনি কর্মী, তিনি স্বেচ্ছাসেবী। তরুণ শিক্ষার্থীদের সংগঠন ইউনিস্যাবের তিনি একজন সক্রিয় সদস্য। সহকারী পরিচালক হিসেবে যুক্ত আছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক ক্লাব ‘মনন’-এর সঙ্গে। এ ছাড়া স্কুল-কলেজে পড়ার সময় তিনি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েও পুরস্কার জিতেছেন।
আমরা এবার সানজিদার আগামী স্বপ্নের কথা জানতে চাই। তিনি দৃষ্টিটাকে সুদূরে মেলে দিয়ে বলেন, ‘একটা সংগীতালয় গড়তে চাই, যেখানে শিশুদের মূলত রবীন্দ্রসংগীত শেখানো হবে।’ একটু থেমে আবার বলেন, পেশা হিসেবে কী বেছে নেব তা বলা মুশকিল, তবে যা কিছুই করি না কেন, গানের সঙ্গেই থাকতে চাই।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন