বুয়েট মিলনায়তনের দোতলায় বেশ বড়সড় একটা রুম। কাছাকাছি যেতে কানে ভেসে এল ‘মেঘ থমথম করে’ গানটির সুমধুর সুর। ভেতরে ঢুকতেই দেখা গেল মহড়া চলছে আর হবু প্রকৌশলীরা তন্ময় হয়ে গান শুনছেন। তারপর একটু সচকিত হয়ে আশপাশে তাকাতেই চোখে পড়ল অনেকের হাতেই ছোট-বড় নানা রকমের বাদ্যযন্ত্র, যেগুলোর ব্যবহার আজকাল খুব একটা চোখে পড়ে না—ঢোল, হাতবায়া, মন্দিরা, খঞ্জনি, একতারা ইত্যাদি। আর সঙ্গে হারমোনিয়াম, তবলা, গিটার, কি-বোর্ড, বাঁশি, বেহালা এগুলো তো আছেই। মহড়ায় মগ্ন এই দলটি যে গাইতে ও বাজাতে পারদর্শী, এ ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ নেই।
বুয়েটের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন মূর্ছনা: বুয়েটের এই আড্ডায় গিয়ে বিশ্বাস করতে একটু কষ্টই হলো যে এঁরা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী, যাঁদের সঙ্গে অনিবার্যভাবেই যান্ত্রিকতার তকমা লাগানো। মূর্ছনায় এখন প্রস্তুতি চলছে আসন্ন ‘চতুর্থ আন্তবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক উৎসব’-এর, যেখানে চার বছর ধরে ঘটে আসছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর মিলনমেলা। বুয়েটের পড়াশোনার চাপের মধ্যে থেকেও এত বড় মাপের আয়োজন কীভাবে সম্ভব সে সম্পর্কে জানালেন মূর্ছনার সাধারণ সম্পাদক মাসিরুল আফরোজ, ‘আসলে প্রচণ্ড ব্যস্তজীবনে মূর্ছনা আমাদের শ্বাস নেওয়ার জায়গা। মূর্ছনার একেকটা আয়োজন আমাদের জন্য স্বপ্নের মতো। আর এই উৎসব তো পুরো বুয়েটের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে একটা সাজ সাজ রব ফেলে দেয়। কারণ, তারুণ্য আর দেশীয় সংস্কৃতির এই মেলবন্ধন খুবই উপভোগ্য। যার যার জন্য বরাদ্দ সময়ে গান, নাচ আর আবৃত্তির চমৎকার সব আয়োজন নিয়ে হাজির হন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আর এর মাধ্যমে গড়ে ওঠে সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা অব্যাহত রাখার আত্মপ্রত্যয়।’
বছরব্যাপী মূর্ছনার আরও অনেক রকম আয়োজনের কথা জানালেন মূর্ছনার সভাপতি সামির রাফসান চৌধুরী, ‘মূর্ছনার মূল প্রচেষ্টা বাংলা সংস্কৃতির ধারণ ও বাহন। এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে আমরা প্রতিবছর একটি বার্ষিক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করি। এই মনোজ্ঞ সন্ধ্যার থিমের ওপর ভিত্তি করে আমরা সাধারণত একটি মৌলিক গান রচনা করি এবং সেই গানের সঙ্গে মিউজিক ভিডিও তৈরি করি, যা মূর্ছনার সৃষ্টিশীল অর্জনের পাল্লা ভারী করার পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানের প্রচারণার কাজে সাহায্য করে। এ ছাড়া কয়েক বছর ধরেই আমরা বুয়েট প্রাঙ্গণে বসন্তবরণ, বর্ষবরণ ও বর্ষাবরণের মতো ঋতুভিত্তিক অনুষ্ঠানগুলোকে উদ্যাপন করছি। গত বছর প্রয়াত শিল্পী মান্না দে’র স্মরণে তাঁর গানগুলো নিয়ে আমরা আয়োজন করি একটি অনুষ্ঠান ‘হৃদয়ে লিখো নাম...’।
মূর্ছনার প্রাপ্তির খাতায় নতুন সংযোজন হিসেবে এবারের সাংস্কৃতিক উৎসবে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে মূর্ছনার প্রথম গানের অ্যালবাম। সাবেক সভাপতি অভিপ্রিয় চক্রবর্তীর সংগীতায়োজনে মূর্ছনার বর্তমান ও সাবেক আটজন সদস্য এই অ্যালবামে কণ্ঠ দিয়েছেন।
বুয়েটের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন মূর্ছনা: বুয়েটের এই আড্ডায় গিয়ে বিশ্বাস করতে একটু কষ্টই হলো যে এঁরা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী, যাঁদের সঙ্গে অনিবার্যভাবেই যান্ত্রিকতার তকমা লাগানো। মূর্ছনায় এখন প্রস্তুতি চলছে আসন্ন ‘চতুর্থ আন্তবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক উৎসব’-এর, যেখানে চার বছর ধরে ঘটে আসছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর মিলনমেলা। বুয়েটের পড়াশোনার চাপের মধ্যে থেকেও এত বড় মাপের আয়োজন কীভাবে সম্ভব সে সম্পর্কে জানালেন মূর্ছনার সাধারণ সম্পাদক মাসিরুল আফরোজ, ‘আসলে প্রচণ্ড ব্যস্তজীবনে মূর্ছনা আমাদের শ্বাস নেওয়ার জায়গা। মূর্ছনার একেকটা আয়োজন আমাদের জন্য স্বপ্নের মতো। আর এই উৎসব তো পুরো বুয়েটের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে একটা সাজ সাজ রব ফেলে দেয়। কারণ, তারুণ্য আর দেশীয় সংস্কৃতির এই মেলবন্ধন খুবই উপভোগ্য। যার যার জন্য বরাদ্দ সময়ে গান, নাচ আর আবৃত্তির চমৎকার সব আয়োজন নিয়ে হাজির হন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আর এর মাধ্যমে গড়ে ওঠে সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা অব্যাহত রাখার আত্মপ্রত্যয়।’
বছরব্যাপী মূর্ছনার আরও অনেক রকম আয়োজনের কথা জানালেন মূর্ছনার সভাপতি সামির রাফসান চৌধুরী, ‘মূর্ছনার মূল প্রচেষ্টা বাংলা সংস্কৃতির ধারণ ও বাহন। এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে আমরা প্রতিবছর একটি বার্ষিক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করি। এই মনোজ্ঞ সন্ধ্যার থিমের ওপর ভিত্তি করে আমরা সাধারণত একটি মৌলিক গান রচনা করি এবং সেই গানের সঙ্গে মিউজিক ভিডিও তৈরি করি, যা মূর্ছনার সৃষ্টিশীল অর্জনের পাল্লা ভারী করার পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানের প্রচারণার কাজে সাহায্য করে। এ ছাড়া কয়েক বছর ধরেই আমরা বুয়েট প্রাঙ্গণে বসন্তবরণ, বর্ষবরণ ও বর্ষাবরণের মতো ঋতুভিত্তিক অনুষ্ঠানগুলোকে উদ্যাপন করছি। গত বছর প্রয়াত শিল্পী মান্না দে’র স্মরণে তাঁর গানগুলো নিয়ে আমরা আয়োজন করি একটি অনুষ্ঠান ‘হৃদয়ে লিখো নাম...’।
মূর্ছনার প্রাপ্তির খাতায় নতুন সংযোজন হিসেবে এবারের সাংস্কৃতিক উৎসবে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে মূর্ছনার প্রথম গানের অ্যালবাম। সাবেক সভাপতি অভিপ্রিয় চক্রবর্তীর সংগীতায়োজনে মূর্ছনার বর্তমান ও সাবেক আটজন সদস্য এই অ্যালবামে কণ্ঠ দিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন