বাংলা ভাষায় প্রোগ্রামিং শিক্ষা

LATEST :
সাইটটির উন্নয়ন চলছে এবং শীঘ্রই উন্নয়ন করা হবে

মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

স্বপ্ন যাঁদের আকাশছোঁয়া

চলছে চূড়ান্ত পরীক্ষা। আর কয়েক দিন পরই তাঁদের শিক্ষাসমাপনী। সবার চোখে-মুখে জ্বলজ্বল করছে একরাশ স্বপ্ন। সেদিনের আড্ডায় অপূর্ব বর্মন, রুনা রওফ, সাজ্জাদ হোসাইন, আরাফ কায়সার, সুস্মিতা দে ও ইয়ারুফ কায়সারসহ সবার কণ্ঠেই যেন বিদায়ের সুর, ‘চোখের পলকে যেন চারটি বছর পেরিয়ে গেল!’ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যায়ের কৃষি, মাৎস্যবিজ্ঞান, কৃষি অর্থনীতি, ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদের এই চারটি ব্যাচ ক্যাম্পাসে পা ফেলেছিল ২০১১ সালের ২৮ এপ্রিল।
ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদের শুভজিত দাশ বলেন, ‘সবুজ টিলাঘেরা এই ছোট্ট ক্যাম্পাসটা অনেক কিছু দিয়েছে। ভাবতেই পারছি না, আর মাত্র কয়েক দিন পর আমরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাব।’
পড়াশোনার পাশাপাশি এই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের একচ্ছত্র অংশগ্রহণ ছিল সাহিত্য-সংস্কৃতি, সাংবাদিকতা, রাজনীতি, খেলাধুলাসহ সব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোতে। কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ, মৃত্তিকা, কাকতাড়ুয়া, প্রাধিকার, রোভার স্কাউট, লিও ক্লাব, বিনোদন সংঘসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত এ ব্যাচের বিভিন্নজন। কৃষি অনুষদের আরিফুর রহমানের মুখে তাই ব্যাচমেটদের নিয়ে গর্বের কথা, ‘আমাদের ব্যাচ অনন্য ও অসাধারণ, এ ব্যাচে কিছু উজ্জ্বল প্রদীপ রয়েছে। যাঁদের মেধা ও মননে আলোকিত হবে গোটা জাতি।’
চার বছরে আনন্দ যেমন ছিল, কষ্টও তেমন ছিল। ব্যবহারিক ক্লাসের কারণে পড়াশোনা অনেক বেশি করতে হতো। ‘মাঠে রোদে পুড়ে কাজ করেছি আমরা। মাঠ পরিচর্যা থেকে শুরু করে বীজ লাগানো, আগাছা পরিষ্কার, পানি দেওয়া, সার দেওয়া সব কাজ কৃষকের মতই করতে হতো।’ বলছিলেন সাইফুল ইসলাম। ‘মেয়েরাও কম যায় না। ছেলেদের মতো সমান তালে কাজ করেছি আমরাও’ বললেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সিজিপিএধারী আঁখি পাল চৌধুরী। ৩.৯৮ নিয়ে আঁখি সিকৃবি ক্যাম্পাসে রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন।
বর্ষবরণ, পিঠা উৎসব, নবান্ন উৎসব, জাতীয় দিবস উদ্যাপনসহ সব ভালো কাজে ছিল ২০১০-১১ ব্যাচের স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যাপন। ‘আমাদের ছুটির দিন বলতে কোনো কথা ছিল না। প্রতিদিন কোনো না কোনো আয়োজন লেগেই ছিল। সত্যি কথা বলতে এই ব্যাচের একজন হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি’ বললেন রিয়াজুল রাজীব। আর ওদিকে গোলাম সারোয়ার যেন একধাপ বাড়িয়েই বলেন, ‘আমাদের সবার মধ্যে একতা ছিল, আমরা পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের চেহারা পরিবর্তন করতে পেরেছি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলে যাওয়ার কষ্ট আছে, কিন্তু যা অর্জন করেছি, তা থেকে বাংলাদেশকে কিছু দিতে পারব বলে আশা রাখছি।’

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

স্বত্বাধিকারী © ২০১৫ প্রোগ্রামিং এর মহাজগৎ সব অধিকার সংরক্ষিত
^